শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫ | ২৯ আষাঢ় ১৪৩২

Weekly Bangladesh নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত

বাংলাদেশি পণ্যে ৩৫% শুল্ক নির্ধারণ ট্রাম্পের

বাংলাদেশ অনলাইন :   |   মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশি পণ্যে ৩৫% শুল্ক নির্ধারণ ট্রাম্পের

এপ্রিলের শুরুতে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। ছবি : এএফপি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটিতে রপ্তানি করা সব দেশের পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ স্থগিত করেছেন। তবে বাংলাদেশ, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ ১৪টি দেশের নেতাদের উদ্দেশে চিঠি পাঠিয়েছেন, যেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, তাদের কোন কোন পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করা হতে পারে। পাশাপাশি এসব দেশের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন, যেখানে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে তা এখনই কার্যকর হচ্ছে না।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউসের ঘোষণা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি করা পণ্যের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের কিছু ‘আক্রমণাত্মক’ কর আরোপের সিদ্ধান্ত ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছিল। সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ট্রাম্প এই নতুন পদক্ষেপ নিলেন।

ট্রাম্প ফের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আসা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হতে পারে। এ ছাড়া ১ আগস্ট থেকে বিভিন্ন দেশের ওপর আরোপযোগ্য শুল্কসংক্রান্ত বেশ কয়েকটি চিঠি বিশ্বনেতাদের কাছে পাঠিয়েছেন তিনি। আগামী ৯ জুলাই থেকে এসব উচ্চহারের শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। তবে হোয়াইট হাউস তা স্থগিত করে জানায়, তারা আপাতত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে চায়।

সোমবার ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে ১৪টি দেশের নেতাদের উদ্দেশে লেখা চিঠি প্রকাশ করেন। এতে তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে শুল্কের হার ‘বাড়ানো বা কমানো’ যেতে পারে। এই শুল্কের হারগুলো মূলত এপ্রিল মাসের ঘোষণার অনুরূপ, যেদিন ট্রাম্প ‘লিবারেশন ডে’ উপলক্ষে এক বিবৃতিতে বিভিন্ন দেশের ওপর ব্যাপক হারে শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন।

ট্রাম্পের যুক্তি, এই শুল্ক আরোপের মাধ্যমে বিদেশি প্রতিযোগিতার হাত থেকে মার্কিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো সুরক্ষা পাবে এবং দেশীয় উৎপাদন ও কর্মসংস্থান বাড়বে। তবে অর্থনীতিবিদদের মতে, এসব পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যের দাম বাড়বে এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য কমে যাবে। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি প্রধান শেয়ার সূচকই কিছুটা পড়ে যায়। টয়োটার যুক্তরাষ্ট্রে তালিকাভুক্ত শেয়ারের দাম কমেছে ৪ শতাংশ।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য তথ্য অনুযায়ী, গত বছর জাপান দেশটিতে ১৪৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি পণ্য রপ্তানি করেছে। এতে করে আমদানিকারকদের তালিকায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), মেক্সিকো, চীন ও কানাডার পর পঞ্চম অবস্থানে আছে জাপান। দক্ষিণ কোরিয়া রয়েছে শীর্ষ দশের মধ্যেই।

জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া ছাড়াও সোমবার ট্রাম্প মিয়ানমার ও লাওসের পণ্যের ওপর ৪০ শতাংশ, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার পণ্যের ওপর ৩৬ শতাংশ, সার্বিয়া ও বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ওপর ৩২ শতাংশ, দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর ৩০ শতাংশ এবং মালয়েশিয়া ও তিউনিসিয়ার পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপের পরিকল্পনার কথা জানান।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানান, আগামী দিনে আরও চিঠি পাঠানো হতে পারে। ৯ জুলাইয়ের পরিবর্তে ১ আগস্ট থেকে শুল্ক কার্যকর হওয়ার সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের হুমকির কার্যকারিতা কমিয়ে দেবে—এই ধারণা তিনি উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্বনেতারা সব সময় প্রেসিডেন্টকে ফোন করছেন, অনুরোধ করছেন চুক্তিতে পৌঁছাতে।’

অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেছেন, ‘আমরা সামনে কয়েকটা ব্যস্ত দিন দেখতে পাচ্ছি।’ তিনি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসিকে বলেন, ‘গত রাতে আমার মেইলবক্স ভর্তি ছিল। অনেক নতুন প্রস্তাব, অনেক নতুন চুক্তির প্রস্তাব এসেছে।’

এপ্রিল মাসে ট্রাম্প যেসব শুল্ক আরোপ করেছিলেন, সেগুলোকে তিনি ‘রিসিপ্রোক্যাল’ বা ‘পাল্টাপাল্টি’ বলেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানির ক্ষেত্রে যেসব অবিচার হচ্ছে, তার জবাব দিতেই এই পদক্ষেপ। এ ছাড়া, ট্রাম্প জাতীয় নিরাপত্তার কথা বলে স্টিল ও গাড়িশিল্পের ওপর আলাদা করে শুল্ক আরোপ করেছেন। ওষুধ ও কাঠসহ অন্য কিছু পণ্যের ওপরও শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন।

এসব বহুমুখী নীতির কারণে বাণিজ্য আলোচনায় জটিলতা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে বিশেষ করে গাড়ির ওপর শুল্ক জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনার প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্য ও ভিয়েতনামের সঙ্গে চুক্তি করেছে। চীনের সঙ্গেও একটি আংশিক চুক্তি হয়েছে। তবে তিন ক্ষেত্রেই আগের তুলনায় শুল্ক বেড়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয় এখনো অনিষ্পন্ন।

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ভারতের সঙ্গে একটি চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার পথে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গেও আলোচনা চলছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ইইউকে এখনো কোনো শুল্কসংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়নি। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়নের সঙ্গে ট্রাম্পের ‘সৌহার্দপূর্ণ’ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে এক মুখপাত্র।

তবে কয়েক সপ্তাহ আগেই ট্রাম্প হুমকি দিয়েছিলেন, যদি চুক্তি না হয়, তবে ইইউর ওপর ৫০ শতাংশ কর আরোপ করা হবে। গত সপ্তাহে ট্রাম্প বলেছিলেন, যদি জাপান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তিতে না পৌঁছায়, তবে তাদের ওপর ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হতে পারে। সময়সীমা হিসেবে তিনি বেঁধে দিয়েছিলেন বুধবার পর্যন্ত।

Posted ৯:১৭ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫

Weekly Bangladesh |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০৩১  
Dr. Mohammed Wazed A Khan, President & Editor
Anwar Hossain Manju, Advisor, Editorial Board
Corporate Office

86-47 164th Street, Suite#BH
Jamaica, New York 11432

Tel: 917-304-3912, 718-523-6299 Fax: 718-206-2579

E-mail: [email protected]

Web: weeklybangladeshusa.com

Facebook: fb/weeklybangladeshusa.com

Mohammed Dinaj Khan,
Vice President
Florida Office

1610 NW 3rd Street
Deerfield Beach, FL 33442

Jackson Heights Office

37-55, 72 Street, Jackson Heights, NY 11372, Tel: 718-255-1158

Published by News Bangladesh Inc.