বাংলাদেশ রিপোর্ট | শুক্রবার, ০১ মার্চ ২০২৪
নিউইয়র্ক সিটিতে গত পোনে দুই বছর যাবত আগত ইমিগ্রান্টদের আবাসন সহ অন্যান্য বিষয়ে সহায়তার পেছনে সিটিকে যে বিপুল অর্থব্যয় করেছে এবং এখনো করতে হচ্ছে, তাতে সিটির বাজেটের ওপর প্রচণ্ড চাপ পড়েছে। ইমিগ্রান্টদের জন্য মেয়র এরিক অ্যাডামস ফেডারেল ও স্টেট সরকার থেকে সহায়তা না পেয়ে সিটির বিভিন্ন সার্ভিস থেকে বাজেট সংকোচনের আশংকাও ব্যক্ত করেছিলেন। পরিস্থিতি এতটাই নাজুক যে গত সোমবার তিনি ব্রুকলিনে একটি গ্রুপের সঙ্গে টাউন হল সভায় বলতে বাধ্য হয়েছেন যে, ইমিগ্রান্টদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য নিউইয়র্ক সিটির ‘স্যাঙ্কচুয়্যারি সিটি’ হিসেবে যে আইন রয়েছে, সেটি সংশোধনের আবশ্যকতা দেখা দিয়েছে।
মেয়র বলেন যে, বিদ্যমান আইন সংশোধন করে তাতে সংযোজন করা আবশ্যক হয়ে পড়েছে যে, কোনো ইমিগ্রান্ট যদি কোনো অপরাধ সংঘটন করে তাহলে সিটি কর্তৃপক্ষ আইনানুগভাবে তাকে ইমিগ্রেশন এন্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) এর হাতে তুলে দিতে পারবে, যাতে ‘আইস’ তাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডিপোর্ট করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। মেয়র অ্যাডামস আরো বলেন যে, অত্যন্ত জটিল ও সমস্যা সংকুল পরিস্থিতির মধ্যেও তার প্রশাসন চমৎকার কাজকর্ম অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু অনেক সংকট নিরসনে তিনি উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারেন না, কারণ ফেডারেল ও স্থানীয় আইন তার হাত বেঁধে রেখেছে। ইমিগ্রান্টদের আশ্রয় দান সংক্রান্ত আইন পরিবর্তনের প্রেক্ষাপট হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন যে, সম্প্রতি বেশ কিছু নবাগত ইমিগ্রান্টকে ডাকাতি ও ছিনতাই এর মতো অপরাধেলিপ্ত পাওয়া গেছে। এই বিষয়টি এখন প্রকৃত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিউইয়র্ক পুলিশ প্রধান এবং তার টিম আলোকপাত করেছেন যে, অপরাধ সংঘটনকারী অনেক নবাগত ইমিগ্রান্টের কাছে মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গেছে।
এরিক অ্যাডামস আরো বলেছেন যে, নবাগত ইিিমগ্রান্টদের সকলেই যে অপরাধে জড়িত হয়েছে এমন নয়, তাদের অনেক কাজ করতে আগ্রহী এবং অনেকে ইতোমধ্যে কাজে নিয়োজিত হয়েছে। তবে তাদের অধিকাংশই যাতে কাজে নিয়োজিত হতে পারে, সেজন্য তাদের প্রয়োজন ফেডারেল আইন প্রনেতাদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ স্থাপন করা। তাদেরকে বোঝাতে হবে যে, এদেশে আসার পর তাদেরও অধিকার রয়েছে অন্যান্যের মতো কাজ করার। কিন্তু এই যে অল্প কিছুসংখ্যক ইমিগ্রান্ট অপরাধ করছে, তাদের জন্য আমাদের আইন সংশোধন করতে হবে, যাতে ইমিগ্রান্টদের কেউ যদি অপরাধে জড়িত হয়, তাহলে আমরা তাদের আইস এর হাতে তুলে দেব, যাতে তাদেরকে এদেশ থেকে বহিস্কার করা যায়।
Posted ২:৩৭ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০১ মার্চ ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh