মোশাররফ হোসেন খান | বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০
একটি বৃক্ষ ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে।
ছাতার মতো গোল হয়ে আছে পত্র পল্লবে।
ডালপালা চারদিকে বিস্তৃত।
ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি এসে বসছে।
বাসা বাঁধছে ঘন পাতার আচ্ছাদিত
ডালে ডালে।
কোনো কোনো বাসায় ডিমে তা দিচ্ছে
মা পাখি।
আবার কোনো কোনো বাসায়
কিচিরমিচির করছে ছোট ছোট বাচ্চা।
বৃক্ষের নিচে ছায়া সুনিবিড়ে
বিশ্রাম করছে কোনো কোনো ক্লান্ত পথিক ।
পরাজিত কেউবা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ছে!
কেউবা বৃক্ষের গায়ে সিগারেটের আগুন ঠুকে নিভিয়ে ফেলছে।
কেউবা জুতার তলি ঘঁষে পরিষ্কার করছে ।
কেউবা থুতু ফেলছে।
কেউবা পানের পিক ।
কেউবা পেচ্ছাপ করছে বৃক্ষের গায়ে।
কখনো ডালে ডালে বাঁদরের উল্লাস।
কেউবা ঔষধি গাছ ভেবে
ছাল বাকল তুলে নিচ্ছে।
ডাল ভাঙছে।
পাতা ছিঁড়ছে।
বৃক্ষ থেকে রোদনের মতো কষ বের হচ্ছে ।
কেউবা সেই কষ আঁটা ভেবে
খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তুলে নিচ্ছে
প্রেমপত্রের মুখ বন্ধ করার জন্য।
এজমালি বৃক্ষের সাথে যেমন খুশি
তেমন ব্যবহার করা যায় !
বৃক্ষটি তবুও নির্বিকার।
বৃক্ষটি তবুও নিশ্চল ।
বৃক্ষটি তবুও সুস্থির।
বৃক্ষটি তবুও টানটান।
রোদ বৃষ্টি ঝড় আর মানুষের এতকিছুর পরও
বৃক্ষের সবুজ পাতা ঝিরঝির বাতাসে দুলছে।
দুলছে তার শাখা প্রশাখা প্রণত শিরে।
সর্বংসহা বৃক্ষটি আর কিছু নয়—
একজন কবি!
হ্যাঁ, কবি!…
Posted ১১:১২ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh