হৃদয়ে নারায়ণগঞ্জ ইউএসএ ইন্ক সকলের জন্য থ্যাঙ্কসগিভিং ডে পালনের এক বিশেষ আয়োজন করে। গত ২৬ নভেম্বর, শনিবার জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি সেন্টারে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেবিবিএ’র প্রেসিডেন্ট এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গিয়াস আহমেদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগজ্ঞ জেলা সমিতির সাবেক সভাপতি ও উপদেষ্টা শামসুল আলম লিটন, সারোয়ার খান বাবু, গোলাম হায়দার মুকুক, সাপ্তাহিক প্রবাস সম্পাদক মো: সাঈদ, ইঞ্জিনিয়ার নুরুল হক।

সভাপতি বিশেষ অতিথি ছাড়াও আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ সভাপতি আতিকুর রহমান, হাবিবুর রহমান, দিপক সাহা, কামাল হোসেন টিটু, হুমায়ুন কবির তুহিন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘হৃদয়ে নারায়ণগঞ্জ ইউএসএ’র প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান। পুরো অনুষ্ঠান জুড়েই ছিল আনন্দের আমেজ। প্রবাসী নারায়ণগঞ্জবাসী ছাড়াও কমিউনিটি এক্টিভিস্ট, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন।

প্রধান অতিথি গিয়াস আহমেদ তার বক্তব্যে এ ধরণের আয়োজনকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটি আমাদের একত্রিত হবার সুযোগ করে দিয়েছে। বছর জুড়ে সকল প্রাপ্তির জন্য সৃষ্টিকর্তা, পরিবার, বন্ধু-সুহৃদদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপনের জন্যে। এ ব্যতিক্রমি আয়োজনের জন্য ‘হৃদয়ে নারায়ণগঞ্জ’র পরিচালনা পর্ষদসহ উপদেষ্টামন্ডলীকে বক্তারা ধন্যবাদ জানান। তিনি আরো বলেন, আমি শুনে আনন্দিত যে হৃদয়ে নারায়ণগঞ্জ ইন্ক এরই মধ্যে ১০০টি কবর করেছে। এ জন্য আমি সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, উপদেষ্টা মণ্ডলীসহ কার্যকরি পরিষদের সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞা জানাচ্ছি। তিনি বলেন এটি একটি মহৎ উদ্যোগ যা সকলের জন্য অনুকরণীয়।

আমিও এই মহৎ কাজের অংশদার হতে চাই, আমি নিজে ২টি কবর কেনার জন্য অর্থ সংগঠকে অনুদান হিসেবে দিতে চাই। নারায়ণগজ্ঞ জেলা সমিতির সাবেক সভাপতি ও উপদেষ্টা শামসুল আলম লিটন তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জকে আমি সব সময়ই হৃদয়ে লালন করি, তাই আমি সব সময়ই হৃদয়ে নারায়ণঞ্জ সংগঠনের সাথে সব সময়ই থাকার ইচ্ছা পোষণ করি। নারায়ণগঞ্জ জেলা সমিতির সভাপতি থাকাকালীন আমি যেভাবে প্রবাসী নারায়ণগঞ্জবাসীর সাথে ছিলাম, এখনো আছি সেইভাবে হৃদয়ে নারায়ণগঞ্জ সংগঠনের সেবামূলক কাজের সাথেও সার্বিক সহযোগিতা কারার ইচ্ছা রাখি। এরই মধ্যে আমি আমার সামর্থ অনুসারে সংগঠকে একটি কবর কেনার অনুদান প্রদান করতে পেরে আনন্দিত।

সভাপতি অধ্যাপন রফিকুল ইসলাম তার সমাপনি বক্তব্যে বলেন, আপনার জেনে খুশি হবেন যে আমাদের কার্যকরী পরিষদের সদস্য দিপক সাহা হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও আমাদের মুসিল সম্প্রদায়ের কবস্থানের জন্য ২টি কবরের টাকা অনুদান হিসেবে দিয়েছে। যা সত্যিই প্রশংসাযোগ্য। আমি তার এই অনুদানের জন্য হৃদয়ে নারায়ণগজ্ঞ সংগঠনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সেই সাথে আহ্বানার রাখবো সকল নারায়ণঞ্জ বাসীকে পাশে থেকে আমাদের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান তার বক্তব্যে সকলের উদ্দেশ্যে ক্রয়কৃত ১০০ কবরের নকশা সকলের উদ্দেশ্যে উপস্থাপন করেন। এই এই কাজে সহায়তা করার জন্য যারা এগিয়ে এসেছেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠান জুড়েই ছিল হরেক রকমের মজাদার খাবারের আয়োজন। মঞ্চে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩টি রোস্ট করা বড় টার্কি কেটে খাবারের জন্যে উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। ম্যাশ পটেটু, ব্লাক বিনসসহ নানা আয়োজনে সাজানো টার্কি, ব্রেড, এপিটাইজার ছাড়াও ছিল হরেক রকমের মজাদার খাবার। খাবারের পাশাপাশি মঞ্চে চলে প্রবাসী শিল্পীদের পরিবেশনায় সঙ্গীতানুষ্ঠান। একের পর এক প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পীদের সঙ্গীতে উপস্থিত সকলেই মেতে উঠেন।