মোশাররফ হোসেন খান | বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২০
কুনো ব্যাঙের মতো
স্হবিরতার মধ্যে কেবল বেদনার বসবাস।
হরিণের মতো
চলমানতাই জীবনকে গতিশীল করে।
এমন নীতিবাক্য এখন কে আর শোনে?
ইদানিং রাতে আদৌ ঘুম হয়না।
বুকের গহীন গভীরে চলে
কী সব অলীক নাটকীয়তা।
এসব কিসের গুঞ্জরণ!
রাতের শেষ প্রহরে যখনই তন্দ্রাচ্ছন্ন হই
আর তখনই জানালা ভেদ করে
চোখ মুখ আচ্ছন্ন করে দেয়
ঘ্রাণময় ঘন চুলের আচ্ছাদন।
জানালার ওপাশ থেকে মৃদু আওয়াজ ভেসে আসে–
এখনও ঘুমাওনি?
তাকে বলি, না।
তোমাকে সারা রাত দেখছি
শীতের কাটা সবজির মতো নেড়ে চেড়ে।
তুমি মানেই তো হেমন্তের শস্যভার ভরাট ক্ষেত।
তুমি মানেই তো কোমল পৃথিবী।
সে মৃদু হেসে ধীরলয়ে চলে যায়।
রেখে যায় কেবল সরষে ফুলের ঘ্রাণ।
সকালে উঠে দেখি ,
একটি ঝিঁঝিঁ ডানা ভেঙে পড়ে আছে বালিশের পাশে।
না , আজও কোন রোদ নেই।
সমস্ত আকাশ তার চুলের মতো কালো। ভয়ঙ্কর মেঘাচ্ছন্ন।
ঠিক আমার বাম পাঁজরের মতো।
তাহলে কি আজও বৃষ্টিতে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে
দুধের সরের মতো সঘন সকল স্বপ্ন!
‘পান্থ নীড়’ হাঁটুর ভেতর মুখ গুঁজে
কেবলি ফুঁপিয়ে কাঁদছে।
কে তাকে বুঝাবে —
শূন্যতাও হতে পারে পূর্ণতার প্রতীক!…
Posted ১২:৩৮ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh