বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারি ২০২২
নিউইয়র্ক সিটিসহ সমগ্র স্টেটে করোনা ভাইরাসের সকল ভেরিয়েন্টে সংক্রমণ হার উল্লেখযোগ্য হ্রাস পাওয়ায় জনমনে আবার স্বস্থির ভাব ফিরে আসছে। গত সপ্তাহের দৈনিক গড় ৯০,০০০ সংক্রমণের তুলনায় চেয়ে গত শনিবার তা নেমে এসেছে ৪৮,০০০ এ, যা প্রায় ৪৭ শতাংশ কম।
জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং বিধিনিষেধ মানার ক্ষেত্রে স্বতস্ফূর্ততার কারণে সংক্রমণ হার ক্রমশ কমে আসছে বলে সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
গত সপ্তাহে নিউইয়র্ক স্টেটে মোট ৩২৭,৪২৭ জনের করোনা ভাইরাসের টেস্ট করার পর পজেটিভ পাওয়া গেছে ৪৭,৮৭০ জনের, যা মোট সংখ্যার ১৪.৬ শতাংশ। এর আগে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে টেস্ট করা লোকদের মধ্যে ২৩ শতাংশের পজেটিভ পাওয়া গিয়েছিল। হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীর হার গত শুক্রবার সামান্য কমেছে। সেদিন ভর্তি হয়েছিল মাত্র ৩৮ জন করোনা ভাইরাস সংক্রমিত রোগী।
নিউইয়র্ক টাইমসের ১৭ জানুয়ারির রিপোর্টে বলা হয়েছে যে অন্যান্য সাম্প্রতিক তথ্য-উপাপ্ত অনুযায়ী নিউইয়র্কে অমিক্রন ভেরিয়েন্টের দ্রুত বিস্তার গত ৯ জানুয়ারি থেকে হ্রাস পাওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য নিউ জার্সি, ম্যাসাচুসেটস, কানেকটিকাট ও রোড আইল্যাণ্ডে অমিক্রন সংক্রমণ হার উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে।
স্টেট গভর্নর ক্যাথি হকুল শনিবার এক বিবৃতিতে সংক্রমণের সর্বশেষ অবস্থা বলতে গিয়ে বলেন, আমরা শীতকালীন সংক্রমণের শঙ্কা থেকে বের হয়ে আসছি, তবে এখনো আমরা নিরাপদ নই। অতএব যারা এখনো ভ্যাকসিন নিন, যারা আগে নিয়েছেন তার বুস্টার ডোজ নিন, আমাদের শিুশুদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে, অতএব তাদের ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিধা করবেন না। তাছাড়া বাইরে বের হতে, যানবাহনে ও কর্মস্থলে সবসময় মাস্ক ব্যবহার করুন। সংক্রমণ হার আরো হ্রাস পেয়ে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে না আসা পর্যন্ত বিধিনিষেধ মেনে চলুন।”
তিনি টেস্ট করার সুযোগ বাড়াতে তিনি সুনি এবং কমিউনিটি কলেজ ক্যাম্পাসগুলোতে আরো ৯টি টেস্টিং সেন্টার খোলার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি জানান যে এখন আর টেস্ট করানোর জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণের কোনো ঘাটতি নেই। এমনকি স্কুল ছাত্রদের মধ্যে কেউ সংক্রমিত হলে সেই ক্লাসের সকল ছাত্রের বাড়ি বাড়ি গিয়ে টেস্ট করার সুযোগ করা হয়েছে, যাতে তারা দ্রুত ক্যাম্পাসে ফিরে আসতে পারে। তাছাড়া বাইডেন প্রশাসন ঘোষণা করেছে যে বুধবার থেকে আমেরিকানরা অনলাইনে র্যাপিড টেস্টেও জন্য অনুরোধ করতে পারবে, তবে এক্ষেত্রে টেস্টেও ফলাফল পৌছতে ১২ দিন পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। উল্লেখ্য, বাড়িতে অবস্থান করে টেস্ট করার সুযোগ বৃদ্ধি পেলেও এখনো সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রে গড়ে প্রায় ৮০৫,০০০ জনকে ভাইরাস পজেটিভ পাওয়া যাচ্ছে।
Posted ৭:০৮ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারি ২০২২
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh