বাংলাদেশ ডেস্ক : | বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩
বাংলাদেশের প্রথম ট্র্যান্সজেন্ডার সংবাদ পাঠক তাসনুভা আনান শিশির ‘নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইক’ এ অংশগ্রহণকারী প্রথম বাংলাদেশী ট্র্যান্সজেন্ডার ফ্যাশন মডেল হিসেবে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। ২০২১ সালের নভেম্বর মাস থেকে তিনি মাঝে মাঝে সেরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বৈশাখীতে খবর পাঠ করেন।
ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে তিনি প্রথমবারের মতো নিউইয়র্কে আসেন, সেটিই ছিল যুক্তরাষ্ট্রে তার প্রথম ভ্রমণ। এ ভ্রমণ তার মধ্যে নতুন এক চেতনা জাগ্রত করে, যাকে তিনি তার রূপান্তর হিসেবে নিউইয়র্ক টাইমসের কাছে বর্ণনা করেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে তার পেশাগত সুযোগ সুবিধার দিগন্ত উন্মোচনের বিপুল সম্ভাবনা দেখতে পান এবং তার মাঝে উৎসাহ বৃদ্ধি পায়। গতবছর তিনি নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইকে অংশগ্রহণকারী প্রথম বাংলাদেশী ট্র্যান্সজেন্ডার মডেল ছিলেন।
একটি রক্ষণশীল মসলিম পরিবার ও সমাজে তাসনুভার বেড়ে উঠার পথ সহজ ছিল না। এখন তার বয়স একত্রিশ বছর। তাকে সর্বক্ষণ পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও বাইরের লোকের হয়রানির মুখোমুখি হতে হয়েছে। কয়েকবার তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু কোনমতে প্রাণে বেঁচে গেছেন। এক পর্যায়ে তিনি বস্তিতে গিয়ে বসবাস করতে শুরু করেন। তিনি বলেন, আমি আসলে একজন অভিনেত্রী হতে চেয়েছিলাম এবং ‘কশাই’ নামে একটি শর্ট ফিল্মে অভিনয়ও করেছেন। তার আত্মবিশ্বাস বেড়েছে।
তিনি বলেন, “মানুষকে লিঙ্গের ভিত্তিতে বিচার করা উচিত নয়। তাদের স্বীকার করা উচিত তাদের কাজের ভিত্তিতে, তাদের দক্ষতার ভিত্তিতে।” টেলিভিশনে তার সংবাদ পাঠক হিসেবে যোগ দেওয়ার ব্যাপারটি ছিল দৃষ্টি উন্মোচনকারীর মতো, যার মধ্য দিয়ে তার পক্ষে বাইরের পৃথিবীকে জানার সুযোগ হয়েছে এবং তিনি বর্তমান পর্যায়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি অনুভব করছি যে আমাকে সাতার কাটতে হবে। অতএব আমাকে সমুদ্রে সাতার কাটতে হবে। পুকুরেও নয়, নদীতেও নয়।”
Posted ১:২২ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh