মোশাররফ হোসেন খান | বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২০
এই শহরে কত বছর ধরে আছি
কত কিছুর কাছাকাছি
এখানে কোনোদিন ঘুঘু দেখিনি
কিংবা কোকিলের ডাকও শুনিনি
তবুও কী এক মোহমায়ায় আচ্ছন্ন হয়ে আছি।
কিসের জন্য?
না , তাও ঠিক জানিনা।
আজ যখন পড়ন্ত বিকেলে ছাদে যাবার জন্য তৈরি হচ্ছি
তখন দেখি, পায়ের জায়গায় পা নেই
হাতের জায়গায় হাত নেই
মাথার জায়গায় মাথা নেই
কী বিস্ময়কর ব্যাপার!
ভাবতেই হঠাৎ করে একটি কবুতর
বুকের পাঁজর ভেদ করে উড়াল দিয়ে জানালার পাশে কড়ুই গাছের ডালে
ঘন পাতার আড়ালে গিয়ে বসলো।
পান্হ নীড়ের নয়ন তারা শিমুল তুলার মতো উড়ছে
শিউলির পাতাগুলি একে একে ঝরে পড়ছে ।
আমি আকণ্ঠ ডুবে আছি পাতার স্তূপে।
অকষ্মাৎ একটি মেঘখণ্ড ফেটে চৌচির হয়ে
আছড়ে পড়লো চোখের সামনে!
আমার সামনে একটি সাগর বিদ্যমান ।
আমি স্থলের সকল অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি এতোকাল।
না , এখানে আর নয় ।
এখন সাগরই আমার আবাসস্থল ।
অনেক দেখা হলো মানুষ, বদমাশ, শয়তান, হন্তারক
আর বিষাদের আকাশে মেঘের ঘনঘটা ,ঝড়ের উল্লাস।
ধেয়ে আসছে প্রচণ্ড বেগে সাইক্লোন !
এক দুই তিন করে ক্রমাগত…
দূরের পাড় থেকে কে যেন হাক মারে–
” কিনারে এসো, দশ নম্বর চলছে…”
কে? কে ডাকে আমাকে এমন করে?
কেউ তো সাবধান করার মতো নেই আমার !
জিজ্ঞেস করলাম, তুমি কে?
দু’হাত বাড়িয়ে সে বললো–
“আমি, আমি পুষ্পকলি
তীরে এসো
ঐ দেখো ধেয়ে আসছে বিশাল তুফান!”
হা হা হা…
না, অবোধ বালিকা,
আমি আর ফিরে যাবো না।
যদি ফোটে ফুটুক এখানেই চন্দ্রমল্লিকা ।
আমারতো ত্রিকাল হয়েছে লয়
এখন আর কিসের ভয়?
এইতো এখানে —
সাগরে বেঁধেছি ঘর
তুফানে কি ডর!…
Posted ১১:০৩ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh