আল আমিন জামে মসজিদ অ্যান্ড ইসলামিক সেন্টারের ২০২৪-২০২৭ সালের নব-নির্বাচিত কমিটি শপথ নিলেন। গত ২৯ ডিসেম্বর বাদ জুমা নির্বাচন কমিশনার আবু তালেব চৌধুরী চান্দুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সদস্য সৈয়দ জসিম আলী ও মিছবাউর রহমান এনাম, ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান রফিক আহমদ, সদস্য ফজলে আলী চৌধুরী ও আনছার চৌধুরী, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম, বাংলা পত্রিকা ও টাইম টিভির সিইও আবু তাহের।

এছাড়াও মুসল্লি ও মসজিদ কমিটির সাবেক এবং বর্তমান কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। শপথ গ্রহণ করেন ১১ সদস্যবিশিষ্ট নতুন কমিটির সভাপতি শাহাব উদ্দীন, সহ-সভাপতি ডা. আহসান উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আমিন হোসাইন, যুগ্ম-সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুর রহিম, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাফায়ত খান, যুগ্ম-কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোতাহির হোসেন, প্রকল্প সংগঠক আব্দুস সালাম মিয়া আজম, যুগ্ম-প্রকল্প সংগঠক মুহিত পারভেজ, সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান, মোহাম্মদ এম. ইসলাম, জসিম আহমেদ সাদেক। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নির্বাচন কমিশনের অন্যতম সদস্য আব্দুর রাজ্জাক।

এসময় বিদায়ী সভাপতি জয়নাল আবেদীন বিগত দিনে মসজিদের বিভিন্ন উন্নয়ন ও কাজের দিকগুলো তুলে ধরেন। তিনি জানান, নিউজার্সিতে চুক্তিবদ্ধ ২৫০টি কবরের আংশিক মূল্য পরিশোধ করা হয়েছে। বাকি টাকা পরিশোধের জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি মসজিদের উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য বর্তমান কমিটিকে সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য মুসল্লিদের প্রতি আহ্বান জানান। নবনির্বাচিত সভাপতি শাহাব উদ্দীন মুসল্লিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, মসজিদ আল্লাহর ঘর। আপনাদের ভোটে আমরা নির্বাচিত হয়েছি। আপনাদের প্রতিটা হক যেন মসজিদের খেদমতে নিবেদিত থেকে আদায় করতে পারি, আপনারা আমাদের দোয়া করবেন। আপনারা আগামী চলার পথে অতীতের মতো বর্তমান কমিটিকেও সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন।

সভাপতি আরো বলেন, আল আমিন জামে মসজিদ অ্যান্ড ইসলামিক সেন্টার ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে যেভাবে আহলে সুন্নুতুল জামাতের আকিদার ওপর চলছে, ঠিক একইভাবে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে মসজিদ চলবে। আমাদের কমিউনিটিকে ভ্রাতৃপ্রেমী, নতুন প্রজন্মকে মসজিদমুখী করার জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন মসজিদের মুয়াজ্জিন নেছার আহমেদ। মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা লুৎফুর রহমান চৌধুরীর মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।