নিউইয়র্ক সিটিতে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী। বীর মুুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর মাহমুদ গ্রহণ করেছেন মহতি এ উদ্যোগ। স্বাধীনতা পূর্ব বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, উনসত্তুরের গণ অভ্যুত্থান, একাত্তুরের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের সকল আন্দোলনসংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের শিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী সহ অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ছাত্রছাত্রীরা। নিজ নিজ শিক্ষার পাশাপাশি দেশের আর্থ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস ঐতিহ্য ধরে রাখতে নেমে এসেছেন রাজপথে। সামাজিক বৈষম্য দূর করে গণতন্ত্র ও মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় জীবন দান করতে কখনোই পিছপা হননি তারা। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে সরকার ও রাষ্ট্র পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছেন বহু শিক্ষার্থী। শুধু দেশে নয় যুক্তরাষ্ট্র সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এখন অত্যন্ত সুনামের সাথে কাজ করছেন তারা। দেশ ও জাতিকে করছেন মর্যাদাশীল। অথচ নানা কারণেই দেশের বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের এসব প্রাক্তণ শিক্ষার্থীরা তাদের প্রাপ্য মর্যাদা থেকে বঞ্চিত। এমনকি একই প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তণ শিক্ষার্থীদের মাঝে অনৈক্য বিভক্তি লক্ষ্যণীয়।

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশীদের একটি বড় অংশ এসব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তণ ছাত্রছাত্রী। তাদের রয়েছে বিভিন্ন এলামনাই এসোসিয়েশন। প্রবাসে নানাবিধ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও আয়োজন করছেন তারা। কিন্তু সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তণ ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে একক কোন এলামনাই এসোসিয়েশন গড়ে উঠেনি এখনো। সময়ের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রে এমন একটি আমব্রেলা সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছেন নিউইয়র্কের অত্যন্ত পরিচিত মুখ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলা সিডিপ্যাপ সার্ভিস ও অ্যালেগ্রা হোম কেয়ার’র প্রধান নির্বাহী ও প্রেসিডেন্ট আবু জাফর মাহমুদ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তণ এই শিক্ষার্থী নিজ চিন্তা চেতনা থেকেই দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তণ শিক্ষার্থীদের একটি মিলন মেলার আয়োজন করেছেন।

আহ্বান করেছেন সবাইকে ১ অক্টোবর, শনিবার সন্ধ্যা ৬টায়, নিউইয়র্ক সিটির উডসাইডস্থ গুলশান টেরেসে সমবেত হতে। যেখানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা মত বিনিময় করবেন। অংশ নিবেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশভোজে। এ প্রসঙ্গে অনুষ্ঠানটির আহ্বায়ক আবু জাফর মাহমুদ বলেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে এলামনাই এসোসিয়েশন থাকলেও বৃহত্তর পরিসরে কেন্দ্রীয়ভাবে একটি সংগঠনের অস্থিত্ব অনুভব করছেন অনেকেই। কিন্তু সময় ও সুযোগের অভাবে তা এতোদিন হয়ে উঠেনি। এক্ষেত্রে আমি শুধু অনুঘটকের কাজ করছি মাত্র। আবু জাফর মাহমুদ মনে করেন ১ অক্টোবরের অনুষ্ঠান হবে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির। এই পুনর্মিলনী উন্মুক্ত করে দিবে নূতন দিগন্তের দুয়ার। শিক্ষিত গবেষক প্রাক্তণ শিক্ষার্থীগণ প্রবাসে নিজ ভাগ্যোন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখতে পারবেন। দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সমুহের সকল শিক্ষার্থীকে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন আবু জাফর মাহমুদ।