বাংলাদে অনলাইন : | শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩
সউদী আরবের আলোচিত প্রয়াত সাংবাদিক জামাল খাশোগির স্ত্রীর রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদন গ্রহণ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। এই সংবাদমাধ্যমেই কলাম লিখতেন খাশোগি।
২০১৮ সালে তুরস্কের সউদী দূতাবাসে হত্যার শিকার হন জামাল খাশোগি। স্বামী হত্যার পর ওয়াশিংটনে আত্মগোপন করে ছিলেন হানান এলাতর। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা তদন্তের পর জানিয়েছিলেন যে, সউদীর যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশে খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে। তবে সউদী আরব বরাবরই এই দাবি অস্বীকার করে।
যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় আবেদন মঞ্জুর হওয়ার চিঠি পড়ে এলাতর বলেন, ‘আমি সত্যিই এটা বিশ্বাস করতে পারিনি’। সউদী সরকারের বড় সমালোচক খাশোগি ২০১৮ সালে ভার্জিনিয়ার উত্তরাঞ্চলে চলে যান। সেই বছর জুন মাসে ভার্জিনিয়াতে এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তিনি ও এলাতর বিয়ে করেছিলেন। এলাতর দুবাইতে থাকতেন। সেখানে তিনি বিমান সেবিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
খাশোগি পরে তুরস্কে চলে যান এবং ২০১৮ সালের অক্টোবরে সেখানে অন্য এক নারীকে বিয়ের তোড়জোড় করছিলেন। ইস্তাম্বুলের সউদী দূতাবাসে ওই নারীর বাবার জন্য একটি নথি আনতে গেলে খাশোগিকে হত্যা করা হয়। ওই নথিতে দেখানো হয় যে, তিনি সৌদি আরবে বিয়ে করেননি।
খাশোগি হত্যার এক বছরেরও বেশি সময় পরে ২০২০ সালের জুলাই মাসে এলাতর তার দীর্ঘদিনের বিমান সেবিকার চাকরিটি হারান। তাই তিনি ওয়াশিংটনে চলে আসেন এবং তার আইনজীবীর বাসস্থানে ১৮ মাস লুকিয়ে থাকেন।
ওয়াশিংটন পোস্ট বলেছে, নিজের আশ্রয়-প্রার্থনার আবেদনে এলাতর যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের জানান, খাশোগির সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কারণে তার নিজের দেশ মিশর তার পরিবারকে আটক করেছিল এবং তাদের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করেছিল। তার আইনজীবী বলেছেন, খাশোগির মৃত্যুর জন্য সউদী সরকারের থেকে এখনও ক্ষতিপূরণ দাবি করছেন এলাতর।
Posted ১০:১৬ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh