ওয়াশিংটন ডিসি : | বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ ২০২২
যুক্তরাষ্ট্রে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার এবং ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য আরো বেশি কূটনৈতিক উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। তিনি বলেন, এলডিসি পরবর্তী পর্যায়ে বাংলাদেশের সামনে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আবির্ভূত হবে। কারণ, দেশটি এখন যে বাণিজ্য সুবিধাগুলো ভোগ করছে, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর সে সুবিধাগুলো আর ভোগ করতে পারবে না। এ প্রেক্ষাপটে, যুক্তরাষ্ট্রের মতো বৃহৎ রপ্তানি বাজারগুলোতে বাণিজ্য সম্প্রসারণের পরিবেশ বজায় রাখার জন্য বাংলাদেশকে আরো জোরালো কূটনৈতিক প্রচেষ্টা রাখতে হবে।
গত ৮ মার্চ ওয়াশিংটন ডিসিতে বিজিএমইএ সভাপতি ও প্রতিনিধিদলের সম্মানে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহিদুল ইসলামের দেয়া মধ্যাহ্নভোজ অনুষ্ঠানে মত বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় বিজিএমইএর সহ-সভাপতি মিরান আলী, পরিচালক আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন ফেরদৌসী শাহরিয়ার এবং কমার্শিয়াল কাউন্সিলর সেলিম রেজাও উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, বিজিএমইএ প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি, শিল্পের চ্যালেঞ্জ এবং আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষমতা বাড়াতে শিল্পটি কোন কোন ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে, তা অবহিত করেন।
তারা বলেন, শিল্পে বর্তমানে যে বিষয়গুলোতে অগ্রাধিকার দিয়েছে, তার কয়েকটি হলো নন-কটন এবং হাই অ্যান্ড পণ্যে যাওয়ার মাধ্যমে পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ, বাজার বৈচিত্র্যকরণ, নতুন পণ্য উদ্ভাবন এবং উৎপাদন প্রক্রিয়ায় সম্পদ ও সব উপাদানের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ। বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বাড়াতে বাংলাদেশ দূতাবাসকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান। তিনি মার্কিন ব্যবসায়ী সম্প্রদায় এবং যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশিরা যাতে করে বাংলাদেশের টেক্সটাইল খাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে উৎসাহিত হয়, সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়ার জন্যও রাষ্ট্রদূত শহিদুল ইসলামকে অনুরোধ জানান। বিজিএমইএ নেতারা দূতাবাস প্রাঙ্গণে শহীদ মিনারের সামনে মাতৃভাষা বাংলার জন্য যাঁরা জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তারা দূতাবাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেমোরিয়ালের সামনেও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
Posted ৭:৫০ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ ২০২২
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh