সানজিদা হোসেইন | বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল ২০২১
ভালোবাসা আর অভিমান একদিন
পাশাপাশি হাঁটছিলো।
অভিমান বললো, ‘তুমি বারবার পিছিয়ে পড়ো কেন?’
ভালোবাসা হেসে বললো, ‘আমার পিছুটান আছে যে। ‘
অভিমান বললো, ‘তোমার কী আত্মসম্মানবোধ নেই? কেমন বারবার ফিরে ফিরে চাও।’
ভালোবাসা বললো, ‘আমার আত্মা যে, তাকে ভালোবাসাতেই আমার সম্মান।’
অভিমানের একটু মায়া হলো…
ভালোবাসার সাথে তাল মেলাতে
চলার গতি কমিয়ে দিলো সে।
আর ভালোবাসা..
তার জন্য কেউ পিছিয়ে পড়ছে ভেবে
জোরে পা চালাতে লাগলো।
একসময় ভালোবাসা ক্লান্ত হয়ে পড়লো,
মুখ থুবড়ে পড়ে গেলো মাঝরাস্তায়,
অভিমান ভাবলো ভালোবাসা দুর্বল…
তাকে ফেলেই সে এগিয়ে যাচ্ছিলো।
এমন সময় প্রচন্ড মেঘ করলো আকাশে,
দীঘির জল ঘন হয়ে এলো,
চারদিক কালো করে ঝড় উঠলো।
অভিমান বললো, ‘আর তোমার সাথে থাকা চলে না, আমি যাই।’
ভালোবাসা বললো, ‘এই তো আমাদের অভিসারের সময়। বাতাসের বাঁশি শুনছো না?’
অভিমান ঝড়ের তীব্রতায়
দুহাতে মুখ ঢেকে দৌড়ালো আতঙ্কে।
তার দুচোখে ভয়, কানে বজ্রপাতের গর্জন।
ভালোবাসা দুহাত বাড়িয়ে ছুটল গভীর অরণ্যে,
তার কানে বাঁশির ডাক, সামনে বিদ্যুতের আলোর ঝলকানি।
দুজনের বিচ্ছেদ হলো…
ভালোবাসা নিরহংকারী হলেও
দুঃখের আত্মসম্মান বোধ থাকে।
সে ভাবলো অভিমান ভীষণ অহংকারী,
ক্ষোভ বাড়তে থাকলো চক্রবৃদ্ধি হারে।
ভালোবাসা শোকে বৈরাগী হলো…
আর অভিমানের পাতে রইলো
কেবল নিঃসঙ্গতা।।।
Posted ৯:৫২ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh