কুইন্সের আল-আমিন জামে মসজিদের উদ্যোগে গত ৭ এপ্রিল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হলো কম্যুনিটি ইফতার মাহফিল। ২০১৬ সাল থেকে এই ইফতার অনুষ্ঠানটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ইফতার মাহফিলে প্রতিবারের মত এবারও বহু অমুসলিম অংশগ্রহণ করেন। মসজিদের প্রতিবেশীদের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে কয়েকদিন ধরে তাদের বাড়িতে গিয়ে দাওয়াত দিয়ে আসা হয় যাতে নির্ধারিত দিনে ও সময়ে তারা ইফতার মাহফিলে অংশ নেন।

শুক্রবার অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলটি মুসলিম অমুসলিমদের এক মিলনমেলায় পরিণত হয়। অংশগ্রহণ করেন অ্যাসেম্বলি মেম্বার স্টিবেন রাজা, কাউন্সিল ওম্যান জুলি ওন, কম্যুনিটি লিডার ও ছাত্র নেতা সাহাবউদ্দিন, আবু তালেব চান্দু, হাজী আব্দুর রহমান, মো. ইসলাম, জাবেদ উদ্দিন, সোহেল আহাম্মদ, ইমাদ তরফদার, আলমগীর হোসেন, আবদুল হান্নান, আমির আলী, কয়েস আহাম্মদ, জসীম উদ্দিন সাদেক, শামীম, আমিন উদ্দিন, শাফায়ত খান প্রমুখ।

মাহফিলের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাইসা আলম, শফিক আবেদীন, হাফেজ ইসরাক, প্রতিবেশীদের হক ও অধিকার সম্পর্কে কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে বক্তব্য রাখেন ফাইজা তাহমিন, ইসলামেনারীর অধিকার ও মর্যাদা সম্পর্কে পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহর উদ্ধৃতি দিয়ে বক্তব্য রাখেন সুবহা তাসনিম।

সভাপতির বক্তব্যে জয়নাল আবেদীন বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। প্রতিবেশীদের প্রতি বিভিন্ন দায়িত্ব প্রতিটি মুসলমানের রয়েছে। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে প্রতিবেশীদেরকে শ্রদ্ধাও ভালবাসা দিয়ে মিলেমিশে চলতে হবে।
ইসলাম আমাদেরকে এই শিক্ষাই দিয়ে থাকে। আমেরিকার মত একটি বহুজাতিক সমাজে প্রতিটি মুসলমানের কর্তব্য হলো জাতি ধর্ম নির্বিশেষে প্রতিটি প্রতিবেশীর খোঁজ খবর রাখা।

তাদের বিপদে নিজের সাহায্যের হাতকে প্রসারিত করা। ইসলাম কখনও তলোয়ার দিয়ে জয়ী হয়নি প্রিয় নবী রাসুল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইনসাফ ভিত্তিক বিচার ব্যবস্থা, অন্য ধর্মালম্বীসহ সবার প্রতি সহর্মিতা, নারীদের মর্যাদা শিশুদের অধিকার ও তাদের ভালোবাসার উদাহরণগুলো অনুসরণ করে ইসলামে মানুষ দলে দলে ইসলামের সুশীতল পতাকা তলে সমবেত এসেছে। কম্যুনিটির ইফতারের মাধ্যমে আল আমিন মসজিদ এই কাজটি করতে চায়। এতে তিনি সর্বস্তরের মুসল্লিদের সহযোগিাতা চান এবং যারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন তাদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা লুৎফুর রহমান চৌধুরী দোয়া পরিচালনা করেন এবং মুসলিম অমুসলিম সবাই দোয়াতে অংশগ্রহণ করেন।