বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Weekly Bangladesh নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত

ফাহিম’স লাইফ ম্যাটারস

ডা. ওয়াজেদ খান   |   বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই ২০২০

ফাহিম’স লাইফ ম্যাটারস

যুক্তরাষ্ট্রে এখন জোর বিতর্ক চলছে-ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার বনাম অল-লাইভস ম্যাটার। নিউইয়র্কে ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনের ঢেউ কমলেও থেমে যায়নি। পুলিশ নয় এখন সন্ত্রাসীরাই ম্যাটার করছে না কোন লাইফ। ফলে শ্লোগান উঠেছে অল লাইভস ম্যাটার। এরই মাঝে হারিয়ে গেছেন ফাহিম সালেহ। পক্ষকাল হলো খুন হয়েছেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত তরুণ টেক ব্যবসায় উদ্যোক্তা ফাহিম সালেহ। ঘটনার তিনদিনের মাথায় গ্রেফতার করা হয়েছে সন্দেহভাজন খুনীকে। যে তার সাবেক সহকারী টাইরেস হ্যাসপিল। খুনের মামলা উঠেছে আদালতে। পরবর্তী শুনানী ১৭ আগষ্ট। খুনীর অপেক্ষমান দিন কাটছে এখন কারাগারে। বাংলাদেশে রাইড শেয়ারিং “পাঠাও” এর সহ প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ। প্রযুক্তি ক্ষেত্রে তার নবতর উদ্ভাবন ও বিনিয়োগ পেয়েছিলো বৈশ্বিকমাত্রা। বাংলাদেশ ছাড়াও নাইজেরিয়া ও কলম্বিয়ায় ঘটে শেয়ার রাইডিং ব্যবসার ব্যাপক বিস্তৃতি। নাইজেরিয়ায় রাইড শেয়ারিং গোকাদা’র তিনি ছিলেন প্রধান নির্বাহী। এসব দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন হাজার হাজার মানুষের। বেকার তরুণ সমাজকে বাৎলে দিয়েছেন বিনিয়োগ ও উদ্ভাবনী পথ। নিজেও লাভবান হয়েছেন আর্থিকভাবে। মেধাবী ফাহিম ছাত্র জীবনেই ঝুঁেক পড়েন টেকনোলজি ব্যবসার দিকে। ওয়েবসাইট ডিজাইন, টেলিফোন প্রাঙ্ককলিং সার্ভিস ব্যবসায় অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেন ফাহিম। তরুণ বয়সেই বনে যান কোটিপতি। ম্যানহাটানে বিলাসবহুল এপার্টমেন্টটি ফাহিম গত বছর ক্রয় করেন ২২লাখ ডলারে। আর এ বাড়ীতেই খুন হন তিনি।

নৃশংস এ হত্যাকান্ডের পূর্বে ফাহিম সালেহ সম্পর্কে বাংলাদেশী কম্যুনিটি ছিলো সম্পূর্ন অন্ধকারে। ফাহিম এবং তার পরিবারের অন্তর্মুখীতার কারণেই হয়তো কিছু জানা সম্ভব হয়নি। কিন্তু তার মৃত্যু বাংলাদেশীদের হৃদয়ে সৃষ্টি করেছে বড় ধরণের বেদনা ও ক্ষতের। ফাহিম হত্যাকান্ডের খবর নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, ডেইলি নিউজ, নিউইয়র্ক পোস্ট, লন্ডনের ডেইলি মেইল অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে প্রকাশ করেছে। স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলো প্রচার করেছে অনুসন্ধানী রিপোর্ট। এবিসি চ্যানেল ফাহিম সালেহকে অভিহিত করেছে ‘টেক গুরু’ হিসেবে। কিন্তু নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের বিশেষ কোন প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়নি ফাহিম খুনের ঘটনায়। তবে খুনিকে পাকড়াও করতে চেষ্টার কোন ত্রুটি ছিলো না নিউইয়র্ক পুলিশের। সিটিতে সাধারণ কোন খুন বা অপরাধের ঘটনায় প্রায়শই মেয়র ছুটে যান। হাই প্রোপাইল এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় সিটি কর্তৃপক্ষের নির্লিপ্ততা উদ্রেক করেছে নানাবিধ প্রশ্নের । সিটিতে আইন শৃংখলা পরিস্থিতির নজির বিহিন অবনতি এবং ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনের কথা ভেবেই হয়তো বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন তিনি। জর্জ ফ্লয়েড খুনের পর চলমান ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনের কারণে কোন অপরাধীকে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে পুলিশ এখন অত্যন্ত সতর্ক ও সচেতন। ফাহিমের খুনী টাইরেস হ্যাসপিলকে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে বিষয়টি ছিলো লক্ষ্যণীয়। তবে কোন উসিলায় যাতে আইনের ফাঁক গলিয়ে আসামী কোন ধরণের ছাড় না পায় অবশ্যই তা নিশ্চিত করতে হবে। শুধুমাত্র ৯০হাজার ডলারের জন্য ফাহিম খুনের শিকার হয়েছেন। না এর পেছনে বড় কোন মাফিয়া চক্র জড়িত আছে খতিয়ে দেখতে হবে সে বিষয়টিও। যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরণের হাই প্রোফাইল হত্যাকান্ডের রয়েছে অনেক নজির। গত বছর এমন একটি খুনের শিকার হন ভারতীয় বংশোদ্ভূত টেক মিলিওনিয়ার তুষার আত্রে। ক্যালিফোর্নিয়ায় অপহৃত হওয়ায় তিনদিন পর তার গুলিবিদ্ধ লাশ মিলে। প্রশান্ত মহাসাগর সৈকতের বাসা থেকে তিনমাইল দূরে নিজ গাড়িতে। এনিয়ে সোচ্চার হয় ভারতীয় সরকার ও নাগরিকগণ। ফাহিম সালেহ হত্যাকান্ডের ঘটনায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জোড়ালো কোন বক্তব্য আসেনি। একজন প্রতিমন্ত্রীর শোক প্রকাশ ছাড়া। ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস বা নিউইয়র্ক কনস্যুলেট ফাহিম খুনের ঘটনায় থেকেছে নির্বিকার। ফাহিম এখন আমেরিকার নাগরিক। কিন্তু তার প্রাথমিক পরিচয় এবং নাগরিকত্ব ছিলো বাংলাদেশ’র। সৌদি আরব ভিনদেশী পরিবারে জন্মগ্রহনকারীদের কোন নাগরিকত্ব দেয় না। বাংলাদেশের প্রতি হৃদয়ের টান ছিলো বলেই ফাহিম ছুটে যান সেখানে। ‘পাঠাও’র সহ প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন তিনি। ফাহিম হয়তো এর চেয়েও ভালো কোন কিছু করতে পারতেন বাংলাদেশে। কেন তিনি সেখানে ব্যবসায় গুটিয়ে নাইজেরিয়ামুখী হলেন তা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন ছিলো। বাংলাদেশের কোন গণমাধ্যমেও এ বিষয়ে অনুসন্ধানী কোন তথ্য উঠে আসেনি। ফাহিমকে তার শেকড়ের সাথে বাঁধতে না পারার দায় বাংলাদেশ রাষ্ট্রের। ফাহিম সালেহ খুনের ন্যায় বিচার হবে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাবে খুনী। এটা তার পরিবার এবং মানুষের প্রত্যাশা। সব মানুষের জীবনই অমূল্য। কোন ধর্ম-বর্ণ বা গোষ্ঠির মানুষের জীবন বিশেষ গুরুত্ব বহন করে এমনটি ভাবার কোন অবকাশ নেই।


ব্ল্র্যাক লাইভস ম্যাটার


আফ্রিকান আমেরিকান বা কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানদের উপর অমানষিক পুলিশী নীপিড়ন ও বর্ণ বৈষম্যজনিত সহিংসতার বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ আন্দোলনই হলো ‘ব্ল্র্যাক লাইভস ম্যাটার’। নেতাবিহিন ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার একটি সংগঠন। যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় এর আছে ১৬টি চ্যাপ্টার। আন্দোলনকালে সমমনা আরো কয়েকটি সংগঠন সম্পৃক্ত হয় এর সাথে। ফ্লোরিডার স্যানফোর্ডে ২০১২ সালে ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৭বছর বয়সের ট্রেভন মার্টিনকে গুলি করে হত্যা করে জর্জ জিমারম্যান। খুনের দায়ে আদালত কর্তৃক অভিযুক্ত হন তিনি। ট্রেভন মার্টিন খুনের ইস্যুতে ২০১৩ সালের জুলাইতে ‘হ্যাশট্যাগ-ব্ল্র্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনের সূত্রপাত। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ইস্যুটি। মিসৌরির ফারগুসনে ২০১৪ সালের আগষ্টে কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ মাইকেল ব্রাউন শ্বেতাঙ্গ পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এর আগে জুলাইতে নিউইয়র্ক সিটিতে গ্রেফতারকালে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যান কৃষ্ণাঙ্গ এরিক গার্নার। পরপর সংঘটিত দু’টি হত্যাকান্ডে দ্রুত দানা বেঁধে উঠে ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলন। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে ২০১৫ সালে ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার সক্রিয় ভূমিকা পালন শুরু করে। এসময় ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারী ক্লিনটন ২০১৫ সালের জুনে মিসৌরীতে কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানদের একটি চার্চে নির্বাচনী প্রচারণায় যান। সেখানে তিনি ব্ল্যাক লাইভস এর পরিবর্তে ‘অল লাইভস ম্যাটার’ শ্লোগানটি উচ্চারণ করলে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

ব্ল্র্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলন সারা যুক্তরাষ্ট্রে বিশাল আকার ধারণ করে জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে। মিনেসোটার মিনিয়াপলিসে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে নির্মম খুনের শিকার হন কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড। সারা যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়ে ব্ল্র্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলন। লাখো মানুষ নেমে আসে রাস্তায়। এ আন্দোলনের ঢেউ লাগে বিশ্বের অন্যান্য দেশে। কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানরা বৈষম্যের শিকার। দাবি উঠে যুক্তরাষ্ট্রে শত শত বছর ধরে চলমান প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণবেষম্য বন্ধের। সেই সাথে পুলিশী আচরণে সংস্কার। পুলিশের বাজেট হ্রাস করে কৃষ্ণাঙ্গ কম্যুনিটি এবং অন্যান্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে সেই অর্থ ব্যয় করার। প্রচলিত জামিন ব্যবস্থা ও ফৌজদারি আইন আদালত সংস্কারের দাবিও উচ্চারিত হয় আন্দোলন থেকে।


অল লাইভস ম্যাটার

এদিকে ব্ল্র্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলন ২০১৫ সালে আলোচনায় এলে এর প্রতিপক্ষ দাঁড়িয়ে যায়। তাদের কন্ঠে উচ্চারিত হয় “অল লাইভস ম্যাটার’ শ্লোগান। তাদের ভাষায় শুধু ব্ল্যাক নয় প্রতিটি মানুষের লাইফই ম্যাটার করে। অনেক রাজনৈতিক নেতা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এ শ্লোগানের পক্ষে যুক্তি দাঁড় করান। রিপাবলিকান সিনেটর টিম স্কট মনে করেন বর্ণ বৈষম্য দূর করে ঐক্যবদ্ধ হতে হলে প্রতিটি মানুষের জীবনকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে। শুধু কৃষ্ণাঙ্গদের জীবন নয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দও পোষণ করেন এমন ধারণা। আবার অনেকে মনে করেন অল লাইভস ম্যাটার শ্লোগান তুলে বর্ণ বৈষম্য টিকিয়ে রাখা এবং কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকার অস্বীকার করার একটি উদ্যোগ। ব্ল্র্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনকারীরা এই শ্লোগানের কট্টর সমালোচক। জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকান্ডের পর ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনে অংশ নেয় বিপুল সংখ্যক শ্বেতাঙ্গ। তারপরও আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গদের মাঝে অদৃশ্যমান ব্যবধান আরো স্পষ্ট হয়েছে। রাজনৈতিক মতাদর্শের উর্ধ্বে সৃষ্ট এ ব্যবধান ভবিষ্যতে বাড়তে পারে এমন আশংকা অনেকের। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে এখন উভয় শ্লোগানের পক্ষে শুরু হচ্ছে পাল্টাপাল্টি সমাবেশ। গত ২৬ জুলাই স্যাক্রাম্যান্টোর লুমিস শহরে ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার বনাম অল লাইভস ম্যাটার আন্দোলনকারীদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ দাঁড়িয়ে যায় মুখোমুখি অবস্থানে। লিপ্ত হয় তর্ক বিতর্কে। পরে পুলিশ এসে সামাল দেয় পরিস্থিতি। গত মে মাসের ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনকারীদের অনেকে নিউইয়র্ক সিটি সহ বিভিন্ন শহরে লুটপাটে মেতে উঠে। পুলিশের গাড়ি সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চালায় ভাংচুর। চেষ্টা করে আইন নিজ হাতে তুলে নেয়ার। এসব ঘটনা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেনি সাধারণ মানুষ। জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকান্ড এবং কৃষ্ণাঙ্গ-আমেরিকানদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে সমর্থনকারীরাও লুটপাটের বিষয়টিকে দেখেছে ভিন্ন দৃষ্টিতে।

এদিকে এ আন্দোলনের পর পুলিশ অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। নিউইয়র্ক সহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে ভেঙ্গে পড়েছে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি। নজিরবিহিনভাবে বেড়ে গেছে খুন ডাকাতি, সহিংসতা। নিউইয়র্ক সিটিতে প্রতিদিন মানুষ মরছে গুলিতে। যুক্তরাষ্ট্রে স্বাধীনতা দিবসে একদিনেই ঘটেছে ৬৪টি বন্দুক সহিংসতার ঘটনা। আর খুন হয়েছে ১১ জন। চলমান এ সহিংসতায় উদ্বিগ্ন আতঙ্কিত নগরবাসী। সহিংসতা দমনে হিমশিম খাচ্ছে। নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ। সম্প্রতি যারা ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন তাদেরও অনেকে এখন ক্ষুব্ধ। বিশেষ করে এসব সহিংসতা ও খুনের ঘটনা ঘটছে কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান অধ্যুষিত এলাকায়। এমতাবস্থায় ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার শ্লোগান হারাচ্ছে কার্যকারিতা। এমন কথা উচ্চারিত হচ্ছে তাদের মুখেই। ম্যানহাটানের ফিফথ এভিন্যুতে ট্রাম্প টাওয়ারের সামনে ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ শ্লোগানটি হলুদ রংয়ে বড় করে লেখা হয়েছে। মেয়র ব্লাজিও নিজে অংশ নিয়েছেন অংকণকালে। পরে চার দফা চেষ্টা চলেছে ম্যুরালটি মুছে ফেলার। শ্বেতাঙ্গদের পাশাপাশি অনেক কৃষ্ণাঙ্গও শামিল হয়েছেন এতে। সহিংসতা ও কৃষ্ণাঙ্গদের হাতে কৃষ্ণাঙ্গদের জীবন নাশের ঘটনায় ক্ষুব্ধ এসব মানুষ শ্লোগান দিচ্ছেন ‘অল লাইভস ম্যাটার।’ এবছর জুলাই পর্যন্ত গোটা যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের হাতে মারা গেছে ৫০৬জন। তন্মধ্যে ১০৫জন কৃষ্ণাঙ্গ। বাকিরা অন্যান্য বর্ণের। শুধু যুক্তরাস্ট্রেই নয়। ধর্ম, বর্ণ, সামাজিক ও রাজনৈতিক বৈষম্যের শিকার যারা বিভিন্ন দেশে তারাও তুলছেন এমন শ্লোগান। ভারতে শ্লোগান উঠেছে ‘মুসলিম লাইভস ম্যাটার।’ প্যালেস্টাইনেও এমন শ্লোগান উচ্চারিত হচ্ছে। ‘উইঘুর লাইভস ম্যাটার’ শ্লোগান উঠেছে চীনে। মিয়ানমারে ‘রোহিঙ্গা লাইভস ম্যাটার।’ বাংলাদেশে ‘হিন্দু লাইভস ম্যাটার।’ এমনকি করোনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে বিত্তবানরা শ্লোগান দিচ্ছে ‘ভিআইপি লাইভস ম্যাটার।’ আসলে বিত্তবান-বিত্তহীন প্রতিটি মানুষের লাইফই ম্যাটার করে। একজন মানুষের জীবন সংহার করার অধিকার আরেকজন মানুষের নেই। তরুণ ফাহিম হত্যাকান্ডে তাই স্লোগান উঠছে- ‘ফাহিম’স লাইফ ম্যাটারস’।

advertisement

Posted ১০:০৯ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই ২০২০

Weekly Bangladesh |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
Dr. Mohammed Wazed A Khan, President & Editor
Anwar Hossain Manju, Advisor, Editorial Board
Corporate Office

85-59 168 Street, Jamaica, NY 11432

Tel: 718-523-6299 Fax: 718-206-2579

E-mail: [email protected]

Web: weeklybangladeshusa.com

Facebook: fb/weeklybangladeshusa.com

Mohammed Dinaj Khan,
Vice President
Florida Office

1610 NW 3rd Street
Deerfield Beach, FL 33442

Jackson Heights Office

37-55, 72 Street, Jackson Heights, NY 11372, Tel: 718-255-1158

Published by News Bangladesh Inc.