নিউইয়র্ক : | বৃহস্পতিবার, ২২ জুন ২০২৩
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সদ্যপ্রয়াত সিরাজুল আলম খানের স্মরণে গত ১৯ জুন সোমবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের জুইশ সেন্টারে এক স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। মরহুমের ভক্ত অনুরক্তরা এ স্মরণ সভার আয়োজন করে। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী কমিউনিটির অন্যতম সংগঠক ও মূলধারার রাজনীতিবিদ ফখরুল আলম অনুষ্ঠানে প্রারম্ভিক বক্তব্য রাখেন। স্মরণ সভার সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ সূচনা বক্তব্যে বলেন যে, একটি জাতির স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখে এর বাস্তবায়নে কাজ করেছেন সিরাজুল আলম খান। শুরুতেই সিরাজুল আলম খান এর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিটের নীরবতা পালন করা হয়।
শামসুদ্দীন গাজী, শামছুউদ্দিন আহমেদ শামীম এবং নুরে আলম জিকু’র পরিচালনায় বক্তৃতা করেন- সাবেক সংসদ সদস্য শহীদুর রহমান, ডাঃ সুফিয়ান খন্দকার, মোর্শেদ আলম, মাফ মিসবাহ উদ্দীন, স্বপন বড়ুয়া, মোহাম্মদ হোসেন খান, হানিফ মজুমদার, রায়হানুল ইসলাম চৌধুরী, আলী ইমাম সিকদার, ওমর ফারুক খসরু, জসীম উদ্দিন বাবু, মুজাহিদ আনসারী, দেওয়ান শাহেদ চৌধুরী, অধ্যাপিকা হোসনে আরা, মঈনুদ্দিন নাসের, সাঈদ তারেক, খোরশেদ চৌধুরী, শামসুদ্দিন আজাদ, আজাদ উদ্দিন, শাহান খান, আহসান হাবিব, ঠিকানা পত্রিকার সম্পাদক ফজলুর রহমান, ইব্রাহীম চৌধুরী খোকন, গোলাম কিবরিয়া অনু, এনামুল হায়দার, রেজাউল করিম চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন লিটন, জাকির হোসেন স্বপন, তসলিম উদ্দিন খান, আব্দুল মালেক, নাদির সরকার, রিমন ইসলাম, গাজী আজম বাদল, নজরুল ইসলাম, ডাঃ চৌধুরী সারওয়ারুল হাসান, হাকিকুল ইসলাম খোকন, আহসান হাবিব, চিত্তরঞ্জন সিংহ, সৈয়দ রাব্বি প্রমুখ।
বক্তারা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা। কর্ম প্রয়াসে আমরা সহজেই সিরাজুল আলম খানকে জাতির ভ্রাতা বলতে পারি। তিনি পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছিলেন, তাঁর কর্ম ও প্রয়াস হয়তো সফল হয়নি। যুগে যুগে এমন বহু বিপ্লব প্রয়াস ব্যর্থ হয়েছে। কোন অবস্থায়ই সিরাজুল আলম খান রাজনীতিকে নিয়ে ব্যক্তিগত কোন অর্জনের চিন্তা করেননি। বাংলা মায়ের এ খাঁটি সন্তান তাঁর চিন্তায় ও প্রয়াসে দেশ ও জনগণের চিন্তাই করে গেছেন। বহু কর্মের মূল্যায়ন দূর ইতিহাস কীভাবে দেখবে তা এখনই বলে যাবে না। তবে বাংলাদেশের মানুষ সিরাজুল আলম খান এর মতো মানুষকে হৃদয়ে ধারণ করে যাবে বলে তাঁরা উল্লেখ করেন।
বক্তারা বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে সিরাজুল আলম খান এর অনুসারীরাই সবচেয়ে বেশি আত্মত্যাগ করেছেন। অধিকাংশ অনুসারীরাই দেশের লুটপাট আর গণবিরোধী কাজে নিজেকে বিলিয়ে দেননি। অনুসারীদের মধ্যে দেশপ্রেম আর অগ্রসর চিন্তাকে সঞ্চারিত করে গেছেন সিরাজুল আলম খান। তাদের শ্রদ্ধায় ও ভালোবাসায় রাষ্ট্রবিজ্ঞানী সিরাজুল আলম খান বেঁচে থাকবেন হৃদয়ের গহীনে।
Posted ২:৩৩ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২২ জুন ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh