সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ গ্রেফতারকৃত দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি, নির্বাচনী তফসিল বাতিল এবং শেখ হাসিনা সরকার-কে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের এক দফা দাবীতে যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্টিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) অপরাহ্নে জাতিসংঘ সদর দফতরের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা সরকার বিরোধী নানা শ্লোগান দেন এবং ব্যানার-ফেস্টুন হাতে সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন।

বক্তারা বলেন, একতরফা প্রহসনের নির্বাচন দেশ-জাতি আর বিদেশীরা মেনে নেবে না। সমাবেশ শেষে যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের পক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিবের নিকট স্মারক লিপি প্রদান করেন যুবদল নেতা আবু সাঈদ আহমদ, ইলিয়াস খান ও জাকির এইচ চৌধুরী।

যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের বিদায়ী সভাপতি জাকির এইচ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, সাবেক সহ সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মোঃ গিয়াস উদ্দিন, বিএনপি নেতা মোশারফ হোসেন সবুজ, কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র আন্তর্জাতিক সম্পাদক আবু সাইদ আহমদ, কেন্দ্রীয় সহ আন্তর্জাতিক সম্পাদক ইলিয়াস খান ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাকসুদুল হক চৌধুরী। যৌথভাবে সমাবেশ পরিচালনা করেন যুবদল নেতা আমানত হোসেন আমান, মোহাম্মদ কাশেম ও শাহবাজ আহমেদ।

সমাবেশে অতিথিবৃন্দ ছাড়াও উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নিউইয়র্ক মহানগর বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা, আহবাব হোসেন চৌধুরী খোকন, ফয়েজ আহমেদ চৌধুরী, চৌধুরী সালেহ আহমদ, কাজী আমিনুল ইসলাম স্বপন, যুক্তরাষ্ট্র জাসাস নেতা জাহাঙ্গীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী, জাতীয়তাবাদী মহিলাদল নেত্রী সৈয়দা মাহমুদা শিরিন ও ফাতেমাতুজ্জোহরা পলি প্রমুখ।

সমাবেশে জিল্লুর রহমান জিল্লু বলেন, ভোটার বিহীন নির্বাচনের সরকার শেখ হাসিনার পায়ের নীচে মাটি নেই বলেই একতরফা নির্বাচন করতে চাচ্ছে। কিন্তু দেশের জনগণ এই নির্বাচন মেনে নেবে না। প্রতিদিন-ই সোমবার হয় না। সাপ্তাহে যেমন ৭দিন তেমনী সময়ও পরিবতনশীল। তিনি বলেন, সরকার বিএনপি-কে ধ্বংস করতে চায় বলেই নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে, হামলা করে, গ্রেফতার করে স্বৈরাচারী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি একদিন হাসিনা সরকারের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেবে বলে তিনি হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন। আবু সাইদ আহমদ বলেন, আওয়ামী লীগের দু:শাসনের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। বিএনপি-যুবদলের নেতৃত্বে চলমান আন্দোলনে এই সরকারের পতন হবে এবং দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে। তিনি গণতান্ত্রিক সকল আন্দোলনে দেশ ও প্রবাসের সকল জাতীয়বাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

ইলিয়াস খান বলেন, বাংলাদেশের আগামী দিনের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে হাসিনা সরকার বিরোধী আন্দোলন চলছে, আন্দোলন চলবে। আমরা রাজপথে আছি, রাজপথেই থাকবো। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন ছাড়া জাতীতাবাদী শক্তি ঘরে ফিরবে না।

জাকির এইচ চৌধুরী বলেন, ক্ষমতার মোহে হাসিনা সরকার অন্ধ হয়ে গেছে বলেই গণতন্ত্র বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছে, স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ পরিচালনা করছে। শেখ হাসিনা দেশে একদলীয় বাকশাল কায়েম করতে চায়।

প্রচন্ড ঠান্ডা উপেক্ষা করে বিএনপি ও যুবদল সহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন। বেলা ২টা থেকে বিকেল ৫ট পর্যন্ত এই সমাবেশ চলে। এসময় তারা গগণ বিদারী শ্লোগানে জাতিসংঘের সমানের আকাশ মুখরিত করে তোলেন। সমাবেশে উল্লেখযোগ্য নেতা-কর্মীর মধ্যে এ জেড এম জাহাঙ্গীর হাসাইন, আনিসুর রহমান, সৈয়দ গউসুল হোসেন, লিয়াকত আলী, শামীম মাহমুদ, অহিদুজ্জামান নিলু, মনিরুল ইসলাম মনির, আহসান উল্লাহ মামুন, মাসুদ রানা, হুমায়ুন আহমেদ, বাদল মির্জা, মোহাম্মদ আলী মিলন, মোঃ সোলায়মান, মাসুক আহমদ সুজন, সোহাগ আফসার, মোঃ মহসিন লাল, রাহিমুল ইসলাম প্রিন্স, সালাহউদ্দিন রুবেল, সেলিম আহমেদ, হুমায়ুন কবির, মোঃ কামরুল হাসান, কামাল হোসেন, তোফায়েল আহমেদ, মিজানুর রহমান মুরাদ, দিদার চৌধুরী, আজিজুল হক মন্টু, হাজী ইসহাক শেখ, মোঃ আনসার শেখ, মোঃ আতিকুর রহমান সাবু, মোঃ সেলিম আহমেদ, জিনাত রিনা, হাবিবা বেগম, রুবেল, সাইফুল, রিয়াজ, নাসির মোসলেহ উদ্দিন, জাবেদ, রিফাত, আলমগীর, ফয়সাল, টিপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। নিউইয়র্ক (ইউএনএ)