উদ্ভাবনী ব্যাংকিং এ সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের আয়োজনে, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের সাথে সোনালী ই-সেবা এবং ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খোলা ও হিসাব পরিচালনা সংক্রান্ত এক ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভা নিউইয়র্কের কুইন্সের জামাইকার এক পার্টি হলে গত ২২ জানুয়ারি রোববার অনুষ্ঠিত হয় । এতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রবাসীরা অংশগ্রহন করেন। ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার মো: নূরুন্নবীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সোনালী ব্যাংকের সিইও এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো: আফজাল করিম। বক্তব্য রাখেন সোনালী ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুভাস চন্দ্র দাশ এবং পারসুমা আলমসহ সোনালী ব্যাংকের ঊর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বেশ কয়েকজন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী।

অনুষ্ঠানে ভিডিও প্রদর্শনের মাধ্যমে সোনালী ই-সেবা ব্যবহার করে একাউন্ট খোলা এবং সোনালী ই-ওয়ালেট ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ব্যাংকিং লেনদেন প্রক্রিয়া উপাস্থাপন করা হয়। সোনালী ই-সেবা এপস্ থেকে মাত্র দুই মিনিটে প্রবাসে থেকেও প্রবাসীরা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারবেন। আর সোনালী ই-ওয়ালেট ব্যবহার করে একাউন্ট ব্যালেন্স ও স্টেটমেন্ট দেখা, ডিপিএস জমা করা, সোনালী ব্যাংক ও অন্যান্য বাংলাদেশী ব্যাংকের একাউন্টে বা ওয়ালেটে টাকা ট্রান্সফার, একাউন্ট থেকে ওয়ালেট বা ওয়ালেট থেকে একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, বিএফটিএনের মাধ্যমে বাংলাদেশে টাকা ট্রান্সফার, মোবাইল রিচার্জ, সোনালী ব্যাংকের যেকোন শাখা ও এটিএম বুথর লোকেশন জানা, সোনালী ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের বিল জমাসহ নানাবিধ কাজ করা যাবে অতি সহজে। যুক্তরাষ্ট্র বা প্রবাসে বসেও এই এপস্ আইওএস(এ্যাপেল) ও এন্ড্্েরায়েড ফোনে ডাউন্ডলোড করে কিভাবে সোনালী ব্যাংকে হিসাব খোলা আর অন্যান্য লেনদেন করা যায়- তার একটি চমৎকার ধারণা পেয়ে উপস্থিত প্রবাসীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহের সৃষ্টি হয়। পাশাপশি তাঁরা উপস্থিত প্রধান অতিথিকে ভার্চুয়ালি পেয়ে ব্যাংকিং সংক্রান্ত বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধার কথা জানান।

প্রধান অতিথি সোনালী ব্যাংকের সিইও এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো: আফজাল করিম বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে এবং তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমরা দেশের পাশাপাশি প্রবাসী ভাই-বোনদের জন্য সবচেয়ে দ্রুত ও নিরাপদ সেবা নিশ্চিত করতে চাই। আর উদ্ভাবনী ব্যাংকিং এর স্লোগান সামনে রেখে সোনালী ব্যাংক বিশ^স্ততার সাথেই এ কাজ করছে। তাইতো অনলাইন ব্যাংকিংসহ প্রযুক্তিগত নানা ব্যাকিং সেবা সবার জন্য নিশ্চিত করে এর সুফল সবার মাঝে ভাগ করে দিতে আমরা বদ্ধ পরিকর। এরই ধারাবাহিকতায় সোনালী ই-সেবা এবং সোনালী ই-ওয়ালেট যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পেরে আমরা খুশী। তিনি বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং এ ধরনের প্রযুক্তিগত সুবিধা নিশ্চিত করাতে বর্তমান সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি, বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক ভাবে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্যে প্রবাসীরা, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী ভাই-বোনেরা যেভাবে তাঁদের কষ্টার্জিত অর্থ দেশে পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছেন তাঁদের সবাইকে তাঁর পক্ষ থেকে বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। এ ছাড়াও, বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের বাংলাদেশে আরো বেশী বিনিয়োগের আহবান জানান এবং বৈধ চ্যানেলে রেমিটেন্স প্রেরণের প্রতি গুরত্ব আরোপ করেন।