বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট ২০২০
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের সময়ে নিউইয়র্ক সিটি সাবওয়ে ট্রেন নাশকতামূলক অপরাধের শিকারে পরিণত হয়েছে এবং গত এপ্রিল থেকে এ প্রবণতা বেড়েছে বলে সিটির ট্রান্সপোর্টেশন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তারা গত এপ্রিল থেকে ২, ৩ ও ৭ ট্রেনের জানালা ভাঙা অবস্থায় দেখতে পাচ্ছেন। মধ্য জুলাইয়ের এক দিন তিনটি ৭ ট্রেনে তারা প্রায় ৫০টি জানালা ভাঙা পান। গত সপ্তাহে সমস্যা আরো বৃদ্ধি পেয়ে বেশ কয়েকটি ৭ ট্রেনের প্রায় ৬০টি জানালা ভাঙা পাওয়া যায়। এ অপরাধ একজন ব্যক্তির দ্বারা সংঘটিত হয়েছে অথবা একাধিক ব্যক্তি জড়িত কর্তৃপক্ষ সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি। চলতি আগষ্ট মাসের শুরুতে নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট বলেছে যে তারা একজন লোকের সন্ধান করছে, যে লোকটি মে থেকে আগষ্ট মাসের মধ্যে প্রায় এক ডজন ভিন্ন ভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত।
তবে তারা তদন্ত কাজে কতটা অগ্রগতি সাধন করেছে সে সম্পর্কে গণমাধ্যমকে জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছে। মেট্টোপলিটান ট্রান্সপোর্টেশন অথরিটির চীফ সেফটি এন্ড সিকিুরিটি অফিসার প্যাট্রিক ওয়ারেন বলেছেন যে গত কয়েক মাসে যে জানালাগুলো ভাঙা হয়েছে তা পুনস্থাপন করতে তিন লাখ ডলারের প্রয়োজন পড়বে। টিম শিলটন নামে অপর এক কর্মকর্তা বলে, এমটিএ আগষ্ট পর্যন্ত এ খাতে যে বরাদ্দ দিয়েছে এ পরিমাণ তার চেয়ে দ্বিগুণ। তিনি বলেন, অতীতে সিটির আর্থিক সংকটের সময় সাবওয়ে ট্রেন যে ধরনের নাশকতার মুখোমুখি হয়েছে, বর্তমানে তারই পুনরাবৃত্তি ঘটছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। করোনা জনিত মহামারীতে সিটি এবং মেট্টোপলিটান ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (এমটিএ) যে আর্থিক সংকটের কবলে পড়েছে, তার উপর এ ধরনের নাশকতা অব্যাহত থাকলে সংকট আরো শোচনীয় হয়ে উঠবে। সিটির সাবওয়ে, বাস ও দুটি কমিউটার রেলওয়ে পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত এমটিএ বর্তমানে ১৬ বিলিয়ন ডলার ঘাটতির মধ্যে পড়েছে এবং ঘাটতি কমানোর জন্য তারা জনবল কমানোর কথা ভাবছে। করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে এমটিএ নগদ অর্থের সংকটে পড়েছে। এ অবস্থায় প্রতিটি ডলার অতি মূলবান বলে উল্লেখ করেন এমটিএ’র মুখপাত্র।
এনওয়াইপিডি’র ট্রানজিট ব্যুরোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত বছরের তুলনায় সাবওয়েতে কিছু অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর যেখানে সাবওয়ে ট্রেনে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল ২৯৯টি, তা গত সপ্তাহ পর্যন্ত এবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে ৩৯৫টি। বৃদ্ধির এই হার সম্পর্কে পুলিশে কাছে সুস্পষ্ট কোন ব্যাখ্যা নেই। তবে তারা এ সমস্যা মোকাবিলার প্রয়োজনীয় কৌশল উদ্ভাবন করছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশের মুখপাত্র। তারা ইতোমধ্যে নজরদারি বৃদ্ধি করেছে, যাতে সন্দেহভাজনদের দ্রুত সনাক্ত করে যাত্রীদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করা যায়।
Posted ৯:২৭ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh