বাংলাদেশ রিপোর্ট | শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ছবি: সংগৃহীত
ফেডারেল ইমিগ্রেশন আইনকে বৃদ্ধঙ্গুলি দেখিয়ে টেক্সাস স্টেট সরকার ইমিগ্রান্ট বিরোধী তাদের নিজস্ব কঠোর আইন প্রয়োগ শুরু করার পর ইমিগ্রান্টদের অনুপ্রবেশ বেড়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার সীমান্ত দিয়ে। টেক্সাস স্টেট সরকার গত ৬ ফেব্রুয়ারি তাদের স্টেটে ইমিগ্রান্ট বিরোধী নতুন যে আইনটি কার্যকর করেছে, অবৈধ ইমিগ্রান্ট ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো সীমান্তে আবারও গুরুতর সংকট সৃষ্টি হয়েছ্ ে২০২৩ সালে আইনটিতে স্বাক্ষর করার সময় টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগরি অ্যাবোট বলেছিলেন, এই আইন সীমান্ত ডিঙিয়ে অবৈধ ইমিগ্রান্টদের টেক্সাসে ব্যাপক সংখ্যায় অনুপ্রবেশ ঠেকাতে, সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণের জন্য অতিরিক্ত তহবিল যোগাতে এবং মানব পাচার নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করবে।
সিবিএস নিউজের এক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রে অনুপ্রবেশকারী বিদেশির মধ্যে বিপুল সংখ্যায় আসছে চীন থেকে, যাকে সম্পূর্ণ নতুন একটি প্রবণতা বলে উল্লেখ করেছেন, সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা। তাদের একটি অংশ চীনে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা সংগ্রহ করতে না পেরে ইকুয়েডরে আসেন এবং সেখান থেকে বিমানে আসেন মেক্সিকোর টিজুয়ানাতে, যেটি ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান ডিয়োগের ঠিক উল্টো পাশে। সেখান থেকে তারা পার্বত্য পথে সীমান্ত অতিক্রম করে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন। সীমান্তবর্তী একটি কাউন্টির শেরিফ মার্ক ল্যাম্ব দাবি করেছেন যে ২০২৩ আর্থিক বছরে ৩৭,০০০ চীনা নাগরিক সীমান্ত অতিক্রম যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছেন এবং চলতি আর্থিক বছরের প্রথম চার মাসে (অক্টোবর-জানুয়ারি) সীমান্ত পেরিয়ে আসা চীনা নাগরিকের সংখ্যা ২০,০০০ ছুঁয়েছে শেরিফ ল্যাম্বের মতে, ক্যালিফোর্নিয়ার এই সীমান্তে কোনো সীমান্ত প্রতিবন্ধক নেই এবং উঁচু পর্বতকে প্রতিবন্ধক হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে আসছিল। কিন্তু ইমিগ্রান্টরা এ প্রতিবন্ধক পেরিয়ে দলে দলে যুক্তরাষ্ট্রে অনুপ্রবেশ করে জাকুম্বা হট স্প্রিংসে আসছে।
মার্ক ল্যাম্ব বলেছেন যে, চীন থেকে আগত ইমিগ্রান্ট প্রবাহ অন্যান্য দেশ থেকে আগত ইমিগ্রান্টদের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন। চীন আমেরিকার সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী, তাদের সরকার ব্যবস্থা সেন্ট্রাল আমেরিকা বা পৃথিবীর অন্য যে কোনো দেশের শাসনব্যবস্থার চেয়ে ভিন্ন। যারা চীন থেকে আমেরিকায় আসছে, তারা আমেরিকানদের মতো নয়। কোনো কমিউনিস্ট দেশে লোকজনের ইচ্ছা হলেই কোথাও যাওয়া এবং ফিরে আসা সম্ভব নয়। তারা ভিন্ন সংস্কৃতিতে বেড়ে উঠেছে, তাদের ঢালাও আগমন আমেরিকার জন্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তিনি আরো বলেন, প্রথম চার মাসে ২০ হাজার চীনা নাগরিকের অনুপ্রবেশ শঙ্কাজনক খবর, বিশেষ করে তারা যখন সামরিক বাহিনীতে যাওয়ার বয়সী লোকজন।
Posted ৫:৪২ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh