নিউইয়র্ক : | বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২০
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা সাউথ এশিয়া ওয়াচের মহাসচিব, এশিয়ান অ্যামেরিকান ডেমোক্র্যাটিক সোসাইটির কো-চেয়ারম্যান ও ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটির সদস্য শাহীদুল ইসলাম তালুকদার আফ্রো এশিয়ান ল্যতিন অ্যামেরিকার মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যু বার্ষিকীতে এক বিবৃতিতে বলেন, “মাওলানা ভাসানী আজীবন কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতী মানুষের মুক্তির জন্য লড়াই করেছেন। তার ৭০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে, দেশীয় জমিদার ও জোতদারদের বিরুদ্ধে, পাকিস্তানি স্বৈরশাসকদের বিরুদ্ধে এবং বাংলাদেশের মানুষের গনতন্ত্র ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য যত আন্দোলন হয়েছে, প্রতিটি আন্দোলনের পুরোভাগে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। বিশেষ করে ১৯৪৮ সালে আওয়ামী লীগ গঠন, ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৭ সালে কাগমারি সম্মেলন, ১৯৬৮-৬৯ সালে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও ১৯৭৬ সালের ফারাক্কা মিছিলে তার নেতৃত্বের কথা এ দেশের মানুষ শ্রদ্ধাভরে স্মরন করবে। তিনি বলেন, আজ মাওলানা ভাসানীকে সবাই ভুলতে বসেছে।
নতুন প্রজন্ম মাওলানা ভাসানীর নামের সাথে পরিচিত নয় অথচ বঙ্গবন্ধুসহ বাংলাদেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক নেতাদের নেতা ছিলেন মাওলানা ভাসানী। বর্তমান সরকারের উচিত স্কুলের পাঠ্য পুস্তকে মাওলানা ভাসানীর জীবনের সাথে আজকালকার ছাত্র ছাত্রীদের পরিচিত করা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্ট্র বিজ্ঞান বিভাগে মাওলানার নামে একটি চেয়ার প্রতিষ্ঠিত করা। মাওলানা ও তার রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে ভালভাবে জানার জন্য তার নামে একটি রিসার্চ ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করা এবং বাংলাদেশের কাগজী মুদ্রায় তার ছবি ছাপাবার ব্যবস্থা করা। মাওলানা ভাসানী আজীবন গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও জাতীয় ঐক্যের জন্য লড়াই করে গেছেন, ক্ষমতার প্রতি তার কোন মোহ ছিল না। তাই আজ বিভিন্ন দলের নেতা ও কর্মীদের মধ্যে স্ব স্ব উদ্যোগে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করা উচিত এবং সাথে সাথে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে আভ্যন্তরীণ গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা উচিৎ। আজ বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতাদের উচিত মাওলানা ভাসানীর জীবনকে অধ্যায়ন করে তাদের রাজনৈতিক মেধাকে উন্নয়ন করা।
Posted ১১:১৪ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh