নিউইয়র্ক : | বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৩
গত ৮ আগস্ট নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের ট্রাফিক এনফোর্সমেন্ট এজেন্ট পদে কর্মরত সি.ডব্লিউ.এ লোকাল- ১১৮২-র সভাপতি সাইদ রহিম দুদুর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলার নিস্পত্তি হয়েছে। নিস্পত্তি হিসেবে মামলার বাদী মিস গেইল রামরুপকে ৩১৫,০০০ ডলার প্রদান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। উল্লেখ্য যৌন হয়রাানর অভিযোগে বরখাস্ত হয়েছেন নিউইয়র্ক ট্রাফিক ইউনিয়নের সভাপতি সাঈদ রহিম। অফিসের মহিলা সেক্রেটারী ৬ লাখ ডলারের ক্ষতিপূরণ মামলা করেছিলেন রহিমের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত ট্রাফিক ইউনিয়নের সভাপতি সাঈদ রহিমকে তার দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করে ইউনিয়নের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে ওয়াশিংটনের সংগঠনের জাতীয় কমিটি।
ইউনিয়ন প্রেসিডেন্ট সাঈদ রহিম দুদুর (৬৭) বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে ৬ লাখ ডলার ক্ষতিপুরণ দাবী করে ম্যানহাটান সুপ্রিম কোর্টে ২০১৯ সালে মামলা করেছিলেন অফিস সেক্রেটারি মিস গেইল রামরুপ। যেহেতু সকল অপরাধ ইউনিয়নে কর্মরত সময়ের মধ্যে হয়েছে তাই ঐ মামলায় ইউনিয়নকে ৫০০,০০০ ডলার এবং রহিমকে ১০০,০০০ ডলার ক্ষতিপুরণ দাবী করে মামলা হয়। মিস রামরুপের ফোনে যত প্রমাণাদি ছিলো তিনি তা আদালতে জমা দেন।
আদালতের কাছে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়। বিষয়টি আদালতের বাইরে নিস্পত্তির জন্য আদালতের কাছে সাঈদ রহিমের আইনজীবী আবেদন করলে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক ডেভিড কোহেন আদালতে বাইরে বিষয় নিস্পত্তির অনুমতি দেন। এ সুযোগ নিয়ে সাঈদ রহিম বিভিন্ন খাতে তার দেনা দেখিয়ে ব্যাংক্রাপ্টসি করেন। ২০১৯ সালে এ মামলা হবার পর সভাপতি রহিমকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে নতুন দায়িত্ব গ্রহন করেছিলেন ষ্টাফ রিপ্রেজেনটেটিভ রিকি মরিসন। ইউনিয়নে চলমান অর্থনৈতিক অনিয়ম বিষয়ে ফরেনসিক অডিট করান রিকি মরিসন। অডিটররা ৩৭টি অনিয়ম পান। সিডব্লিউএ প্রেসিডেন্সিয়াল মিটিংয়ে অভিযোগগুলো আলোচনা করে রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। উল্লেখ্য, ১৯৮০ সালে সাঈদ রহিম দুদু যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। ২০০৫ সালে নিউইয়র্ক ট্রাফিক বিভাগে চাকুরীতে যোগ দেন তিনি।
Posted ৪:৫৬ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh