নিউইয়র্ক : | বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২০
বাংলাদেশি কমিউনিটির অত্যন্ত পরিচিত মুখ, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক কার্যকরী কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ স্পোটর্স কাউন্সিলের সাবেক কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ স্পোটর্স ফাউন্ডেশনের সহসভাপতি হারুন আর রশীদ হ্যানরি আর নেই (ইন্না লিল্লাহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। তিনি স্ত্রী, ৫ ভাই, তিন সন্তান, নাতি- নাতনী, আত্মীয়স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। জানা গেছে, হারুন আর রশীদ হ্যানরি প্রায় এক বছর ধরে অসুস্থ ছিলেন। গত বছর এলেমহার্স্ট হাসপাতালে তার মাথায় টিউমার অপারেশন করা হয়। অপারেশন শেষে তাকে বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। তিনি বাসায় ছিলেন। হঠাৎ করে কিছুদিন আগে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ডাক্তাররাও আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। তিনি গত ১৫ নভেম্বর রাত ১১টা ১০ মিনিটে জ্যামাইকার বাসায় ইন্তেকাল করেন। মরহুম হারুন অর রশীদ হ্যানরির নামাজে জানাজা গত ১৬ নভেম্বর বাদ জোহর জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের ইমাম মাওলানা মির্জা আবু জাফর বেগ। জানাজায় কমিউনিটির সর্বস্তরের লোকজন অংশগ্রহণ করেন। নামাজে জানাজা শেষে তাকে বাংলাদেশ সোসাইটির নিউজার্সির মালবরো মুসলিম গোরস্থানে দাফন করা হয়।
হারুন অর রশীদ হ্যানরির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এম আজিজ, বাংলাদেশ সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রহিম হাওলাদার, বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী, বাংলাদেশ সোসাইটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট জামাল আহমেদ জনি, বাংলাদেশ সোসাইটির কার্যকরি সদস্য সাদী মিন্টু, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সহসভাপতি ও বাংলাদেশ স্পোটর্স কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি মহি উদ্দিন দেওয়ান, বিশিষ্ট রাজনীবিদ আব্দুর রহিম বাদশা, ড্রামের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী ফৌজিয়া, মুন্সীগঞ্জ বিক্রমপুর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু রব বাবুল, সাধারণ সম্পাদক নওশাদ হোসেন প্রমুখ। উল্লেখ্য, হারুন অর রশীদের দেশের বাড়ি বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ির দামারণ গ্রামে। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সাঁতারু ছিলেন। তার মৃত্যুতে কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে আসে।
Posted ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh