নিউইয়র্ক : | বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
বাংলাদেশের চলমান ভয়ের সংস্কৃতিতে সরকার বিরোধী আন্দোলন সফল করতে সরকার বিরোধী আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ ভাবে মাঠে নামতে হবে বলে মনে করেন দেশের বিশিষ্টজনরা। বর্তমান আন্দোলন শুধুমাত্র বিএনপি কেন্দ্রিক। আন্দোলন সফল করতে সরকার বিরোধী সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামার তাগিদ দিয়েছেন তারা। গতকাল ২৭ ডিসেম্বর বুধবার বাংলাদেশ ইনষ্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট এন্ড সিকিউরিটি ষ্টাডিজ (বিডস) আয়োজিত “আসন্ন নির্বাচন ও ভবিষ্যতের পথরেখা” শীর্ষক ওয়েবিনারে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তারা।
বিডস আয়োজিত ওয়েবিনারে প্যানালিষ্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি ড. বদিউল আলম মজুমদার, ইলিনয় ষ্টেট ইউনিভার্সিটির ডিষ্টিংগুইশড প্রফেসর ড. আলী রীয়াজ, ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ডের (আইএমএফ) পরামর্শক জ্যোতি রহমান। ওয়েবিনার সঞ্চালনা করেন রবার্ট মরিস ইউনিভার্সিটির পিএইচডি ক্যান্ডিডেট ইমরান আনসারী। আলোচনায় অংশ নিয়ে ‘সুজন’ এর ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, যে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর আওতায় সরকার নির্বাচন আয়োজন করা হয়েছে, তা অবৈধ। এছাড়া সংসদ না ভেঙে আরেকটি সংসদের নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য। তিনি মনে করেন, এখনো সময় আছে সংসদ ভেঙে দিয়ে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সকল দলের অংশ গ্রহণে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করার।
ড. আলী রীয়াজ বাংলাদেশের নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপের বিষয় তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের শুরুতেই নির্বাচনে আমরা বিদেশী হস্তক্ষেপ লক্ষ করি। রাশিয়া, চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ কমবেশি সব নির্বাচনে দেখা গেছে। তবে ২০১৪ , ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে ভারতের হস্তক্ষেপ লক্ষ্য করার মত।
এটি সরকারের মন্ত্রীদের বিভিন্ন বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে। তিনি মনে করেন, ৭ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচনের পর অর্থনৈতিক স্বার্থে সরকারকে চীনমুখী হতে হবে। তবে ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনই শেষ কথা নয় বলে মনে করেন তিনি। জনবিক্ষোভের মাধ্যমেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায় হবে বলে মনে করেন ড. আলী রীয়াজ। আর এজন্য দেশের ডান বাম মধ্যপন্থী সকল দলকে একই প্লাটফরমে এসে আন্দোলন করতে হবে বলে মনে করেন তিনি। আর এতে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলেও মনে করেন তিনি। অর্থনীতিবিদ জ্যোতি রহমান মনে করেন, এক তরফা নির্বাচনের পর দেশ চরম মাত্রায় অর্থনৈতিক সংকটে নিপতিত হবে। যা গণবিস্ফোরণে রুপ নেবার আশংকা রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
Posted ৬:১৩ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh