নিউইয়র্ক : | বৃহস্পতিবার, ০৪ মার্চ ২০২১
অর্থে, বিত্তে, সৌন্দর্যে, ঐতিহ্যে নিউ ইয়র্ক শহর হচ্ছে এখনও বিশে^র শ্রেষ্ঠ, বৈচিত্রময় ও সুন্দরতম নগরী। নিউ ইয়র্ক শহরকে বলা হয় সারা বিশে^র রাজধানী। প্রতি বৎসর জাতিসংঘের অধিবেশনে সারা বিশে^র প্রতিনিধিগন যোগদান করেন বিশে^র তীর্থস্থান হিসাবে খ্যাত এই নগরীতে। স্ট্যাচু অব লিবার্টি, জাতিসংঘ ভবন, সেন্ট্রাল পার্কসহ হাজারো পার্ক, সুরম্য অট্টালিকা, বিলাস বহুল বাড়ী, দোকান, শপিংমল ও শপিং সেন্টার, স্পা, ব্যায়ামাগার, হোটেল, রেস্টুরেন্টসহ আবাল, বৃদ্ধ, বনিতা, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে এখানে রয়েছে বিলাসভ্রমন, আনন্দ উল্লাসের ও উদযাপনের ব্যবস্থা, সকলের জন্য। সকল পেশা ও বৃত্তির উৎকর্ষ সাধন ও উন্নয়নের ব্যবস্থা রয়েছে সবার জন্য। ফলে সারা বিশ্বের আনন্দ ও ভ্রমনপ্রিয় মানুষের প্রাণের নগরী ও রোমান্টিক এই শহর। শহর পরিচালনায় মেয়র তার মন্ত্রীসভা বা কমিশনারবৃন্দ, পুলিশ বাহিনী, নগর পরিচালনা কমিশন, ৫৬টি কমিউনিটি বোর্ড, ৫১ জন কাউন্সিলরম্যান তথা শহর বিধান সভার সদস্য রয়েছেন। সিটি কাউন্সিল সদস্যগন জনগনের প্রত্যক্ষ ভোটে ৪ বৎসরের জন্য নির্বাচিত হন।
কাউন্সিল মেম্বারগণ ৬ ফিগারের স্যালারী, নিজ ডিস্ট্রিক্ট এবং সিটি হলের সন্নিকটে ২টি অফিস এবং স্টাফ পেয়ে থাকেন। মিলিয়ন ডলারেরর ডিসক্রেশনারী ফান্ড, এবং নগর পরিকল্পনা, কর আদায় এবং ব্যায়ে ভূমিকা রাখেন। এই শহরের বাজেট এবং কর যুক্তরাষ্ট্রের অনেক স্টেট এমনকি তৃতীয় বিশে^র অনেক রাষ্ট্রের চাইতেও বড়। আসছে ২২ জুন, এই শহরের ডিস্ট্রিক্ট ১৮ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন বাংলাদেশী আমেরিকান আইনজীবি মোহাম্মদ এন মজুমদার। জনাব মজুমদার ১৯৮৯ সন থেকে পার্কচেস্টার, ক্যাসলহিল, সাউন্ডভিউ এবং পাশর্^বর্তী এলাকা নিয়ে গঠিত ডিস্ট্রিক্ট ১৮ তে বসবাস করে আসছেন। তিনি উক্ত ডিস্ট্রিক্ট ১৮ থেকে সিটি কাউন্সিল মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন। ইতোমধ্যে জনগনের দেওয়া অর্থ, চাঁদা এবং সরকারী অনুমোদন মিলিয়ে জনাব মজুমদার মোট ২০৮০০০.০০ (দুই লক্ষ আট হাজার মার্কিন ডলার) তহবিল সংগ্রহ করেছেন। ইতোমধ্যে সেরা এটর্নী, কমপ্লায়েন্স পারসন, ক্যাম্পেইন ম্যানেজার, ট্রেজারার ও সাপোর্টিং স্টাফ, নিয়োগ দিয়েছেন বিগত অক্টোবর মাস থেকেই। উল্লেখ্য, জনাব মজুমদার নিউ ইয়র্ক শহরে বর্ণবাদ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরূদ্ধে একটি বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর হিসেবে সূদীর্ঘ ৩০ বৎসর জনগনের পাশে আছেন।
নির্বাচনী গাড়ী বহর, ক্যাম্পেইন স্টাফ, ক্যাম্পেইন অফিস ও অফিস ম্যানেজারসহ একটি সুশৃঙ্খল কর্মী গ্রুপ সৃষ্টি করেছেন। জনাব মজুমদার বলেন, ”আমার পরিকল্পনা হচ্ছে আমার নির্বাচনী এলাকার দুই লক্ষ ভোটারের কাছে আমার নির্বাচনী এজেন্ডা ও পরিকল্পনা পৌঁছে দেওয়া”। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশী আমেরিকানরা এই শহরের কর প্রদানকারী একটি শক্তিশালী অংশ। আমাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক হিস্যা আদায় এবং আমাদের প্রতিনিধিত্ব আদায়ের সময় এখন। দূঃখজনক হলেও সত্য যে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে অবদান সৃষ্টিকারী এই নিউ ইয়র্ক শহরের স্টেটের বা ফেডারেল পর্যায়ের কোন স্থানেই বাঙ্গালীদের প্রতিনিধিত্ব নেই। আমাদের প্রতিনিধিত্ব আদায়ের এই সংগ্রামে যদি আমরা অংশগ্রহন ও জয়ী না হই, তাহলে এই শহরে আমাদের যত অর্জনই থাকুক না কেন, শহরের পলিসি নির্ধারণে আমরা অন্যের দারস্থ হয়ে থাকবো। অর্থাৎ আমাদের রাজনৈতিক অবস্থান অনেকটা উপজাতীয় বা গৌন সম্প্রদায়ের মতই থেকে যাবে।
মজুমদার অত্যন্ত যোগ্য ও মেধাবী প্রার্থী। তিনি জীবনের বেশীরভাগ সময়ই ব্রংক্সের পার্কচেস্টার এলাকায় স্বপরিবারে বসবাস করে আসছেন। তিনি ২২ বৎসর যাবৎ ১টি মাঝারি সাইজের ল’ ফার্ম ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বপালন করেছেন, স্থানীয় প্লানিংবোর্ডের দুইবার অন্তর্বতীকালীন চেয়ারম্যান, ২০১২ সন থেকে একই বোর্ডের ল্যান্ড এন্ড জোনিং বোর্ডের চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এছাড়া তাঁর রয়েছে, কয়েকটি ছোট ব্যবসা। জনাব মজুমদার বলেন, ”ছোট ব্যবসা এবং ল’ ফার্মের ম্যানেজমেন্টের অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে সিটি কাউন্সিলে কাজে লাগিয়ে আমি আমার এখানকার অর্থনৈতিক সাম্যতা, জনগনের নিরাপত্তা, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের উন্নয়ন, এফোর্ডেবল হাউজিং এর মাধ্যমে গৃহহীনতা দূরীকরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবো”।
তিনি আরও বলেন, ”নিজের এবং ছেলেমেয়ের উচ্চতম শিক্ষা, অর্থনৈতিক অর্জন শেষে বাকী জীবন জনগনের সেবায় নিয়োজিত করতে চাই। আমি ব্যক্তি জীবনে প্রতিষ্ঠিত, এখন সময় এসেছে, জনগনের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করার এবং এ জন্যই আমি সিটি কাউন্সিল নির্বাচনে প্রার্থী”। উল্লেখ্য, জনাব মজুমদার বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক। কন্যা নাসরিন একজন এটর্নী এবং ছেলে রাশেদ মজুমদার সহকারী ডিস্ট্রিক্ট এটর্নী হিসাবে যোগ দিচ্ছেন ব্রংক্স ডিস্ট্রিক্ট এটর্নী টীমে আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে।
Mohammed Mujumder কে আসছে ২২জুন সিটি কাউন্সিল নির্বাচনে ভোট দিয়ে এই সেরা শহরে লাল সবুজের পতাকাকে সমুন্নত করুন। এই শহরে বাংলাদেশীদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করুন।
Posted ১০:৩১ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৪ মার্চ ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh