নিউইয়র্ক : | বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪
নিউইয়র্ক স্টেটজুড়ে ঈদের ছুটি, ইসরাইলের গণহত্যায় তহবিল বন্ধ করাসহ ১০ দফা দাবিতে সম্প্রতি আলবেনিতে ‘১০ম বাংলাদেশি আমেরিকান অ্যাডভোকেসি ডে’ পালন করা হয়। নিউইয়র্ক স্টেটে বসবাসরত দেড় মিলিয়ন মুসলমান এবং অন্যান্য মাইনোরিটি জন-সমাজের পক্ষে বাংলাদেশি আমেরিকান এ্যাডভোকেসী গ্রুপ (বাগ), নিউইয়র্ক মুসলিম এ্যাকশন নেটওয়ার্ক (এনওয়াইম্যান) এবং দ্য কাউন্সিল অন আমেরিকান ইসলামিক রিলেশন্স (কেয়ার, এনওয়াই) এর সম্মিলিত উদ্যোগে দাবি-দাওয়া নিয়ে আলবেনি পার্লামেন্টে সিনেটর, অ্যাসেম্বলিম্যানসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সাথে কথা বলেন নেতৃবৃন্দ।
এই কর্মসূচির পর গত ১২ জুন সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের ইটজি রেষ্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় যে, প্রতিবছরের মত এবারও নিউইয়র্ক স্টেটে বসবাসরত মুসলমানের পক্ষে সুনির্দিষ্ট কিছু বিল নিয়ে কথা বলার জন্যে নিউইয়র্ক স্টেট ক্যাপিটাল আলবেনির উদ্দেশ্যে জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকা এবং ব্রঙ্কস থেকে দেড় শতাধিক কমিউনিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবী, স্কুল-কলেজের স্টুডেন্টদের নিয়ে বাস যোগে এবং ব্যক্তিগত গাড়ি বহরে গমন করেন।
বাগের সভাপতি জয়নাল আবেদীন সংবাদ সম্মেলনে জানান, আমাদের ৫৫ জন জনপ্রতিনিধির সাথে দেখা করার কথা ছিল। আমরা দেখা করেছি অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস, অ্যাসেম্বলিতে মেজরটি ও মাইনরটি লিডার ও গভর্নরের সঙ্গেও। আমাদের উপস্থিতিতে স্টেট অ্যাসেম্বলিতে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অ্যাসেম্বলির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমাদের ঈমাম মুফতি আনসারুল করিম চার মিনিট ধরে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন। এসময় তিনি বাইবেল ও তাওরাত থেকে রেফারেন্স টেনে সূরা আসরের বাংলা অনুবাদ করেছেন।
উপস্থিত নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির সবাই অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে এই তেলাওয়াত অনুধাবন করেছেন। জয়নাল আবেদীন আরো জানান, সেদিন নিউইয়র্ক সিটি থেকে ১২৫ জন এবং আলবেনীর আশেপাশের ১৫০ জনের মতো উপস্থিত ছিলাম। আমাদের যারা সহযোগিতা করেছেন সবাইকে ধন্যবাদ জানাই৷ বিশেষ করে স্পন্সরকারী সিনেটর রবার্ট জ্যাকসন, সিনেটর জেসিকা রামোস এবং সিনেটর জেসিকা স্কারটেলা এবং এ্যাসেম্বলীম্যান জোহরান মামদানী এবং চার্লস ড ফলস’র প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
জয়নাল আবেদীন আরও বলেন, আমরা আমাদের দাবিগুলো নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি, সবাই সহযোগিতা করছেন। আমাদের ঐ কর্মসূচিতে সিনেটর-অ্যাসেম্বলীম্যানরা উপস্থিত হওয়ার মাধ্যমে আমাদের সাথে একটা সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। আমাদের আঞ্চলিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো পেছন থেকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। আমাদের দাবিগুলো আদায়ের কৃতিত্ব একা এই সংগঠনের না, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার অংশ।জয়নাল আবেদীন উল্লেখ করেন, আমাদের সব দাবি ততক্ষণ আদায় হবে না, যতক্ষণ না আরও বেশি লোকজন অংশগ্রহণ না করবে।
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কর্মকান্ডের যখন আমাদের স্বার্থ সংরক্ষিত হচ্ছে না, তখন আমরা ব্ল্যাংক ব্যালটের প্রচারণা চালিয়েছি। আমরা এটাতে অনেকটা সফলও হয়েছি। আমাদের পক্ষ থেকে এই মেসেজটা কমিউনিটিকে দিতে চাই, আমরা যদি ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করি, তবে সিনেটে আমাদের প্রতিনিধি আমরাই বাড়াতে পারব। সংবাদ সম্মেলনে আরো ছিলেন বাংলাদেশি আমেরিকান এডভোকেসি গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক শাহানা মাসুম, নিউইয়র্ক মুসলিম অ্যাকশন নেটওয়ার্কের সভাপতি মীর মাসুম আলী, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) তোফায়েল, সংগঠনের বোর্ড অব ডাইরেক্টর ও অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আব্দুস সাত্তার, ট্রেজারার আব্দুর রহিম, আশিক মাহমুদ, মাহতাব খান, মেজবাহ, দিলরুবা চৌধুরী প্রমুখ।
Posted ১১:১৬ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh