নিউইয়র্ক : | শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বীর মুক্তিযোদ্ধা, গ্লোবাল পিস অ্যামব্যাসেডর স্যার ড. আবু জাফর মাহমুদ ব্রুকলীনে চার্চ ম্যাকডোনাল্ড বাংলাদেশি বিজনেস এসোসিয়েশন আয়োজিত পথমেলায় বলেছেন, এই মেলা কেবল ব্যবসা কিংবা সঙ্গীত বাদ্যের নয়। এই মেলা ভালোবাসার। আমরা একে অপরকে ভালোবাসতে পারি, এটিই আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় শক্তি। এ মেলা আমাদের শেখায় আমাদের দেশপ্রেম দুটি ধারায় চলমান, একটি বাংলাদেশ আরেকটি আমেরিকা। স্যার ড. আবু জাফর মাহমুদ বলেন, দেশপ্রেম ও জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশের প্রতি আমাদের দায়িত্ব পালনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। জন্মভূমির প্রতি আমাদের আনুগত্য সবার আগে। আমরা যদি জন্মভূমির প্রতি অনুগত না থাকি, অনুভূতিশীল না থাকি তাহলে আমরা সেই বিহারিদের চরিত্র ধারণ করবো, যারা একাত্তরে বাংলাদেশের আলোবাতাস পেয়েছে, সব সুযোগ সুবিধা নিয়েছে কিন্তু বাংলাদেশের বিরোধীতা করেছে। আজ আমরা আমেরিকায় আছি। আমেরিকার বহুমুখি সেবা ও কল্যাণ আমাদের জীবনের সঙ্গে যুক্ত। আমাদের মধ্যে যারা আমেরিকার সমালোচনা করে, তারা ওই বিহারির মতো, পরজীবী।
স্যার ড. আবু জাফর মাহমুদ বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার সঙ্গে তার জন্মগত সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমি নোয়াখালী জেলার সন্দ্বীপে জন্মগ্রহণ করেছি। ১৯৫৪ সনের আগে আমরা যারা সন্দ্বীপে জন্মেছি আমরা প্রত্যেকে নোয়াখালী জেলার অধিবাসী। ১৯৫৬ সালের পর সন্দ্বীপ চট্টগ্রাম জেলার সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেলে আমরা চট্টগ্রামের মানুষ হই। বাংলাদেশ জন্ম দেয়ার মধ্য দিয়ে আমি মুক্তিযোদ্ধা পরিচিতি পেয়েছি। যে মানুষটি আমাদের ছাত্রজীবনে বাংলাদেশ জন্ম দেয়ার অপরিহার্যতা বুঝিয়েছেন, শিখিয়েছেন, তিনি আমার নেতা, সিরাজুল আলম খান নোয়াখালীর মানুষ।
স্বাধীন দেশের পতাকা উত্তোলন করে বাঙালিকে জাগ্রত করেছেন, জানান দিয়েছেন আমরা আর পাকিস্তানী নই, তিনি হচ্ছেন আ শ ম আব্দুর রব। তিনিও নোয়াখালীর মানুষ। সূতরাং নোয়াখালীর সঙ্গে সন্দ্বীপের আবু জাফর মাহমুদের আত্মীয়তা ও যোগসূত্র রক্তের ও চেতনার। পাশাপাশি চট্টগ্রাম থেকে আমার স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা আসে। চট্টগ্রাম আমার জেলা। চট্টগ্রাম, নোয়াখালী সন্দ্বীপ এই ত্রিভূজের যে আকৃতি সেটি নিয়েই আমার দেশপ্রেমের শুরু। এভাবেই আমাদের প্রেম সামনে নিয়ে যাচ্ছি। যে রাজনীতি আমাদের বিভক্তি শেখায়, বিদ্বেষ শেখায় সে রাজনীতি আমাদের হতে পারে না।
Posted ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh