বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট ২০২২
নিউইয়র্কে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের সর্ববৃহৎ সংগঠন জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশন-জেবিবিএ। গিয়াস আহমেদ ও তারেক হাসান খানের নেতৃত্বাধীন জেবিবিএ’র বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে আদালতের শরণাপন্ন হন পরাজিত প্রার্থী মাহবুবুর রহমান টুকু। অভিযোগ ভিত্তিহীন প্রমাণিত হওয়ায় সম্প্রতি মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। কুইন্স কাউন্টির সাটফিন বুলেবার্ডেস্থ সুপ্রীম কোর্ট সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে এ রায় দেন।
উল্লেখ্য, গত ৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে গিয়াস তারেক প্যানেল কার্যনির্বাহী কমিটির সব কয়টি পদে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর পরাজয় না মেনে মাহবুবুর রহমান টুকু নব নির্বাচিত কমিটির বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেন। দীর্ঘ ৭ মাস মামলা চলার পর অভিযোগ ভিত্তিহীন প্রমাণ হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত মামলা খারিজ করে দেন। মামলার ফলাফল জানাতে জেবিবিএ গত ৯ আগষ্ট দুপুরে জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে জেবিবিএ কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেবিবি’র নির্বাচন প্রধান কমিশনার আব্দুন নূর বড় ভূইয়া, উপদেষ্টা আসেফ বারী টুটুল, মোহাম্মদ খালেক, সিনিয়র সহ সভাপতি মোল্লা এম এ মাসুদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, অর্থ সম্পাদক এস এম আবুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন ও নির্বাহী সদস্য ডাঃ বর্ণালি হাসান।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি গিয়াস আহমেদ বলেন, একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জেবিবিএ’র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। নির্বাচনটি ছিলো সুষ্ঠু এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী সভাপতি প্রার্থী মাহবুবুর রহমান টুকু নির্বাচনের ফলাফলে স্বাক্ষর করেছিলেন। এর অর্থই হচ্ছে তিনি নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিয়েছেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। গিয়াস আহমেদ বলেন, আমাদের সমাজে কিছু দুষ্টু লোক আছে। সেই দুষ্টু লোকের পরামর্শেই তিনি মামলা করেছিলেন। মামলা করেছেন ভালো কথা কিন্তু মামলায় যে কুরুচিপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করেছেন তা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। অত্যন্ত নিম্নমানের ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি বলেন, মাননীয় আদালত শুনানী শেষে সত্যের পক্ষে রায় দিয়েছেন এবং খারিজ করে দিয়েছে মাহবুবুর রহমান টুকুর আপিল । এর মাধ্যমে সত্যের জয় হলো, গণতন্ত্রের জয় হলো এবং পরাজয় হলো দুষ্টু লোকের। তবে আমরা আলোচনা সাপেক্ষে মানহানির মামলার কথা ভাবছি।
আব্দুন নূর বড় ভুইয়া বলেন, নির্বাচনে জয়-পরাজয় থাকবে এবং ফলাফল মেনে নেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। নির্বাচন কমিশনের কাজ হচ্ছে নির্বাচন পরিচালনা করা, এখানে নির্বাচন কমিশনের কোন স্বার্থ নেই। মামলার রায় নিয়ে তিনি বলেন, যারা মামলা করেছেন আশা করি তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে।
আসেফ বারী টুটুল বলেন, নির্বাচনের জয় পরাজয় থাকব্ েকিন্তু আমাদের নোংরামি বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনের আমরা যারা কাজ করছি তাদের স্ত্রীদের জড়িয়ে মামলায় যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে তা কোন ভদ্র লোক করতে পারে না। তাদের মনে রাখা উচিত আমরা একটি সভ্য ভদ্র সমাজে বসবাস করছি। তিনি বলেন, যারা অন্যের স্ত্রীকে সম্মান দিতে জানে না, তারা কিভাবে তাদের মা-বোনকে সম্মান দেন? মোল্লা মাসুদ বলেন, মাহবুবুর রহমান যখন মামলা করতে যাচ্ছিল আমরা তখন তাকে বারণ করেছিলাম মামলা না করার জন্য, তাকে ধৈর্য্য ধরতে বলেছিলাম। কিন্তু সে আমাদের কথা রাখেনি। উল্টো আমাদের কিছু নেতার স্ত্রীদের নিয়ে আজেবাজে কথা মামলায় উল্লেখ করেছে। এখন আমাদের সময় এসেছে মানহানির মামলা করার। তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই মানহানির মামলা করবো। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গিয়াস আহমেদ বলেন, আমরা অবশ্যই মামলা করবো। আবুল হাসান বলেন, আমরা অবশ্যই একশনে যাবো। কাউকে বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেবো না। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান এবং নির্বাহী সদস্য ডাঃ বর্ণালী হাসান সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
Posted ৫:৩৮ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট ২০২২
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh