নিউইয়র্ক : | বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর ২০২০
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফোরাম নর্থ আমেরিকা আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, ৭১-এর চেয়েও ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে বর্তমান বাংলাদেশে। ৭৫-এ এক রাষ্ট্র নায়ক অবরুদ্ধ ছিলেন, আর আজ গোটা দেশটাই অবরুদ্ধ। ১৯৭৫-এর ৭ নভেম্বর দেশের এক ক্রান্তিকালে সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষক, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে দেশের দায়িত্বভার গ্রহণ করতে হয়। শুধু তাই নয়, মহান স্বাধীনতার যুদ্ধসহ দেশের সকল সঙ্কটেই জিয়ার ভূমিকা প্রমাণ করে তিনি ছিলেন ঈমানদার সাচ্চা দেশ প্রেমিক। আজ বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাতে জিয়ার মতো দেশপ্রেমিক নেতা বড় প্রয়োজন।
সিটির জ্যাকসন হাইটস্থ পালকি পার্টি হলে ৭ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় আয়েজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ফোরামের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর রফিকুল ইসলাম। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে রাখেন, ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সভাপতি রাফেল তালুকদার, প্রতিষ্ঠাতার সদস্য ও সাবেক সভাপতি সারওয়ার খান বাবু, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও প্রধান উপদেষ্টা একেএম রফিকুল ইসলাম ডালিম, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও সংগঠনের নীতি নির্ধারক কমিটির চেয়ারম্যান শাওন বাবলা, উপদেষ্টা মীর মশিউর রহমান, সংগঠনের সহ সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন(ছোট) সহ সভাপতি মাসুদ করিম মিলন, সাইফুল ইসলাম, মিজানুর রহমান মিজান, মজিবুর রহমান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এম,ডি, ফরিদী, ফেরদৌসি আমিন, রফিকুল ইসলাম লিটন, আনোয়ারুল হক লিমন, মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন, ফাতিমা রহমান, অনুষ্ঠানটি রাতের ডিনারের মাধ্যমে সুন্দর ভাবে পরি সমাপ্তি হয় । অনুষ্ঠান যৌথভাবে পরিচালনা করেন সংগঠনের জেনারেল সেক্রেটারী গোলাম এন. হায়দার মুকুট ও সহ সভাপতি এবং উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ মান্নান হোসাইন॥। শুরুতেই পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত ও মুনাজাত করেন সংগঠনের সহ সভাপতিত মো: আব্দুল শালিক জাকির।
উল্লেখ, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও অন্য কোন অঙ্গ সংগঠন কোন কর্মসূচী ছিল না। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফোরাম নর্থ আমেরিকা শহীদ রাষ্ট্রপ্রতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে উজ্জ্বীবিত হয়ে বৈশ্বিক মহামারীকে উপেক্ষা এ দিবসটি উদযাপন করে। এতে শতাধিক নেতা-কর্মী ও সমর্থক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন।
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রাফেল তালুকদার বলেন,৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক ঘটনা আমাদের চেতনাকে শানিত করে। সেদিন সিপাহী-জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঢাকা সেনানিবাসের বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে আনেন তৎকালীন সেনাপ্রধান ও স্বাধীনতার ঘোষক মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে। ৭ নভেম্বর সংঘটিত হওয়ার ঘটনা নতুন প্রজন্মকে জানানোর জন্য এ দিবসকে বেশী গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। তিনি উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বৈশ্বিক মহামারীতে সকলে যখন ঘরে ঘরে অবস্থান করছে ঠিক তখনই আপনারা শহীদ জিয়ার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে এ অনুষ্ঠানকে সফল করছেন। এতে প্রমাণিত হয় যে, শহীদ জিয়াউর রহমান আমাদের প্রানের স্পন্দন। জেনারেল সেক্রেটারী গোলাম এন হায়দার মুকুট বলেন, বৈশ্বিক মহামারীতে দেশের মানুষ যখন দিশেহারা তখন আওয়ামী গুন্ডারা ধর্ষণ, রাহাজানি আর লুন্ঠনে লিপ্ত। ফ্যাসিবাদী এ সরকারের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐকবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে।
সারওয়ার খান বাবু সংক্ষপে স্বাধীনতা যুদ্ধ, জাসদ, গণবাহিনী ও বাকশাল প্রতিষ্ঠা, মুজিব হত্যা, ৭ নভেম্বরের জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, জাতির সকল ক্রান্তিকালে আওয়ামী লীগের ব্যর্থতার কারণেই জিয়াউর রহমানকে সিদ্ধান্ত ও দায়িত্ব নিতে হয়। তিনি বলেন, ওআইসি সম্মেলনে যোগদানের কারণেই শেখ মুজিব হত্যার টার্গেট হন। আর এতেই বুঝা যায় কারা মুজিবকে হত্যা করেছেন। বাংলাদেশের ম্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের সহযোগিতা ছিলো একথা যেমন সত্য, তেমনী ভারত তার স্বার্থ ছাড়া বাংলাদেশের পক্ষ নেয়নি সেটাও সত্য। প্রধান উপদেষ্টা একেএম রফিকুল ইসলাম ডালিম বলেন, আওয়ামী লীগ বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্রকে ধবংসের মুখে ঢেলে দিয়েছে। দেশের আইন শৃংখলার পরিস্থিতির অবনতি এবং চরম অবস্থার সাক্ষী দিচ্ছে যে বর্তমান বাংলাদেশের অবৈধ সরকার আওয়ামী লীগ জাতির ও রাজনীতির জন্য চরম দুর্যোগপূর্ন। তাই দেশপ্রেমিক দল বিএনপি’র সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।অন্যান্য বক্ততারা শেখ হাসিনা সরকারের সমালোচনা করে বলেন, সরকার ছাত্র-যুবলীগকে রাজপথে বিরোধী দলকে শায়েস্তা করতে নামিয়েছে। সরকার চায় বিরোধী দলের উপর নিযার্তন চালায়ে তাদের মতো করে ক্ষমতায় থাকতে। দেশের গণতন্ত্রকে ধংŸস করেছে শেখ হাসিনা। তারা জিয়াউর রহমানের হত্যাকারী হিসেবে শেখ হাসিনাকে দায়ী করে বলেন, সে দেশে আসার ১৭ দিনের মাথায় রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শাহাদাৎ বরণ করেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, নিন্ম মানসিকতা সম্পুর্ণ অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা থাকার অধিকার রাখেনা। আদালত কর্তৃক স্বীকৃত রং হেডেড প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর জাতি হত্যা, গুম, আর হামলা-হামলা ছাড়া ভাল কিছু আশা করতে পারেনা।
প্রেসিডেন্টের বক্তব্যে প্রফেসর রফিকুল ইসলাম, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, জিয়া ছিলেন ঈমানদার সাচ্চা দেশ প্রেমিক রাষ্ট্রনায়ক। আর বিএনপি হচ্ছে দেশ প্রেমিক দল, বিএনপির শক্তি বাংলাদেশের জনগণ। তিনি সকল ভেদাভেদ ভুলে জিয়ার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যন তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
Posted ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh