বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
১৯৭০ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র বিদেশি নাগরিক, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের নাগরিকদের প্রিয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্ট ২০২২ এর পরিসংখ্যান অনুসারে যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৭০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশে জন্মগ্রহণকারী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ছিল ১২ মিলিয়ন বা এক কোটি ২০ লাখ, ২০২০ সালে এই সংখ্যা চারগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৫০ মিলিয়ন বা ৫ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। তাদের সন্তানসন্ততি, যারা যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেছেন, তারা যেহেতু জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক, অতএব তারা এই হিসেবের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত নয়।
যেসব দেশ থেকে সর্বাধিক সংখ্যক নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে তার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পার্শ্ববর্তী দেশ মেক্সিকোতে জন্মগ্রহণকারী লোকের সংখ্যা ১ কোটি ৫৩ লাখ ৩,১০৫ জন। এর পরের স্থান ভারতের, যে দেশটিতে জন্মগ্রহণকারী ২৭ লাখ ২৩ হাজার ৭৬৪ জন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছে। চীনে জন্মগ্রহণকারী ২১ লাখ ৮৪ হাজার ১১০ জন, ফিলিপাইনে জন্মগ্রহণকারী ২০ লাখ ৬১ হাজার ১৭৮ জন, এবং এল সালভেদরে জন্মগ্রহণকারী ১৪ লাখ ১০ হাজার ৬৫৯ জন যুক্তরাষ্ট্রে বাস করছে। এ বাইরে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে প্রায় দেড় কোটি অবৈধ বিদেশি, যারা আনডকুমেন্টেড ইমিগ্রান্ট হিসেবে পরিচিত।
ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্ট অনুযায়ী বিদেশিদের দ্বিতীয় পছন্দের গন্তব্য জার্মানি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জার্মানিতে এশিয়া ও আফ্রিকা, এমনকি পূর্ব ইউরোপীয় ও সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রগুলো থেকেও বিপুল সংখ্যক ইমিগ্রান্ট নানা উপায়ে জার্মানিতে প্রবেশ করে সেখানে এসাইলাম বা রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করছে। পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে, ২০০০ সালে জার্মানিতে ইমিগ্রান্ট সংখ্যা ছিল ৮৯ লাখ, ২০২০ সালে সে সংখ্যা বেড়ে ১ কোটি ১৬ লাখে উন্নীত হয়েছে। জার্মানিতে বসবাসকারী সর্বাধিক সংখ্যক ইমিগ্রান্ট পোলান্ডের, ২০২০ সালের হিসেবে ২১ লাখ ৪১ হাজার ৭২২ জন পোলিশ জার্মানিতে বসবাস করে। তুরস্কের ১৮ লাখ ৩৭ হাজার ২৮২ জন, রাশিয়ার ১১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৩১ জন, কাজাখস্তানের ১১ লাখ ২৮ হাজার ২০১ এবং সিরিয়ার ৭ লাখ ৭ হাজার ৪৫৭ জন নাগরিক জার্মানিতে ইমিগ্রান্ট হিসেবে রয়েছে।
আন্তর্জাতিক শ্রমবাজার হিসেবে মধ্যপ্রাচ্য এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোর শ্রমজীবী মানুষের কাছে এখনো সেরা গন্তব্য। মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার হচ্ছে সৌদি আরব। দেশটিতে ২০০০ সালে ৫৩ লাখ বিদেশি শ্রমিক ছিল, যা ২০২০ সালে এক কোটি ৩৫ লাখে উন্নীত হয়। সৌদি আরবে ভারতের ২৫ লাখ ২,৩৩৭ জন, ইন্দোনেশিয়ার ১৭ লাখ ৯,৩১৮ জন, পাকিস্তানের ১৪ লাখ ৮৩ হাজার ৭৩৭ জন এবং বাংলাদেশের ১৩ লাখ কর্মী রয়েছে। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে যেসব দেশে ইমিগ্রান্ট সংখ্যা কোনো ক্ষেত্রে দেশগুলোর মোট জনসংখ্যার চেয়ে বেশি, তাদের কোনোটি ব্যতিক্রম ছাড়া বিদেশিদের স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দেয় না অথবা ন্যাচারালাইজড নাগরিক হওয়ার সুযোগ নেই বললেই চলে।
Posted ২:১৫ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh