নিউইয়র্কে বাংলাদেশী পরিচালিত গাইডেড ট্যুর কোম্পানী বাংলা ট্যুরের পরিচালনায় দুটি গ্রুপ যাচ্ছে মধ্যপ্রচ্যের দেশ সৌদিআরব। আগামী ২৭ জানুয়ারী প্রথম গ্রুপটি দুপুর ২টায় সৌদিয়া এয়ার লাইনে রিয়াদের উদ্দেশ্যে জেএফ কে ত্যাগ করবে।একইদিন বিকাল ৫টায় ইজিপ্ট এয়ারে অন্য একটি গ্রুপ জেএফকে ত্যাগ করবে। ভ্রমনের শুরু হবে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে। সেখানে মদীনায় প্রিয় নবীর রওজায় সালাম জানিয়ে গ্রুপটি পরিদর্শন করবে মদীনা নগরী থেকে দুশো মাইল দূরের খায়বর যুদ্ধ ক্ষেত্র। যেখানে ১,৬০০ মুজাহিদ নিয়ে নবী মোহাম্মদ (সাঃ)৬২৮ খৃস্টাব্দে ষড়যন্ত্রকারী ইহুদিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে তাদের বসবাসস্থল “আল-কামুস” দুর্গ অবরোধ করে তাদেরকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করেছিলেন।

উল্লেখ্য খায়বরের যুদ্ধে হযরত আলী (রাঃ)অসাধারণ বীরত্ব প্রদর্শন করেন বলে মহানবী (সা:)তাঁকে আসাদউল্লাহ (আল্লাহর সিংহ) উপাধিতে ভূষিত করেন এবং তাকে বিখ্যাত জুলফিকার তরবারি প্রদান করেন। এই যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার ফলে ইহুদি সম্প্রদায়ের দম্ভ চূর্ণ হয়। এ যুদ্ধে হযরত আলী। (রা)-এর প্রদর্শিত বীরত্ব যুগে যুগে ইসলামের মুজাহিদদের প্রেরণা যোগায়।
গ্রুপটির পরবর্তী গন্তব্য পবিত্র মদিনা নগরী থেকে ৪০০ কি:মি. উত্তর-পশ্চিমে এবং জর্ডানের পেত্রা নগরী থেকে ৫০০ কিমি. দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থিত হিজায পর্বতের পাদদেশের সমতল মালভূমিতে অবস্থিত নবী হযরত সালেহ (আঃ), নবী হযরত শোয়েব (আঃ) এবং নবী হযরত মুসা (আঃ) এর স্মৃতি বিজরিত প্রাক ইসলামী যুগের প্রত্নতাত্বিক এলাকা-মাদা’ইন সালেহ পরিদর্শন। যেখানে মরুর অপার সৌন্দর্যের সাথে যুক্ত হয়েছে ইতিহাসের মিতালী। পাহাড়ের গায়ে অপূর্ব নির্মাণ শৈলী নিয়ে এখানে আজো দাঁড়িয়ে আছে প্রাচীন নাবাতিয়েন সমাধি সৌধ।

এই এলাকায় নবী শোয়েব (আঃ) বসবাস করতেন। পরবর্তীতে নবী মুসা (আঃ) তাঁর মেয়েকে বিবাহ করে এখানে ৮ বছর বসবাস করেন। মাদা’ইন সালেহ সৌদি আরবের প্রথম বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান যাকে ২০০৮ সালে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছে।

পবিত্র কোরআন অনুয়ায়ী খৃস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে এই এলাকায় ছামুদ নামে একটি জনগোষ্ঠী বসবাস করতো। যাঁদের জন্য প্রেরিত নবী সালেহ (আঃ)এর আদেশ অমান্য করায় তাদের উপর গজব নাজিল হয় যা কোরআনের সূরা আহকাফে উল্লেখ রয়েছে। এলাকাটি জর্ডানের পেত্রা নগরী থেকেও বিখ্যাত। মাদাইন সালেহ বা সালেহ নবীর শহরে ১৩১টি পাথর কুঁদে তৈরি সমাধি আছে। এগুলি প্রথম খ্রীষ্টাব্দে আল-আনবাত বা নাবাতিয়ান গোত্রের আরবদের তৈরি। কোরআনে এদের সামুদ নামে উল্লেখ আছে। পবিত্র মক্কা নগরীতে ওমরাহ পালনের মধ্য দিয়ে উভয় গ্রুপের ভ্রমন কর্মসুচীর সমাপ্তি ঘঠবে।৬ ফেব্রুয়ারী গ্রুপটি নিউইয়র্ক ফিরে আসবে। বরাবরের মতই গ্রুপটির দায়িত্বে থাকবেন বাংলা ট্যুরের সিইও হাবিব রহমান।দেশ ও বিদেশে যে কোন ট্যুরের জন্য আগ্রহীরা ৩৪৭ ২৮০ ৭২৬৯ এই নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন।