বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ০৬ জানুয়ারি ২০২২
নিউইয়র্ক স্টেটের সাবেক গভর্নর এন্ড্রু ক্যুমোর বিরুদ্ধে নারীদের সঙ্গে বলপূর্বক বা সম্মতি ছাড়া যৌন আচরণের অভিযোগে মামলা পরিচালনা করা হবে না বলে জানিয়েছে স্টেটের ডিষ্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি। গত অক্টোবরে ক্যুমোর বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ার পর অ্যালবেনি সেটি কোর্ট গত মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো এ বিষয়ে অভিমত ব্যক্ত করেছে। ডিষ্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি ডেভিড সোয়ারেস এর অফিস জানায় যে, সাবেক গভর্নরের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পর্কে অনেকের নিজ নিজ মতামত থাকতে পারে, কিন্তু কোনো অপরাধকে যৌক্তিক সন্দেহের উর্ধে প্রমাণ করার দায়িত্ব অ্যালবেনি কাউন্টি ডিষ্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির বর্তায়। অ্যালবেনি টাইমস ইউনিয়নে প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুযায়ী ডিষ্ট্রিক্ট অ্যাটনি ডেভিড সোয়ারেস বলেছেন, যদিও আমরা এই মামলার অভিযোগকারীকে সহযোগিতামূলক ও বিশ্বাসযোগ্য হিসেবে পেয়েছি, কিন্তু সকল বিষয় তদন্ত ও পর্যালোচনা করার পর আমরা এ মামলা পরিচালনা না করার সিদ্ধান্তেÍ উপনীত হয়েছি। কারণ আমাদের পক্ষে আদালতে অভিযোগ প্রমাণ করা সম্ভব হবে না।
উল্লেখ্য, সাবেক স্টেট গভর্নর ক্যুমোর বিরুদ্ধে বলপূর্বক যৌন আচরণের অভিযোগ আনেন তাঁর এক সাবেক নারী সহকারী ব্রিটানি কোমিসো। তিনি বলেন, ২০২০ সালের ৭ ডিসেম্বর ক্যুমো অ্যালবেনিতে নিউইয়র্ক স্টেট গভর্নরের সরকারি বাসভবনে আমাকে ইচ্ছাকৃতভাবে এবং কোন বৈধ উদ্দেশ্য ছাড়াই তার হাত আমার ব্লাউজের নিচ দিয়ে নেয়ার পর ব্রা’র উপর আমার স্তনে স্থাপন করেন। আমি সঠিকভাবেই তা মনে করতে পারি, তার হাত বেশ বড় আকারের, আমি ভাবছিলাম, হে ইশ্বর কী ঘটছে!”
অভিযোগের প্রেক্ষিতে ক্যুমো জোর দিয়ে বলেন যে তিনি কখনও তাঁর ৩৩ বছর বয়সী সহকর্মীকে স্পর্শ করিনি। কখনও তা ঘটেনি। অভিযোগের সামান্যতম বাস্তবতাও তো থাকতে হবে যে, আমি একজন নারীর স্তন স্পর্শ করে এ ধরনের একটি অভিযোগ তোলার জন্য সেই নারীর কাছে নিজেকে নাজুক করে তুলবো? আমায় বয়স ৬৩ বছর। আমি স্টেট, ফেডারেল পর্যায়সহ সকল পাবলিক অফিসে দায়িত্ব পালন করেছি। অসংখ্য লোক আমাকে নাস্তানবুদ করতে চেষ্টা করেছে, কিন্তু আমি সবসময় জনগণের স্বার্থে নিজেকে সজাগ রেখে কাজ করেছি।” অভিযোগ উঠার পর থেকে ক্যুমো দৃঢ়তার সঙ্গে অভিযোগ অস্বীকার এবং নিজেকে নির্দোষ দাবী করেন। তিনি বলেন, “যখন সরকার কোন অভিযোগকে রাজনীতিকরণ করে এবং মিডিয়ার শিরোনাম কোন প্রমাণ ছাড়াই নিন্দা শুরু করে তখন প্রকৃত অর্থে বিচার ব্যবস্থাকে অবমূল্যায়ন করা হয় এবং এ প্রবণতা নারীদের কোন উপকারে আসেন না, পুরুষ বা সমাজের কোন কাজে লাগে না। রাজনৈতিক চাপ এবং মিডিয়ার উন্মাদনা বিচার ব্যবস্থাকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে প্রভাবিত করে। কিন্তু এটি সঠিক নয়, সুষ্ঠু নয় এবং টেকসইও নয়। বাস্তবতাই মুখ্য ব্যাপার।
উল্লেখ্য, ১১ জন বর্তমান ও সাবেক নারী সহকর্মীকে ক্যুমো যৌন হয়রানি করেছেন এমন অভিযোগ উঠার পর পাঁচ মাসব্যাপী তদন্ত চলার পর গভর্নর এন্ড্রু ক্যুমো গতবছর আগস্ট মাসে পদত্যাগ করেন। এরপর লেফটেন্যান্ট গভর্নর ক্যাথি হকুল ভারপ্রাপ্ত গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
Posted ১১:০৫ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৬ জানুয়ারি ২০২২
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh