| বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২০
নভেম্বর মাস হচ্ছে বিএনপির জন্য চেতনার মাস। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র দিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া সংসদীয় গণতন্ত্র দিয়েছেন এবং তারুণ্যের প্রতীক তারেক রহমান নব্য স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমাদের নতুন করে শপথ নিতে হবে। গত ১৫ নভেম্বর বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও বাংলাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী বেবী নাজনীন কর্তৃক আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এ সব কথা বলেন। বেবী নাজনীনের সভাপতিত্বে এবং বিএনপি নেতা ফিরোজ আহমেদের পরিচালনায় ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মোহাম্মদ আব্দুস সালাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান, যুব দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকন, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব এম এ মালেক, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়সার এম আহমেদ, সাদিক রহমান, সৌদী আরব বিএনপির সভাপতি আহমেদ আলী মুকিব।
ভার্চ্যুয়াল সভাটি জ্যাকসন হাইটসে অনুষ্ঠিত হয়। সভা মঞ্চে ছিলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু, সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি গিয়াস আহমেদ, সাবেক সহ সভাপতি আলহাজ্ব সোলায়মান ভুইয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী শাখাওয়াত হোসেন আজম, যুক্তরাষ্ট্র যুব দলের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ আহমেদ, জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম আকন, বিএনপি নেতা এবাদুর রহমান,, কোকো স্মৃতি পরিষদের সভাপতি শাহাদত হোসেন রাজু, কোকো স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম।
ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি শরাফত হোসেন বাবু, সাবেক সহ সভাপতি মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসীম ভুইয়া, যুক্তরাষ্ট্র যুব দলের সভাপতি জাকির এইচ চৌধুরী, যুব দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ আন্তর্জাতিক সম্পাদক এম এ বাতিন, নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সভাপতি মাওলানা অলিউল্যাহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাঈদুর রহমান সাঈদ, জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক শাহীন, কানাডা বিএনপির সভাপতি ফয়সল আহমেদ, জর্জিয়া বিএনপির সহ সাধারণ ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব আহমেদ, সাবেক ছাত্র নেতা আতাউর রহমান আতা, নিউইয়র্ক সিটি বিএনপির সভাপতি সেলিম রেজা, নিউইয়র্ক সিটি বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা বশির আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র যুব দলের যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, যুবদলের সহ সভাপতি আহবাব চৌধুরী খোকন, মোহাম্মদ আবুল কাশেম, নিউইয়র্ক স্টেট যুব দলের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল আজাদ ভুইয়া, ঢাকা মহানগর যুব দলের (দক্ষিণ) সাবেক সহ সভাপতি জাহাঙ্গীর হাসাইন, বিএনপি নেতা রাফেল তালুকদার, সালেহ আহমেদ মানিক, জাহাঙ্গীর সরওয়ার্দী, ইঞ্জিনিয়ার হারুন অর রশীদ, সাজেদুল ইসলাম অরিক, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভুইয়া, এডভোকেট আবু তাহের, আব্দুল ওয়াদুদ কবির, জাহাঙ্গীর আলম, চাকসুর সাবেক ভিপি নাজিম উদ্দিন, ওহিদুজ্জামান নিলু, মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, মোহাম্মদ মহসীন (লাল), আতাউর রহমান আতা, চৌধুরী সালেহ, ব্রঙ্কস বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুর রহিম, সাইফুর খান হারুন, খলকুর রহমান, ফ্রান্স বিএনপি নেতা এমতাজ আলো, ওয়াশিংটন বিএনপির আহবায়ক হাফিজ খান সোহায়েল, ভার্জিনিয়া বিএনপির আহবায়ক মোহাম্মদ জহির খান, ফ্লোরিডা বিএনপির আহবায়ক মোহাম্মদ চাকলাদার, সদস্য সচিব ইলিয়াস খান, সাবেক সভাপতি দিনাজ খান, সাবেক সভাপতি আব্দুর রশিদ খান হারুন, জর্জিয়া বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাহবুব হোসেন, মেরিল্যান্ড বিএনপি আহবায়ক তোফায়েল আহমেদ, সদস্য সচিব মোহাম্মদ হোসেন, এস এম ফেরদৌস, হেলাল উদ্দিন, ফ্লোরিডা বিএনপি নেতা ইলিয়াস খান, ভার্জিনিয়া বিএনপি নেতা নেছার আহমেদ, জর্জিয়া বিএনপি নেতা সাহেল খান, ডিউক খান, ফ্লোরিডা বিএনপি নেতা ফারুক সরকার, নিউজার্সি বিএনপির আহবায়ক সৈয়দ জুবায়ের আলী, কাওসার আহমেদ, সদস্য সচিব আলাউর রহমান খন্দকার, হারুণ অর রশীদ, মেরিল্যান্ড বিএনপি নেতা জহির খান, ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপি সভাপতি বদরুল আলম চৌধুরী, লন্ডন বিএনপি নেত্রী ডালিয়া লাকুরিয়া, এমদাদ তরফদার, আবু চৌধুরী, জাহিদ খান, বিএনপি নেতা খসরু, আব্দুল বাসিত, মালয়েশিয়া বিএনপির সভাপতি বাদল খান, শ্রমিক দল কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম দুলাল, আটলান্টা থেকে জব্বর মোহন, যুক্তরাজ্য থেকে স্বপ্না মনি, বেলজিয়াম থেকে ঝিন্টু আহমেদ, শরিফ উদ্দিন, কানাডা থেকে মুজিবুর রহমান প্রমুখ।
ভার্চ্যুয়াল এই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বিএনপির প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বহির্বিশ্ব বিএনপির অনেক নেতাকর্মীই অংশগ্রহণ করেন। বেবী নাজনীনের আয়োজনে এই সভায় ভার্চ্যুয়াল মহা সভায় রূপ লাভ করে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের সুস্থ্যতা কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। এ ছাড়াও দেশে এবং প্রবাসে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে যারা অসুস্থ্য তাদের সুস্থ্যতা কামনা করা হয় এবং যারা সম্প্রতি সময়ে প্রাণ হারিয়েছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা আনসারুল করিম।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ২৫ মার্চের কালো রাতে বাংলাদেশের মানুষ যখন দিশেহারা এবং নির্দেশনাহীন তখন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তখন আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে কেউ ছিলেন ভারতে, কেউ গেছেন জেল খানায়। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণায় মুক্তিকামী মানুষ নির্দেশনা পেয়েছিলেন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। আবার ৩ নভেম্বরের অভ্যুর্থানে জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দী করে খালেদ মোশাররফ নিজেকে সেনাপ্রধান ঘোষণা করেন। ঐ সময় সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যামে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে বাকশালের যাতাকল থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করেছিলেন এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র উপহার দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে গণতন্ত্রকে হত্যা করে এবং লুটেরা অর্থনীতি চালু করেন। সেই সাথে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ছিলেন একজন সফল রাষ্ট্রনায়কতিনি বলেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে, বাংলাদেশেও গণতন্ত্রের বিজয় হবে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ৭ নভেম্বর সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছিলেন। দুটি আন্দোলনেরই নেতৃত্ব দেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। অন্যদিক বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে আপোষহীন নেত্রীতে পরিণত হন এবং বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। সেই সাথে তারেক রহমান বিদেশে থেকেও বর্তমান স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি বলেন, অতীতেও সকল আন্দোলনে আমরা বিজয়ী হয়েছি, আগামীতেও বিজয়ী হবো। তারেক রহমান বাংলাদেশে আবারো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম করছেন। তিনি প্রবাসী বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এরশাদ এবং ১/১১ এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আপনারা ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিলেন সেলিমা রহমান বলেন, আমরা বাংলাদেশে এক কঠিন সময় অতিক্রম করছি। খালেদা জিয়া কারাগারে এবং তিনি অসুস্থ্য। আমরা তার মুক্তির কথা বলছি কিন্তু কিছুই করতে পারছি না। তিনি বলেন, নভেম্বর মাস হচ্ছে বিএনপির জন্য চেতনার মাস। এই চেতনার মাসেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমাদের শপথ গ্রহণ করতে হবে। বেবী নাজনীন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে সফল করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান। উল্লেখ্য, পুরো অনুষ্ঠানটি লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান দেখেছেন এবং তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
Posted ১১:৪৫ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh