বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর ২০২০
নিউইয়র্ক স্টেট এসেম্বলিতে নির্বাচিত হয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভুত আমেরিকান। দু’জনই ডেমোক্রেট এবং নির্বাচিত হয়েছেন নিউইয়র্ক সিটির কুইন্স ও এস্টোরিয়ার দুটি নির্বাচনী এলাকা থেকে। তারা হচ্ছেন কুইন্সের জেনিফার রাজকুমার (৩৮), যিনি প্রদত্ত ভোটের ৬৬ শতাংশ পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন এবং এস্টোরিয়ার জোহরান মামদানি (২৯) প্রদত্ত ভোটের ৭২ শতাংশ পেয়ে বিজয় লাভ করেছেন। নিউইয়র্ক ষ্টেট এসেম্বলিতে তারাই প্রথম দক্ষিণ এশীয় সদস্য হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন। এর আগে মামদানি ডেমোক্রেটিক প্রাইমারীতে বর্তমান স্টেট এসেম্বলিম্যান আরাভেলা সিমোটাসকে পরাজিত করে দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করেন এবং গত ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তার কোনো রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না।
জেনিফার রাজকুমার বর্তমান স্টেট এসেম্বলিম্যান মাইকেল মিলারকে দলীয় প্রাইমারীতে পরাজিত করেন এবং তার রিপালিকান প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়োভানি পেরনাকে পরাস্ত করেন। কুইন্সের এই দুটি নির্বাচনী এলাকা প্রধানত ইমিগ্রান্ট অধ্যুষিত। ২০১০ সালের জরিপ অনুযায়ী নিউইয়র্ক সিটিতে তিন লাখের অধিক দক্ষিণ এশীয় ইমিগ্রান্ট বসবাস করেন, যা সিটিতে এশিয়ান আমেরিকান জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ। কিন্তু এবারের আগে তারা কোন দক্ষিণ এশীয়কে নির্বাচিত করে স্টেট এসেম্বলিতে পাঠাতে পারেনি।
মামদানি পেশায় একজন হাউজিং এডভোকেট, যিনি খ্যাতিমান ভারতীয় চলচ্চিত্রকার মীরা নায়ায়ের পুত্র। তার জন্ম উগান্ডায়, তিনি উগাণ্ডায় বড় হয়েছেন ও যুক্তরাষ্ট্রে তুলনামূলকভাবে নবাগত। তিনি নিজের পরিচয় দেন ভারতীয় উগান্ডান হিসেবে। তিনি কুইন্স ভিত্তিক এডভোকেসি গ্রুপ ছায়া সিডিসি’র হাউজিং কাউন্সেলর। স্টে এম্বেলিতে নির্বাচিত মামদানি শুধু প্রথম ভারতীয়ই নন, তিনি স্টেট এসেম্বলিতে নির্বাচিত তৃতীয় মুসলিম সদস্য। নিউইয়র্ক সিটির মোট জনসংখ্যার ৯ শতাংশ মুসলিম। জেনিফার রাজকুমার পেশায় একজন আইনজীবী এবং ২০১৬ সালে তিনি ষ্টেট এসেম্বলি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
ইতিপূর্বে তিনি স্টেট গভর্নর এন্ড্রু ক্যুমোর ইমিগ্রেশন এফেয়ার্স ডাইরেক্টর ও নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিশেষ পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জেনিফার ও মামদানির আগে ভারতীয় বংশোদ্ভুত কোন ব্যক্তির নিউইয়র্ক স্টেট সরকারে থাকার দৃষ্টান্ত রয়েছে শুধু কেভিন টমাসের, যিনি লং আইল্যান্ড থেকে ২০১৮ সালে স্টেট সিনেটে নির্বাচিত হন।
টমাসের সাথে একই বছরেপ্রথম এশিয়ান আমেরিকান ষ্টেট সিনেটর নির্বাচিত হয়েছেন জন ল্যু। কেভিন টমাস হিন্দুদের হোলি উৎসবকে সরকারি স্বীকৃতি দেয়ার পক্ষে সোচ্চার এবং তিনি সিনেট অধিবেশনের শুরুতে প্রার্থনার জন্য মুসলিম ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে আমন্ত্রণ জানান।
নিউইয়র্ক সিটির কুইন্স বরোতে সর্বাধিক সংখ্যক দক্ষিণ এশীয় ইমিগ্রান্ট বসবাস করলেও এর আগে কোন দক্ষিণ এশীয় জ্যাকসন হাইটস ও জ্যামাইকা থেকে স্টেট এসেম্বলিতে নির্বাচিত হননি। এসেম্বলি ডিষ্ট্রিক্ট ২৪ এ দক্ষিণ এশীয় জনসংখ্যা ২৬ শতাংশ। কিন্তু অতীতে এই এলাকা থেকে বেশ ক’জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও বিজয়ী হতে পারেননি।
Posted ১২:২২ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh