বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১
নিউইয়র্ক সিটির রেস্টুরেন্টগুলো ১৪ ফেব্রুয়ারি, ভ্যালেন্টাইন ডে’তে পুনরায় চালু করছে ইনডোর ডাইনিং সার্ভিস। মহামারি করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে গত ডিসেম্বরের শেষে বন্ধ হয়ে যায় ইনডোর সার্ভিস। তবে টেক আউট ও আউটডোর সার্ভিস অব্যাহত থাকে। প্রথম দফায় ইনডোর ডাইনিং সার্ভিস ৩০ সেপ্টেম্বর চালু হলেও রেস্টুরেন্টগুলো শুধুমাত্র ধারণ ক্ষমতার ২৫ শতাংশ গ্রাহককে এককালীন সেবা দানের অনুমতি পায়। মেনে চলতে হয় সামাজিক দূরত্বসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি।
বিশেষ করে ফিলট্রেশন ও কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের ব্যাপার সিটি কর্তৃপক্ষ ৩০ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়ার পূর্বেই পর্যবেক্ষণ শুরু করে। এবার ২৫ শতাংশ গ্রাহককে রেষ্টুরেন্টের ভেতরে বসে খাওয়া-দাওয়ার অনুমতি দেয়া হচ্ছে। এ সিদ্ধান্ত পর্যটনের এই নগরীতে পর্যটকদের এবং নাগরিক সাধারণকে সবুজ সংকেত দিচ্ছে। এই শহর করোনামুক্ত হয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থার দিকে ফিরে যাচ্ছে। তবে খরিদ্দারদের জন্য খুলে দেওয়া হলেও অনেক রেষ্টুরেন্ট তাদের দুরাবস্থা থেকে সহজে মুক্ত হতে পারবে বলে মনে হয় না। এদিকে আর্থিক মন্দার কারণে ইতোমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে সিটির অনেক রেস্টুরেন্ট। ২৬ সহস্রাধিক রেস্টুরেন্টের নগরী নিউইয়র্কে লাখো কর্মী চাকুরি হারিয়েছেন।
রেষ্টুরেন্টের ভেতরে খাওয়া-দাওয়ার অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে একটি পরিকল্পনা গভর্নর কুমো এবং মেয়র ব্লাজিও তখনকার পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রথম দিকে বাতিল করে দিয়েছিলেন। তখন পর্যন্ত নিউইয়র্ক স্টেটে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছিল। কিন্তু এখন সংক্রমণের হার নিচে নেমে এসেছে। এ পরিস্থিতিতে গভর্নর অন্য আরও কিছু পদক্ষেপের মতো রেস্টুরেন্ট ব্যবসার হতাশা ও লোকসান দূর করার জন্য এগুলোকে খরিদ্দারদের জন্য খুলে দেওয়ার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গভর্নরের এই পরিকল্পনা অনুযায়ী রেষ্টুরেন্টের ভেতরে টেবিলগুলো সরিয়ে শুধু ২৫ শতাংশ টেবিল রাখা যাবে।
এদিকে নিউইয়র্ক সিটির রেস্টুরেন্ট সমূহ ২৫ শতাংশ ইনডোর সার্ভিস ১৪ ফেব্রুয়ারি খুলে দেয়ার ঘোষণায় রেস্টুরেন্ট মালিকদের মাঝে ঘটেছে প্রাণের সঞ্চার। আশাবাদী হচ্ছেন তারা। মহামারীর ভয়াল থাবার কারণে সৃষ্ট আর্থিক মন্দা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চান রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা। রেস্টুরেন্টের শহর নিউইয়র্কের অন্যতম অংশীদার বাংলাদেশী আমেরিকান রেস্টুরেন্টগুলো।
কোভিড-১৯ এর কারণে বাংলাদেশী মালিকানাধীন রেস্টুরেন্টগুলো যেমন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় তেমনি চাকুরি হারান এসব রেস্টুরেন্টে কর্মরত অনেক বাংলাদেশী। করোনাকালীন রেস্টুরেন্টের ভাড়া গুনতেই বিপাকে পড়েছেন অনেক রেস্টুরেন্ট মালিক। এর আগে করোনার প্রাদুর্ভাব কমার সাথে সাথে সিটির নির্দেশনা অনুযায়ী স্বল্প পরিসরে তারা চালু করেন গ্রাহক সেবা। সীমিত আকারে হলেও এখন ইনডোর সার্ভিস পুনরায় চালুর সিদ্ধান্তে আশাবাদী হয়ে উঠছেন রেস্টুরেন্ট মালিকরা। বাংলাদেশী অধ্যুষিত জ্যামাইকা, জ্যাকসন হাইটস, এস্টোরিয়া, ওজোন পার্ক, ব্রুকলীন ও ব্রঙ্কসের বাংলাদেশী মালিকানাধীন রেস্টুরেন্টগুলোতে নূতন করে চলছে অঙ্গসজ্জা। বাংলাদেশী রেস্টুরেন্টগুলোও একই ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করে নূতন স্বাভাবিকতায় ফেরার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।
Posted ৯:৪৮ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh