বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
জ্যামাইকার হিলসাইড এভিন্যুতে শান্তি শৃংখলা ও সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে চলছে পুলিশি তৎপরতা। স্থানীয় ১০৭ প্রিসিঙ্কট নেইবারহুড পুলিসিং ইউনিট এজন্য অতিরিক্ত টহল বাড়িয়েছে এলাকাটিতে। হিলসাইড এভিন্যু ও ১৬৪স্ট্রীট থেকে ১৭৪ স্ট্রীট পর্যন্ত উভয় পাশে গড়ে উঠেছে বাংলাদেশী মালিকানাধীন ব্যবসায় বাণিজ্য। গ্রোসারী, সুপারমার্কেট, রেস্টুরেন্ট ফার্মেসী, ডাক্তার অফিসসহ বিভিন্ন স্টোরে ভীড় জমে থাকে মধ্যরাত পর্যন্ত। নানা বয়সী নারী পুরুষের সমাগম ঘটে এসব প্রতিষ্ঠানে। সম্প্রতি এ এলাকায় বিশেষ করে ১৬৭স্ট্রীট থেকে ১৬৯স্ট্রীট পর্যন্ত হিলসাইড এভিন্যু এবং ১৬৮ স্ট্রীটের কর্ণার বিকেল হলেই দখলে চলে যায় একশ্রেনীর আড্ডাবাজ মানুষের। অহেতুক তারা জটলা পাকায় ফুটপাত জুড়ে। বিঘ্ন সৃষ্টি করে সাধারণ পথচারীদের চলাচলে।
ঘন্টার পর ঘন্টা ফুটপাত আগলে রাখায় মহিলারা শিশুদের স্ট্রলার নিয়ে চলতি গিয়ে বিপাকে পড়েন। হিলসাইড এভিন্যু ১৬৮স্ট্রীটে নো স্ট্যান্ডিং ও নো পার্কিংয়ের জায়গায় অবৈধভাবে গাড়ী রাখেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের ড্রাইভওয়েও গাড়ি পার্ক করে মেতে উঠেন তাস খেলাতে। চা-কফি খেয়ে যেখানে-সেখানে গার্বেজ ফেলেন। এসব অনিয়ম ও বিশৃংখলতার কারণে সম্প্রতি এলাকাটিতে বিনষ্ট হতে থাকে বসবাসের সুষ্ঠু পরিবেশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি হিলসাইড এভিন্যুর ব্যবসায়ীরাও পড়েন অসস্থিতে। এমতাবস্থায় কুইন্স বরো কমিউনিটি বোর্ড-৮ এর সদস্যদের সাথে মতবিনিময় হয় পুলিশ প্রশাসনের। গত ২৮ আগস্ট এসব বিষয় নিয়ে জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে স্থানীয় জনগণের সাথে মতবিনিময় করেন ১০৭ প্রিসিঙ্কটের কর্মকর্তাগণ।
প্রিসিঙ্কটির নেইবারহুড পুলিসিং ইউনিট আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব সমস্যা পুলিশ প্রশাসনের নজরে আনা হয়। এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিন বিকেলে পুলিশ বিশেষ তৎপরতা শুরু করেছে এলাকাটিতে। সার্জেন্ট ব্রুকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অফিসার এলাকায় লিফলেট বিলি করছেন বিকেল হলেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন মানোন্নয়ন, বসবাসের সুষ্ঠু পরিবেশ ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে প্রচার পত্রে। পুলিশ অফিসারগণ এনিয়ে কথা বলছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারীদের সাথে। জনসচেতনতা ও সতর্কতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এধরণের প্রচারণা আরো কয়েকদিন অব্যাহত রাখা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রচার পত্রে। এতে কাজ না হলে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করবে পুলিশ। স্থানীয় জনগণ ব্যবসায়ীরা পুলিশের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে তাদেরকে সহযোগিতা করছেন। পুলিশি তৎপরতার কারণে অনেকটাই বন্ধ হয়েছে আড্ডা জটলা। স্বাচ্ছন্দে পথ চলছেন পথচারীরা। এখন গাড়ি পার্কিং নিয়ে পুলিশ ডাকাডাকি হ্রাস পেয়েছে।
Posted ৭:৩৭ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh