বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুক্তরাষ্ট্র সফরের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের সামনে বিক্ষোভ শেষে বাইডেন প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণতন্ত্র হত্যাকারী হিসেবে অভিহিত করে তার যুক্তরাষ্ট্র সফরের প্রতিবাদ জানাতে এ বিক্ষোভ কর্মসূচীর আয়োজন করে বিএনপি। বিক্ষোভে অংশ নেয়া নেতা-কর্মীরা জানান, তাদের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সোমবার দুপুরে বিভিন্ন স্টেট থেকে আগত বিএনপি নেতা-কর্মীরা কন্সটিটিউশন এভিনিউর সামনে বিক্ষোভে অংশ নেন। এসময় তারা সরকারের পদত্যাগের দাবি সম্বলিত ব্যানার, পোস্টার, প্ল্যা কার্ড হাতে নিয়ে বাংলাদেশের সরকার বিরোধী নানা শ্লোগানে মুখর করে তুলে হ্যারি এস ট্রু ম্যান বিল্ডিং খ্যাত স্টেট ডিপার্টমেন্ট ভবন প্রাঙ্গণ।

জাতিসংঘের সামনে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির বিক্ষোভ

স্টেট ডিপার্টমেন্টের সামনে বিক্ষোভ শেষে স্মারকলিপি প্রদান করে পরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা যোগ দেন হোয়াইট হাউসের সামনে আরেকটি বিােভে। বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাবেক আন্তর্জাতিক বিয়য়ক সম্পাদক ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি গিয়াস আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি শরাফত হোসেন বাবু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম, সাবেক কোষাধ্য জসিম ভুইয়া, জাসাসের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক গোলাম ফারুক শাহীন, নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সভাপতি মাওলানা অলিঊল্লাহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাঈদুর রহমান সাঈদ, যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বাবর উদ্দিন, যুবদল কেন্দ্রিয় কমিটির সাবেক সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এম এ বাতিন, বিএনপি নেতা সৈয়দ এম রেজা, সৈয়দা মাহমুদা শিরিন, দেওয়ান কাউসার, রিয়াজ মাহমুদ, সালেহ আহমেদ মানিক, জাহাঙ্গির সোহরাওয়ার্দি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মশিউর রহমান, আমানত হোসেন, কাওসার আহমেদ, নিউজার্সি (নর্থ) বিএনপির আহবায়ক সৈয়দ জুবায়ের আলী, পেনসিলভেনিয়া বিএনপির সভাপতি শাহ ফরিদ, যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম জনি, মনিরুল ইসলাম মনির, মো. আজিজুর রহমান, হাসাস মাহমুদ মামুন, আব্দুল খালেক, মো. আলী, নুরুন নবী চৌধুরী, কবির হোসেন, শামীম আহমেদ, রুহেলুজ্জামান চৌধুরী, সৈয়দ শফিকুর রহমান তপু, খোরশেদ আলম, ইকবাল খান, আইনুল হক আকন্দ, মশিউর রহমান, মো. জর্সিয়া, মো. রতন আলী, দুলাল মিয়া আলী আহমেদ, মো. শাহীন, আবু তাহের, এনায়েত উল্লাহ সুমন, জহিরুল ইসলাম, আবদুল করিম ভ’ট্রো, মনির আহমদ, রফিক আলম, মহিন উদ্দিন, ফয়সাল হোসেন, সৈয়দ জহির উদ্দিন আহমদ প্রমুখ।

পরে একই দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কন্ঠশিল্পী বেবি নাজনীন, স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহবায়ক জিল্লুর রহমান জিল্লু ও সদস্য সচিব মিজানুর রহমান ভুইয়া মিল্টন, এবাদ চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র যুব দলের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ আহমেদ, সংযুক্ত আরব আমিরাত বিএনপির সভাপতি জাকির আহমেদ প্রমুখ।

ওয়াশিংটন, ভার্জিনিয়া ও ম্যারিলেন্ড শাখা বিএনপি আয়োজিত বিােভ সমাবেশে সমন্বয় করেন ওয়াশিংটন বিএনপির আহবায়ক হাফিজ খান সোহেল, সিনিয়র সদস্য শাহাদাত সোহরাওয়ার্দী, ভার্জিনিয়া বিএনপির আহবায়ক জহির খান ও সদস্য সচিব তোফায়েল আহমেদ এবং মেরিল্যান্ড বিএনপির আহবায়ক শাহিদ চৌধুরী ও সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার সেলিম হোসেন। সমাবেশ থেকে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করা হয়। অপরদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকে সফল ও ফলপ্রসূ উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ একই দিন হোয়াইট হাউসের সামনে আনন্দ সমাবেশ করে।

প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সময় জাতিসংঘের সামনে বিএনপির বিক্ষোভ

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাষণ দেন ২৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার, দুপুরে। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণদানকালে জাতিসংঘ সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। প্রতিবছরের মতো এবারো যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন বিক্ষোভ সমাবেশে। নিউইয়র্ক ছাড়াও অন্যান্য স্টেটের নেতাকর্মীরা সকাল থেকেই সমবেত হন সমাবেশস্থলে। নিজেদের আভ্যন্তরীন ভেদাভেদ ভুলে সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত করে নেতাকর্মীরা ব্যানার ছাড়াও বহন করেন বিভিন্ন ধরণের শ্লোগান সম্বলিত ফেস্টুন প্ল্যাকার্ড। নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন বিক্ষোভ সমাবেশে। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচারী এবং অবৈধ সরকার প্রধান বলে উল্লেখ করে তার পদত্যাগ দাবি করেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশে এখন স্বৈরশাসন চলছে। মানুষের কথা বলার অধিকার নেই। মানুষের কথা বলার অধিকার নেই। রাষ্ট্রীয় সম্পদের চলছে অবাধ লুন্ঠন। বর্তমান সরকারের আমলে নজিরবিহিন গুম, খুন, হমালা মামলার সমালোচনা করেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোন নৈতিক অধিকার নেই জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার। নেতৃবৃন্দ বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তি এবং দেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দাবি করেন।

সমাবেশে কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সহ আন্তর্জাতিক সম্পাদক ও জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী বেবি নাজনীন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান জিল্লু ও সদস্য সচিব মিজানুর রহমান ভূইয়া মিল্টন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও মূলধারার রাজনীতিক গিয়াস আহমেদ, সাবেক সহসভাপতি শরাফত হোসেন বাবু, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসীম ভূঁইয়া, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সহকারি প্রেস সচিব আশিক ইসলাম, বিএনপি নেতা মঞ্জুর আহমদ চৌধুরী, গোলাম ফারুক শাহীন, মুক্তিযোদ্ধা দলের আলহাজ বাবর উদ্দিন, আলহাজ মাহফুজুল মওলা নান্নু, রফিকুল মাওলা, আব্দুস সবুর, নিউইয়র্ক মহানগর বিএনপির সভাপতি হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা এম এ বাতিন, যুক্তরাষ্ট্র জাসাস এর সভাপতি ্আলহাজ্ব আবু তাহের, স্বেচ্ছাসেবক দলের মাকসুদুল হক চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সভাপতি জাকির এইচ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ আহমেদ, আহবাব চৌধুরী খোকন, মিজানুর রহমান, আমানত হোসেন, আবুল কাশেম, শাহাদাত হোসেন রাজু, ছাত্রদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জনি। সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সিনিয়র নেতা কাজী আজাদ, আনোয়ারুল ইসলাম, মোশারফ হোসেন সবুজ, হেলালউদ্দীন, এমলাক হোসেন ফয়সল, ভিপি জসীম উদ্দিন, সাইফুল খান হারুন, শরিফুল খালিশদার, উত্তম বনিক, ফয়েজ চৌধুরী, নীরা রব্বানী, মাহমুদা শিরিন, মনির হোসেন, কানেকটিকাট বিএনপি সভাপতি তৌফিকুল আম্বিয়া টিপু, জর্জিয়া বিএনপি’র রহমান আজাদ প্রমুখ। ইউএসএনিউজঅনলাইন.কম