নিউইয়র্ক (ইউএনএ) : | বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতিসংঘে ভাষন-কে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের মধ্যে পানির বোতল ছোড়াছুড়ির পাশাপাশি ব্যাপক হট্টগোাল হয়েছে। জাতিসংঘের সদর দপ্তরের সামনে ২২ সেপ্টেম্বর , শুক্রবার অপরাহ্নে এই ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে দায়িত্বরত বিপুল সংখ্যক পুলিশ দুই দলের নেতাকর্মীদের মাঝে দাঁড়িয়ে ৪৬ স্ট্রীট সড়কের দু’পাশে সরিয়ে দেন। এই স্ট্রীটের দুই পাশে পুলিশী অনুমতি নিয়ে আওয়ামী লীগের সরকারের ‘উন্নয়ন-অগ্রগতিতে শান্তি সমাবেশ’ এবং ‘ভোটার বিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার ক্ষমতায় থাকা’র প্রতিবাদে বিএনপি কালো পতাকা প্রদর্শন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করে। খবর : ইউএনএ’র।
উল্লেখিত দাবীতে শুক্রবার সকাল থেকেই জাতিসংঘের সদর দপ্তরের সামনের ৪৭ নম্বর সড়কে মুখোমুখি অবস্থান নেয় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র শত শত নেতা-কর্মী, সমর্থকেরা। শুরুতেই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উভয় দলের কর্মসূচী চলে। এসময় উভয় দলের নেতা-কর্মীরা ব্যানার ফেস্টুন, জাতীয় ও দলীয় পতাকা নিয়ে স্ব স্ব পাল্টা-পাল্টি শ্লোগানে মুখর করে তোলে। বেলা দেড়টার দিকে চরম বিক্ষোভ, মিছিল আর বাদ-প্রতিবাদের এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগের কয়েকজন কর্মী বিএনপি’র হ্যান্ড মাইক নিয়ে খানিকটা এগিয়ে এসে বিএনপি’র সমাবেশের মুখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ প্রচার করতে থাকলে বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে।
এসময় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমল সহ কতিপয় নেতা তাদের নিবৃত কারার চেষ্টা করার পরও আওয়ামী লীগের কর্মীরা পুলিশী ক্রস লাইন পেরিয়ে এগিয়ে আসতে থাকে। ঘটনার সময় বিএনপি’র সমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগের সমাবেশের দিকে পারি বোতল ছুড়ে মারলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। শুরু হয় পাল্টাপাল্টি পানির বোতল নিক্ষেপ আর আক্রোশমূলক শ্লোগান। এসময় খাবারের প্যাকেটও ছুড়ে মারতে দেখা যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে নিউইয়র্ক পুলিশ বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সমর্থকদের সরিয়ে দিয়ে মাঝে অবস্থান নিয়ে সার্বিক পরিস্থিতি শান্ত হয়। প্রায় আধা ঘন্টার মতো এই হট্টগোল চলে।
ঘটনাস্থলে সরেজমিনে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগে নেতা-কর্মীরা বর্তমান সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে শান্তি সমাবেশ করছে, অন্যদিকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ‘গো ব্যাক, গো ব্যাক’ শ্লোগান দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তুলেছে। পরিশেষে দুই দলের সমাবেশ শান্তিপূর্ণ করতে সড়কের মাঝখান ব্যারিকেড দেয় নিউইয়র্ক পুলিশ। নিজ নিজ দলের রাজনৈতিক কর্মসূচির এক পর্যায়ে ব্যারিকেডের তোয়াক্কা না করে একে অপরের দিকে বোতল ছুড়ে মারা শুরু করেন আওয়ামী লীগ-বিএনপির নেতাকর্মীরা।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে দলীয় নেতা-কর্মী ছাড়াও যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ সহ সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতা-কর্মী ছাড়াও নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি, ভার্জেনিয়া, মেরিল্যান্ড, পেনসেলভেনিয়া, নিউজার্সী, কানেকটিকাট, ফ্লোরিডা, নিউ ইল্যান্ড, মিশিগান সহ বিভিন্ন রাজ্যের নেতা ও কানাডা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। অপরদিকে বিএনপি’র প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে দলীয় নেতা-কর্মী ছাড়াও যুবদল, ছাত্রদল, শ্রমিকদল, জাসাস, জিয়া পরিষদ, বৃহত্তর নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী ফোরাম, বেগমগঞ্জ জাতীয়তাবাদী ফোরাম প্রভৃতি সংগঠনের শত শত নেতা-কর্মীরা ছাড়াও নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি, ভার্জেনিয়া, মেরিল্যান্ড, পেনসেলভেনিয়া, নিউজার্সী, কানেকটিকাট, ফ্লোরিডা, নিউ ইল্যান্ড, মিশিগান সহ বিভিন্ন রাজ্যের নেতা এবং যুক্তরাজ্য ও কানাডা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
Posted ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh