বাংলাদেশ রিপোর্ট | বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল ২০২৪
নিউইয়র্ক সিটি ও আশেপাশের এলাকায় বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করছেন সিসমোলজিস্ট বা ভূমিকম্পবিদ। যদিও নিউইয়র্ক সিটি বা চারপাশের এলাকা ভূমিকম্প প্রবণ এলাকার মধ্যে পড়ে না, কিন্তু গত শুক্রবার সকালে ঘটে যাওয়া ৪.৮ মাত্রার ভূমিকম্প তাদের ভাবিয়ে তুলেছে। তারা একথাও বলেছেন যে এই অঞ্চলে এ ধরনের ভূমিকম্প অত্যন্ত বিরল, কিন্তু ভূমিকম্প সম্পর্কে কোনো পূর্বাভাস দেওয়া যায় না। কিন্তু যদি ভূমিকম্প আঘাত করে তাহলে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি ঘটতে পারে। গত শুক্রবারের ভূমিকম্প যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্ব এলাকাজুড়েই আঘাত হেনেছে এবং মানুষ এতে ভীত হয়ে পড়েছে, যদিও কোনো জায়গা থেকে তেমন দৃশ্যমান কোনো ক্ষতির কথা জানা যায়নি। ঘটে যাওয়া ভূমিকম্প মানুষের মনে প্রশ্ন সৃষ্টি করেছে যে নিউইয়র্ক সিটি বা কাছাকাছি অঞ্চলে বেশি মাত্রার ভূমিকম্প হলে তাদের কতটা ভয় পাওয়া উচিত। ভূমিকম্পজনিত ধ্বংস মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রস্তুতি কতটুকু আছে?
নিউইয়র্ক টাইমসের এক রিপোর্টে এর উত্তর দেওয়া হয়েছে, সত্যিকার অর্থে ধ্বংস ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে কিছু বলা কঠিন। রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে যে, নিউইয়র্ক সিটিতে একটি বড় ভূমিকম্প ঘটতে পারে। কারণ, মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প, যা সাধারণত ৫ বা এর চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্প সাধারণত প্রতি কয়েকশ’ বছরে একবার ঘটে। নিউইয়র্কে সর্বশেষ ১৭০০ সালেমাঝারি মাত্রার সংঘটিত হয়েছিল, যার মাত্রা গত শুক্রবারের ভূমিকম্পের তুলনায় একটু বেশি ছিল। ২০০৮ সালে কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির ল্যামন্ট-ডোহার্টি আর্থ অবজারভেটরি দেখেছে যে, নিউইয়র্ক সিটি এলাকায় ভূমিকম্পের ঝুঁকি এর আগে যা বিশ্বাস করা হতো তার চেয়ে বেশি। সিসমোলজিস্টরা বলছেন যে, নিউ ইয়র্ক সিটিতে কম মাত্রার ভূমিকম্প হয় প্রায়ই হয়। গত জানুয়ারি মাসেও কুইন্সের অ্যাস্টোরিয়ায় ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে ১.৭ মাত্রার।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে কখন ভূমিকম্প আঘাত হানবে বা কতটা ক্ষতি হতে পারে তা জানা অসম্ভব। আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অফ জিওলজিক্যাল সার্ভের স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার কিশোর এস. জয়সওয়াল ।কিন্তু গত শুক্রবারের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী ভূমিকম্প যদি নিউইয়র্ক সিটি ও আশপাশে আঘাত হানে তাহলে সেটি এক ভিন্ন অধ্যায় হবে। হানতে পারে। এই ধরনের ভূমিকম্পের ফলে কয়েক ডজন আহত এবং বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হতে পারে। গত শুক্রবারের ভূমিকম্পের পর ক্ষয়ক্ষতি বা আহত হওয়ার কিছু খবর পাওয়া গেছে, তবে গুরুত্ব কিছু ঘটেনি। সিটি কর্মকর্তারা বলেছেন যে, তারা সেতু, ট্রেনের ট্র্যাক এবং বিল্ডিংগুলি পরিদর্শন করছেন। তবে কয়েক দিনের জন্য পরবর্তী হালকা মাত্রার ভুমিকম্পের জন্য জনগণকে প্রস্তুত থাকার আহবান জানান হয়েছিল। গত শনিবার বিকেল পর্যন্ত ২৯ বার অল্প মাত্রার ভূকম্পন অনুভূতি হয়েছে, যার মধ্যে একটি ছিল ৩.৮ মাত্রার।
Posted ৮:২১ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh