নিউইয়র্ক : | বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
সিরাজুল আলম খান স্মৃতি পরিষদের বৈঠক গত ২৬ এপ্রিল শুক্রবার সন্ধ্যায় জ্যামাইকার একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ডা: মুজিবুল হক। সভা পরিচালনা করেন সদস্য সচিব শাহাব উদ্দীন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, সিরাজুল আলম খানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ৯ জুন রোববার সন্ধ্যা ৭টায় সিটির জ্যাকসন হাইটসের জুইশ সেন্টারে এক স্মরণ সভার আয়োজন করা হবে।
সভায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দলমত নির্বিশেষে প্রবাসীদের উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানান হয়েছে। সভায় বক্তব্য রাখেন ল’ সোসাইটির প্রেসিডেন্ট এম ,মতিউর রহমান, এডভোকেট মুজিবুর রহমান, লিগেল কনসালটেন্ট মুজিবুর রহমান, নাজির আহমেদ চৌধুরী , সরোয়ার হোসেন, আব্দুর রহিমসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
তারা বলেন, স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা নিউক্লিয়াসের অন্যতম সদস্য সিরাজুল আলম খান ১৯৬২ সাল থেকে ‘৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত নেতৃত্ব দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন। কিন্ত স্বাধীনতার পর যখন গরিব, কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, মেহনতি মানুষের অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা বাসস্থানের নিশ্চয়তা এবং স্বাধীনতার স্বাদ মানুষকে দিতে ব্যর্থ হলে বৃটিশ পাকিস্তানিদের উত্তরাধিকারপ্রাপ্ত সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তনের জন্য সমাজতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দৃড় প্রত্যয় ব্যক্ত করে স্বাধীন বাংলাদেশের সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে ছিলেন। কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য যে তাদের দাবি উপেক্ষিত হলে তারই পরিণতিতে স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর ও এখনো আমরা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছি।
দুর্নীতির, কালোটাকার মালিক, দেশের টাকা বিদেশে পাচারকারি লুটেরাদের স্বর্গরাজ্যে দেশ পরিণত হয়েছে। পাকিস্তানের বাইশ পরিবারের হাত থেকে আজ বাইশ হাজার লুটেরা পরিবারের জন্ম হয়েছে। এর থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য সিরাজুল আলম খানের মতো দেশপ্রেমিক ও রাষ্ট্র চিন্তাবিদের একান্ত প্রয়োজন ছিল। তার চলে যাওয়া রাস্ট্রের জন্য অপুরণীয় ক্ষতি। তারপরও তার রেখে যাওয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক পুস্তিকা, জীবনাদর্শ নিয়ে যদি আমরা দল ও মতের উর্ধে উঠে আলোচনা করতে পারি, তা হলে আমাদের নতুন প্রজন্ম এবং জাতি মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানবে । তারা আরো বলেন, ভোগের জন্য নয়, দেশবাসীকে ত্যাগের রাজনীতি করতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। রাষ্ট্র গঠনের সঠিক দর্শন ও দিক নির্দেশনা সম্পর্কে জানতে পারবে।
আজকের দিনে এই দৃষ্টি ভংগী সম্পন্ন মানুষের খুব অভাব। তাই আমরা মনেকরি জাতীর স্বার্থে মাওলানা ভাসানী , জাতীয় চার নেতাসহ সিরাজুল আলম খান ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠকদের বীরত্ব গাঁথা আমাদের নুতন প্রজন্মের সঠিকভাবে গড়ে তোলার জন্য পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করা একান্ত জরুরী। এবং এসব নেতৃত্বের বিভিন্ন চিন্তা ধারা রাজনৈতিক দর্শন গবেষণার মাধ্যমে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ গড়ে তোলার কাজে লাগানো উচিত ।
Posted ১০:৪৬ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh