নিউইয়র্ক | শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৪
গত ২০ জানুয়ারি শনিবার বিকেলে জ্যামাইকার একটি রেস্টুরেন্টে ঊনবাঙালের ৪১তম সাহিত্যসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সূচনা করেন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মুক্তি জহির। আলোচনা পর্ব পরিচালনা করেন কবি সুমন শামসুদ্দিন। এবারের আলাপচারিতার বিষয় ছিল “প্রবাসে বাংলা সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতা। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কবি কাজী জহিরুল ইসলাম, আবৃত্তিকার আহসান হাবিব এবং সাংবাদিক ও সমাজসেবক শেখ সিরাজ। কাজী জহিরুল ইসলাম সৃজনশীল সাহিত্য ধারাকে সবচেয়ে বেশি অবহেলিত উল্লেখ করেন, সমাজের বিত্তবানদের আহবান জানান প্রকৃত প্রতিভা বের করে তাদের তুলে ধরার কাজে সহযোগিতার জন্য। আহসান হাবিব তার বক্তব্যে বলেন, সস্তা বিনোদনের প্রতি পৃষ্ঠপোষকদের আগ্রহ অধিক পরিলক্ষিত হয়, তাদেরকে মেধাবিকাশে আগ্রহী করে তুলতে হবে। সমাজের বিত্তবানেরা কেন প্রতিভা বিকাশে এগিয়ে আসেন না তার কারণ বর্ণনা করতে গিয়ে শেখ সিরাজ বলেন, কারণ তারা সচেতন নাগরিক নন, শিক্ষিত এবং সচেতন নাগরিক হয়ে ওঠার জন্য দরকার পাঠাভ্যাস। ক্ষেত্রে ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। শ্রোতাদের মধ্য থেকে অধ্যাপক ইমাম চৌধুরী জানতে চান, ডায়াস্পোরা সাহিত্যের প্রকৃত অর্থ কি? কবি মিয়া এম আসকির বিজ্ঞান ও কবিতার দ্বন্দ্ব সম্পর্কে এবং বিত্তবানেরা কেন সাহিত্যের প্রতি আগ্রহী না হয়ে গান-বাজনার পৃষ্ঠপোষকতায় অধিক আগ্রহী সে সম্পর্কে জানতে চান। ড. নার্গিস আহমেদ ‘ঊনবাঙাল’ শব্দটির অর্থ জানতে চান। এ ছাড়া সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব রবিউল হাসান রুবেল সভার তাৎপর্য নিয়ে মন্তব্য করেন। কবি কাজী জহিরুল ইসলাম ও আহসান হাবিব দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। দ্বিতীয় পর্বে ছিল স্বরচিত কবিতা পাঠ ও আবৃত্তি। এ পর্যায়ে অংশগ্রহণ করেন দিমা নেফারতিতি, নাসিমা আখতার, সুমন শামসুদ্দিন, আহসান হাবিব, সুলতান বোখারী, মিয়া এম আসকির, রেণু রোজা, মুন্না চৌধুরী, সোহানা নাজনীন, নানজীব ইমাম চৌধুরী, নিবরাস ইমাম চৌধুরী, হুমায়ূন কবীর, ওয়াহেদ হোসেন, দেওয়ান নাসের রাজা, মো: নজরুল ইসলাম, এস এম মোজাম্মেল হক প্রমূখ। পাঠ পর্ব পরিচালনা করেন অধ্যাপক ইমাম চৌধুরী।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্ব ছিল পঠিত লেখাগুলোর অনুপুঙখ বিশ্লেষণ। কবি কাজী জহিরুল ইসলাম বিশ্বসাহিত্যের নানান দৃষ্টান্ত ও উদ্ধৃতি তুলে ধরে পঠিত প্রত্যাকটি লেখার সবল ও দুর্বল দিক চিহ্নিত করেন এবং লেখকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেন। অনুষ্ঠান শেষে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি কবি কাজী জহিরুল ইসলামের জন্মোৎসব উদযাপনের জন্য একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। শেখ সিরাজ আহ্বায়ক, দিমা নেফারতিতি এবং সুমন শামসুদ্দিন যুগ্ম আহ্বায়ক এবং আহসান হাবিবকে সদস্য সচিব নির্বাচিত করা হয়।
Posted ২:০০ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh