শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০

Weekly Bangladesh নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত
যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে সংক্রমিত ২ লাখ ৭২ হাজার ॥ নিউইয়র্কের হাসপাতালে বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা

ওমিক্রন আক্রান্তের ভয়াবহ নতুন রেকর্ড

বাংলাদেশ রিপোর্ট :   |   বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২১

ওমিক্রন আক্রান্তের ভয়াবহ নতুন রেকর্ড

করোনা ভাইরাসজনিত মহামারীর ঘাতক থাবা যখন তৃতীয় বছরে পড়তে যাচ্ছে তখনও যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ভাইরাসে দৈনিক ২৭২,০০০ আমেরিকানের সংক্রমিত হওয়ার ঘটনা নতুন করে আতংকের সৃষ্টি করেছে। দৈনিক সংক্রমণ হারা এর আগের রেকর্ড ছাড়িভে গেছে। চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি দৈনিক সংক্রমণের সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল ২৫১,৩২২। তা সত্বেও সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) ক্ষেত্র বিশেষে সংক্রমিত ব্যক্তিদের আইসোলেশনের সময়সীমা হ্রাস করার ঘোষণা দিয়ে বলেছে যে আমেরিকানদের দৈনিন্দিন জীবনযাত্রায় যাতে আর কোনো বিঘ্ন না ঘটে সেজন্য এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে দৈনিক সংক্রমণ হার রেকর্ড পর্যায়ে পৌছার পর্যায়ে ফেডারেল স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা গত সোমবার ইতিপূর্বে ভ্ইারাসে আক্রান্ত আমেরিকানদের জন্য আইসোলেশনের সময়সীমার চেয়ে বর্তমান সময়সীমা অর্ধেকে হ্রাস করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। তারা আশা করছেন যে এর ফলে মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে কোন বাধার সৃষ্টি হবে না। করোনা ভাইরাসের ওমিক্রন ভেরিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে অবকাশ মওসুমে ভ্রমণের ক্ষেত্রে আমেরিকানরা বেশি দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। কারণ ভ্রমণ সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানে ইতোমধ্যে লোকবল কমে গেছে, যার ফলে হাজার হাজার ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে এবং এখন স্বাস্থ্যসেবা খাত থেকে শুরু করে রেস্টুরেন্ট ও খুচরা ব্যবসায়ে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়তে শুরু করেছে।


উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে সেই বছরের সামারে মৃত্যুহার হু হু করে বৃদ্ধি পেতে থাকে। তখন থেকে গতকাল ২৯ ডিসেম্বর গত ২১ মাসে বিশ্বে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিল ২৮১,৪০০,৬৪৬ এবং মৃত্যু ঘটেছে ৫,৪০৬,৮১৮। এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমিত হয়েছে ৫৩,১৬৮,৬৮২ এবং মারা গেছে ৮১৯,২০১ জন। করোনায় মৃতের সংখ্যার দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে। মৃতের সংখ্যায় সর্বোচ্চ অবস্থান ব্রাজিলের, যেখানে মারা গেছে ৬১৮,৭৯৭, ভারতে মারা গেছে ৪৮০,৫৮২, রাশিয়ায় ৩০৭,০২২, মেক্সিকোতে ২৯৮,৭৭৭ ও যুক্তরাজ্যে ১৪৮,২০১। যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ সংখ্যক মারা গেছে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনবহুল স্টেট ক্যালিফোর্নিয়ায়, যেখানে মৃতের সংখ্যা ৭৩,৮৭৫, টেক্সাসে ৭৩,৪২৬, ফ্লোরিডায় ৬১,১৪৭ এবং নিউইয়র্কে ৫৭,২১৭ জন।

সিডিসি’র ডাইরেক্টর ডা: রশেল ওয়ালেনস্কি বলেছেন, দ্রুত সংক্রমণশীল ডেল্টা ও ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট দ্রুত বিস্তার লাভ করছে, মৃত্যু হার বাড়ছে এবং আমাদের সমাজের সম্ভাব্য সকল ক্ষেত্রে এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের দ্রুত বিস্তারের ক্ষমতা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বিস্মিত করেছে। সিডিসির এর আগের নির্দেশনায় কেউ ভাইরাস টেস্টে পজেটিভ হলে দশদিন পর্যন্ত তাকে আইসোলেশনে থাকার সুপারিশ করা হয়েছিল। কিন্তু সোমবারের নির্দেশনায় যাদের ভাইরাস টেস্ট ফলাফল পজেটিভ, কিন্তু আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ নেই অথবা যাদের পজেটিভ ফলাফলসহ জ্বর ও অন্যান্য লক্ষণ নেই তাদের ক্ষেত্রে আইসোলেশনের সময়সীমা পাঁচদিনে নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। যারা আইসোলেশনের সময় শেষ করবে, অন্যান্য মানুষের কাছে আসতে তাদের মাস্ক পরিধান করতে হবে আরও পাঁচ দিন।


ওমিক্রনের দ্রুত বিস্তারে আমেরিকার স্বাস্থ্যসেবা খাত হুমকির মুখে পড়েছে; বিশেষ করে এখনো কোটি কোটি মানুষ ভ্যাকসিন দেওয়ার বাইরে রয়ে যাওয়ায় হুমকি দিনদিন আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না সিডিসি। গত বছরের শীত মওসুম ছিল সংক্রমণ ও মৃত্যু হারের দিক থেকে ভীতিকর এক বছর, সে তুলনায় এবার ইতোমধ্যে দেশজুড়ে ৬২ শতাংশ মানুষ দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছে এবং তাতে সংক্রমিত হওয়া বা সংক্রমিত হলেই মৃত্যুর আশঙ্কা কমেছে।

সিডিসি ডাইরেক্টর বলেছেন যে এই হুমকি হ্রাসের অন্যতম উপায় হতে পারে যারা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেননি তাদের ভ্যাকসিন নেয়া এবং যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদের বুস্টার ডোজ গ্রহণ করা এবং তা করা হলে লোকজন নিরাপদে তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। যারা আক্রান্ত ও আইসোলেশনে থাকবেন তাদের জন্য সিডিসির সুপারিশ হচ্ছে আইসোলেশনের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই যাতে তারা র‌্যাপিড টেস্ট করিয়ে নেন। বিজ্ঞানিদের মতে এটি এমন এক ব্যবস্থা যা আশ্বাসের সৃষ্টি করে যে সংক্রমিত ব্যক্তি ভাইরাস ছড়াচ্ছেন না।


এছাড়া সিডিসি আক্রান্ত না হওয়া আমেরিকানদের জন্য ক্ষেত্র বিশেষে কোয়ারেন্টাইনের সময়সীমাও হ্রাস করেছে। সিডিসি বলেছে যে যারা ভ্যাকসিন নেয়নি, কিন্তু ভাইরাসে আক্রান্তদের সংষ্পর্শে এসেছে তাদের কোয়ারেন্টাপইনের সময়সীমা ১৪ দিন থেকে ৫ দিনে হ্রাস করা হয়েছে। যারা মডার্না বা ফাইজারের ভ্যাকসিন নেয়ার পর ছয় মাস অতিক্রম করেছেন অথবা জনসন এন্ড জনসনের ভ্যাকসিন নেয়ার পর দুই মাস অতিক্রম করেছেন, কিন্তু বুষ্টার ডোজ নেননি তাদের ক্ষেত্রে টেস্ট ফলাফলে পজেটিভ ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসার পর ৫ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। যারা বুষ্টার ডোজ নিয়েছেন তাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকার প্রয়োজন নেই। তবে কেউ সংক্রমিতদের সংষ্পর্শে এসে থাকলে তাকে অন্যদের কাছে যেতে দশ দিন পর্যন্ত মাস্ক পরতে হবে।

ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট এতো দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে যে গত এক সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমিত সংখ্যার দৈনিক গড় ছিল ২৭২,০০০, যা এর পূর্ববর্তী ১৪ দিনের দৈনিক গড়ের চেয়ে ৮৩ শতাংশ অধিক। ভাইরাসে মৃত্যু হার ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে গত এক সপ্তাহের দৈনিক জাতীয় গড় মৃত্যু ছিল ১,২৪৩ জন, যা চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারী ছিল ৩,৩৪২জন। হাসপাতালে ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর ভর্তি সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে দেনিক ৭১,০০০ এর অধিক সংখ্যক লোক ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তবে সিডিসি এখন বলছে যে, ডেল্টা ভেরিয়েন্ট এখনো ঘাতক ভাইরাস হিসেবে বিদ্যমান এবং বর্তমানে আক্রান্তদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ডেল্টা ভেরিয়েন্টে সংক্রমিত। স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যেও ক্রমবর্ধমান হারে ডেল্টা ভেরিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হওয়ায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরাও ডেল্টা ভেরিয়েন্টে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি বেড়েছে। ওমিক্রনে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সংক্রমিত হওয়ার হার ধারণার চেয়ে কম, মঙ্গলবার তা ছিল ৫৯ শতাংশ।

ওমিক্রন সর্বপ্রথম ধরা পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় এবং এখন তা বিশ্বজুড়ে ব্যাপকভাবে সংক্রমিত হলেও বিজ্ঞানিরা এর একটি ভালো দিকের কথা বলছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানিরা নতুন ল্যাবরেটরি টেস্টেও ফলাফলে দেখিয়েছেন যে ওমিক্রন ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার পর আরোগ্য লাভ করলে তার শরীরে ডেল্টা ভেরিয়েন্ট মোকাবিলা করার ক্ষমতার সৃষ্টি হয়। ইউরোপের কয়েকটি দেশের পরীক্ষানিরীক্ষার পর বিজ্ঞানিরা একই ধরনের মতামত ব্যক্ত করেছেন। তা সত্বেও ব্রিটেন, ফ্রান্স, স্পেনসহ বেশ কিছু সংখ্যক ইউরোপীয় দেশ ভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার রোধের লক্ষে এর আগে শিথিল করা বিধিনিষেধগুলো পুনরায় আরোপ করে যারা ভ্যাকসিন নিয়েছে তাদের বুস্টার ডোজ নেওয়ার ওপর জোর দিচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও একই পথ অবলম্বনের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বার বার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যে লকডাউনের যুগের অবসান ঘটেছে এবং তিনি ভাইরাস টেস্ট বৃদ্ধি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। একই সাথে ভ্যাকসিন অভিযান বৃদ্ধি করার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোতে নির্দেশ দিয়েছেন। তবে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এ ব্যবস্থাকে ভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার রোধে পর্যাপ্ত বলে মনে করছেন না। তারা আরো অধিক ও প্রবল ব্যবস্থা গ্রহণ করার পক্ষে, যাতে নিয়মিত টেস্ট করার পাশাপাশি ভ্যাকসিন না নেয়া ব্যক্তিদের ভ্যাকসিন নেয়া নিশ্চিত করা হয় এবং যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদের বুস্টার ডোজ নিতে উৎসাহিত করা হয়।

নিউইয়র্কে হাসপাতালে বাড়ছে শিশুর সংখ্যা

করোনাভাইরাসের নতুন আবিষ্কৃত ধরন ওমিক্রনের প্রভাবে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে ব্যাপকভাবে কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্করা; সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এ রোগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শিশু-কিশোর-কিশোরীর সংখ্যাও। গত ২৪ ডিসেম্বর এক বিবৃতিতে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, ‘শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের করোনায় আক্রান্ত হওয়া এবং এতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তির প্রবণতা প্রতিদিনই বাড়ছে। নিউইয়র্কের স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেব অনুযায়ী, গত ৫ ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শিশু-অপ্রাপ্তবয়স্কদের সংখ্যা বেড়েছে চার গুণ।’বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এসব শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের প্রায় অর্ধেকেরই বয়স ৫ বছরের চেয়ে কম।

২০২০ সালে মহমারী শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত করোনায় মোট সংক্রমণ ও মৃত্যুর হিসেবে বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে ওমিক্রনের কারণে দেশটিতে ফের ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে দৈনিক সংক্রমণের হার। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, গত সাত দিনে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন গড়ে আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৯০ হাজার মানুষ। এ দিকে বড়দিন ও নববর্ষের ছুটি পরিবার ও প্রিয়জনদের সঙ্গে কাটাতে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য ও বিদেশে যাওয়ার তোড়জোড় চলছে মার্কিনিদের মধ্যে। বিমানে ওঠার জন্য করোনা টেস্ট সনদ বাধ্যতামূলক হওয়ায় দেশজুড়ে টেস্টেং কেন্দ্রগুলোতে তাই চলছে অস্বাভাবিক চাপ।

ফলে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক অঞ্চলে করোনা টেস্টের গতি কমে গেছে। মহামারীবিষয়ক শীর্ষ উপদেষ্টা অ্যান্থনি ফাউসি ও এই সমস্যাটি স্বীকার করেছেন এবং আশ্বাস দিয়েছেন, দ্রুত এর সমাধান বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।এ দিকে এত দিন ধরে কেবল টিকাদান কর্মসূচির ওপর জোর দেওয়া ও করোনা টেস্টিং সক্ষমতা না বাড়ানোর কারণে দেশজুড়ে প্রবল সমালোচনা মুখে পড়েছে হোয়াইট হাউজ।

advertisement

Posted ১০:৩৭ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২১

Weekly Bangladesh |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  
Dr. Mohammed Wazed A Khan, President & Editor
Anwar Hossain Manju, Advisor, Editorial Board
Corporate Office

85-59 168 Street, Jamaica, NY 11432

Tel: 718-523-6299 Fax: 718-206-2579

E-mail: [email protected]

Web: weeklybangladeshusa.com

Facebook: fb/weeklybangladeshusa.com

Mohammed Dinaj Khan,
Vice President
Florida Office

1610 NW 3rd Street
Deerfield Beach, FL 33442

Jackson Heights Office

37-55, 72 Street, Jackson Heights, NY 11372, Tel: 718-255-1158

Published by News Bangladesh Inc.