নিউইয়র্ক : | বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি’র উপর গুলি বর্ষণের প্রতিবাদে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশী সহ জুলাই যোদ্ধারা। গত ১২ ডিসেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় ডাইভারসিটি প্লাজায় এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রবাসী কমিউনিটি, এনসিপি যুক্তরাষ্ট্র শাখা, প্যাটরিয়ট অব বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ ফোরাম যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ উদ্যোগে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ঠান্ডা উপেক্ষা প্রায় অর্ধশত প্রবাসী বাংলাদেশীরা সমাবেশে অংশ নেন। সমাবেশে নিউইয়র্ক স্টেটের অ্যাসেম্বলি ডিস্ট্রিক্ট ৩৬-এর আসন্ন নির্বাচনে অ্যাসেম্বলী সদস্য পদপ্রার্থী বাংলাদেশী-আমেরিকান মেরি জোবাইদার, যুক্তরাষ্ট্র জাগপা’র সভাপতি এএস এম রহমতউল্লাহ, ড্রাম-বিটস এর সংগঠক কাজী ফৌজিয়া, জুলাই যোদ্ধা সৈয়দ আল আমীন রাসের, রওশন হক, আব্দুল কাদের, তাওহিদ তানজিম, হাসান সিদ্দিক, জারীর, সাইমন, তৌকির প্রমুখ।

সমাবেশ বক্তারা বলেন, ৩৬ জুলাই আন্দোলনের পর অনেকে যখন নিজেদের স্বার্থ হাসিলে ব্যস্ত তখন ওসমান হাদি ইনকিলাব মঞ্চ গঠন করে ফ্যাসিবাদ মুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করছেন। বক্তারা অবিলম্বে হাদির উপর হামলাকারীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান।
হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার প্রতিবাদ : প্যাট্রিয়টস অব বাংলাদেশ (পিওবি) জুলাই যোদ্ধা ওসমান হাদির ওপর হামলা ও হত্যাপ্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার দাবী করে বলা হয় তারা যদি সীমান্ত পেরিয়ে ভারত চলে গিয়ে থাকে তাহলে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে দ্রুত ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার জন্য বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা আশা করছি বাংলাদেশ সরকার এ ব্যাপারে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহন করবে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি হাদীর ওপর হামলাকারী দুই সন্ত্রাসীই ভারতে পালিয়ে গিয়ে বর্তমানে আসামের রাজধানী গুয়াহাটিতে অবস্থান করছে। ঘটনাটি নিঃসন্দেহে উদ্বগজনক। আমরা জানি যে বাংলাদেশে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ ভীষনভাবে তৎপর। হাদীর ওপর হামলার ব্যাপারেও ‘র’ জড়িত থাকতে পারে বলে আমরা মনে করি। বাংলাদেশের কোন নাগরিক বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্তের ধারে কাছেও যেতে পারেনা তাহলে হাদীর ওপর হামলাকারী সন্ত্রাসীরা কি করে এত দ্রুত ভারতে চলে যেতে পেরেছে।
ঘটনাটি আমাদের সন্দেহ আর ঘনীভূত করে তুলেছে। আমরা আরও জানি ভারতের কুখ্যাত সন্ত্রাসী লরেন্স বিষ্ণোই এর সহযোগিতায় ভারতীয় সরকারী এই সংস্থাটি দেশে বিদেশে নাশকতা চালিয়ে থাকে। সম্প্রতি তারা কানাডায় একজন কানাডীয় নাগরিক হরদীপ সিং নিজঝরকে হত্যা করেছে। বাংলাদেশে এই ধরনের অপতৎপরতা থেকে বিরত থাকার জন্য ও বাংলাদেশের সাথে সৎপ্রতিবেশী সুলভ আচরন করার জন্য আমরা ভারত সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি বাংলাদেশের সব নাগরিকের কাছে আমাদের আবেদন আপনারা সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে যে কোন বিদেশী অপশক্তির অশুভ অপতৎপরতার বিরুদ্ধে রুখে দাড়াবেন। নিউইয়র্ক (ইউএনএ)
Posted ১২:১০ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh