নিউইয়র্কের ৬ষ্ঠ কংগ্রেসনাল ডিষ্ট্রিক্ট থেকে পঞ্চমবারের মতো হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন গ্রেস মেং। তিনি তাঁর রিপাবলিকান প্রতিপক্ষ টমাস জেমিচকে পরাজিত করে প্রদত্ত ভোটের প্রায় ৬৩ শতাংশ পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। যদিও ৫৯,০০০ অ্যাবসেন্টি ভোটারের ব্যালট এখনো গণনা করার জন্য বাকি রয়েছে। অ্যাবসেন্টি ব্যালট গণনা করা হলেও ইতোমধ্যে প্রাপ্ত ফলাফলে তেমন কোন প্রভাব পড়বে না। কারণ বিপুলভাবে ইমিগ্রান্ট অধ্যুষিত ৬ষ্ঠ কংগ্রেসনাল ডিষ্ট্রিক্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটার প্রচলিতভাবেই ডেমোক্রেট।

৬ষ্ঠ ডিষ্ট্রিক্টর অন্তর্ভূক্ত এলাকাগুলো হচ্ছে নিউইয়র্ক সিটির অবার্নডেলের একটি অংশ, বেসাইড, এলমহার্ষ্ট, ফ্লাশিং, ফরেষ্ট হিলস, গ্লেনডেল, কিউ গার্ডেন্স, মেপ্যাথ, মিডল ভিলেজ, মারে হিল ও রেগো পার্ক। গ্রেস মেং তাকে পুনরায় হাউজে নির্বাচিত করার জন্য ৬ষ্ঠ কংগ্রেসনাল ডিষ্ট্রিক্টের ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, এখন জাতির জন্য চরম ক্রান্তিকাল চলছে। অনেক সংকট মোকাবিলা করতে হবে এবং আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাসাধ্য পালন করার মধ্য দিয়ে আমার প্রতি ভোটারদের যে আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে তাদের সেই মর্যাদা রাখতে আমি বদ্ধপরিকর। উল্লেখ্য, গ্রেস মেং ২০১২ সালে কংগ্রেসে প্রথমবার নির্বাচিত হন এবং হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের শক্তিশালী কমিটি এপ্রোপ্রিয়শনস কমিটির সদস্য। ২০২০ এর নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টিতে মনোনয়ন নিশ্চিত করার জন্য তাকে গত জুন মাসে অনুষ্ঠিত প্রাইমারীতে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী আরো দু’জন ডেমোক্রেটকে পরাজিত করতে হয়েছে। তারা হলেন, ম্যালকুয়াডেস গ্যাগারিন ও স্যান্ড্রা চোই।

উল্লেখ্য, তাইওয়ানি বংশোদ্ভুত গ্রেস মেং এর জন্ম নিউইয়র্কের কুইন্সে, ১৯৭৫ সালের ১ অক্টোবর। তার পিতা স্টেট এসেম্বলিম্যান ছিলেন। গ্রেস মেং ষ্টাইভ্যাসেন্ট হাইস্কুলে পড়াশোনা করেন। বিএ ডিগ্রি নেন ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান থেকে। এরপর আইনে পড়াশোনা করেন ইয়েশিভা ইউনিভার্সিটি থেকে। তাঁর স্বামী কোরিয়ান বংশোদ্ভুত একজন দন্ত চিকিৎসক এবং তারা দুই পুত্র সন্তানের মা-বাবা।