আশরাফ আহমেদ | বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২০
আমার বন্ধু সৈয়দ আবদুল্লা খালিদ জাতে তুখোড় ভাস্কর
নখে আঙ্গুলে চুলে, প্রতিটি লোমকূপে সকল অঙ্গপ্রত্যঙ্গে ।
সকল কাজেই শক্ত হাতে মসৃণ করেেতা নানা মাপের পাথর
বেস থেকে সুনিপুণ মাপে প্রলেপ দিতো কাঁদা, চূর্ণ একসাথে
সিমেন্ট সহ কতকিছু মিশিয়ে নিপুণ হাতে ভাস্কর্য গড়ে গেছেন
অতুলনীয় সব কাজে সৃষ্টিতে তিনি ইতিহাস ধরে রেখেছেন ।
বছরের পর বছর পাথর কেটে খুন্তি হাতুড়ি শাবল হাতে
মনের সুখে এঙ্গেলো সৃষ্টি করে গেছেন অমর ভাস্কর্য ডেভিড
খালিদের ‘অপরাজেয় বাংলা’ ও তেমনি এক ইতিহাস ,
বীরত্বের গাথা, বাঙ্গালির মুক্তিযুদ্ধে কীর্তির ইতিহাস ।
কি সুন্দর , কি সৃষ্টি, কি বাকরুদ্ধ বিস্ময় অপরুপ !
অন্তরীক্ষে স্রস্টা কি হাসেন ? বলেন গণ্ডমূর্খ যতসব !
বলেন কি, মাতৃজরায়ু থেকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার
শক্ত হাতে নরোম করে সন্তান প্রসব করান ঠিক
কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় একদিন সন্তানটি মরে যায়
সে তোমাদের হিসেবে , আমার হিসেবে সে মৃত্যুহীন
সাপ খোলস বদলে যেমন নতুন অবয়ব নেয় তেমনি ।
ভুলে যেও না হে মানব , আশরাফুল মখলুকাত যদি ও
তোমরা নেহাতই নির্বোধ লোভ, লাভ আর লালসার কাছে
ধ্বংস কর প্রকৃতি পরিণতি কি হবে এর কিছুই না ভেবে !
ভাস্করদের কীর্তি ও তোমাদের কারণে ধ্বংস হয়ে যাবে
জলবায়ু দূষণে বিধ্বংসী বন্যা, সাইক্লোন, অগ্নিগিরির লাভায়
মাটিতে মিশে গেছে চিরতরে কত সব সভ্যতা, নিমজ্জিত
সাগরের অতলে ওলট পালট পাহাড়, পর্বত মরু, মেরুতে
তোমাদের হীন কৃতকর্মের ফলে বিধ্বস্ত প্রকৃতি গ্রাস করবে
তোমাদের সব মহান সৃষ্টি , কীর্তিসব আর মানব সভ্যতা !!!
Posted ১২:০৯ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh