নিউইয়র্ক : | বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১
গভর্নর এন্ড্রু কুমোর নির্দেশে গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে নিউইয়র্কের রেস্টুরেন্টগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। নিউইয়র্কে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৪ ডিসেম্বর থেকে দ্বিতীয়দফায় বন্ধ করে দেয়া হয়রেস্টুরেন্টগুলো। শুধুমাত্র চালু রাখা হয় আউটডোর ডাইনিং এবং টেক আউট সুবিধা। দুই মাস পর শর্তসাপেক্ষে ক্রেতাদের রেস্টুরেন্টের ভেতরে বসে খাওয়া দাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন গভর্নর। এই আদেশে রেস্টুরেন্টের ধারণক্ষমতার ২৫ শতাংশকাস্টমারকে ভেতরে বসে খাওয়ানো যাবে। তবে কাস্টমারদের মাস্ক পরিধান করা ও অন্যান্য স্বাস্থবিধি আগের মতোই মানতে হবে। দীর্ঘদিন পর সীমিত আকারে হলেও বসে খাওয়ার অনুমতি পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই রেস্টুরেন্ট মালিকরা উল্লসিত। রেস্টুরেন্টগুলোতে ভীড়বাড়তে শুরু করেছে। নিউইয়র্কের জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট খলিল বিরিয়ানিতে গিয়ে দেখা গেল ক্রেতাদের প্রচুর ভিড়। কাস্টমারদের সামলাতে কর্মীদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানরের স্বত্বাধিকারী শেখ খলিলুর রহমান জানান, প্যান্ডামিকের সময়েও আমাদের ক্রেতারা আমাদের উপর আস্থা রেখেছিলেন। তাই টেক আউটেও আমরা মোটামুটি ব্যবসা করেছি। এখন নতুন পরিস্থিতিতে সীমিত আসনে হলেও ভেতরে বসিয়েকাস্টমারদের আপ্যায়ন করা যাবে এটাই বড় কথা। কারণ এই শীতের সময়ে বাইরে খাওয়া-দাওয়া করা খুবই কষ্টের ব্যাপার ছিল। নিউইয়র্ক সিটিতে রয়েছে কয়েক হাজার রেস্টুরেন্ট। এর সঙ্গে মালিকের শুধু লাভ লোকসানের সম্পর্ক নয় ব্যবসা পরিচালনার সাথে যুক্ত আছে আরো কয়েক হাজার মানুষ। তাদের রোজগারে পরিবারের ভরণপোষণ হয়। রেস্টুরেন্ট ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার মালিকদের সাথে কর্মচারীদের কয়েক হাজার পরিবারেও নেমে এসেছে বিপর্যয়। মেয়র কর্তৃক রেস্টুরেন্ট খুলে দেওয়ার ঘোষণায় রেস্টুরেন্ট মালিক এবং কয়েক হাজার কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁকে ধন্যবাদ জানাই।
খলিলুর রহমান বলেন, করোনাভাইরাসের সংকটকালেও আমি আমার তিনটি রেস্টুরেন্ট চালু রেখেছি। যতটা না আমার ব্যবসার প্রয়োজনে তার চেয়ে বেশি আমার কর্মীদের দিকে চেয়ে। এই দুর্যোগের সময়েও আমি আমার একটি রেস্টুরেন্টে বৃহৎ পরিসরে স্থানান্তর করেছি। এতে আমার ক্রেতারা আরো স্বাচ্ছন্দ্যভাবে খাবার উপভোগ করতে পারবেন। তিনি আরো বলেন, নতুন রেস্টুরেন্টের বৃহৎপরিসরে ক্রেতাদের জন্য নতুন নতুন মেনু সংযোজন করেছি। ইনডোরে ২৫ শতাংশ কাস্টমার বসার অনুমতি থাকলেও পাশাপাশি আমার তিনটি রেস্টুরেন্ট থাকায় অনেক বেশি স্থান সংকুলান হবে। আইন মেনেও ছোট খাট পার্টি করা সম্ভব হবে। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের খলিল রেস্টুরেন্ট, খলিল হালাল চাইনিজ এবং খলিল হালাল গ্রিলের খাবারের স্বাদ গ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তি।
Posted ১০:০৬ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh