‘বৃক্ষ তোমার নাম কি? এর জবাবটা কিন্তু অবশ্যই হবে ‘ফলে পরিচয়’। বলছিলাম কি; ‘কোন কিছুর গভীরে গেলেই কিন্তু উঠে আসবে অতীতের কথা – অতীত আসবেই। কেননা আম গাছে কখনো কাঁঠাল ধরে না। তাই মানুষ কোন বৃক্ষ রোপনের সময় তার বীজের খবরটি নেয় আগে। বীজ ভাল মানের হলে তবেই না গাছ, ফল ইত্যাদিও ভালমানের হবে । তাই তো আজও সমাজে এমনকি বিয়ে সাদির ব্যাপারেও আসে এই একই প্রশ্নটা তাই না ? … ‘হ্যাঁ, এটাও সত্যি, ভাল মানের বৃক্ষ রোপন করেও কিন্তু শুধু পরিচর্যা, মাটি কিংবা পারিপার্শ্বিক কারনে আপনি কখনো কখনো ভাল ফল না-ও পেতে পারেন’। আর এমন পরিস্থিতিতে অর্থাৎ এ-সব ক্ষেত্রেই শুধু মাত্র উঠে আসবে আপনার বর্তমানের ব্যাপারটাও।
কিন্তু ; ‘আপনার বর্তমান কার্যক্রমও যদি চরম কলুষিত থাকে – তখন এর কি হবে বলুন তো জনাব’। অতীত নয় এমনকি এই বর্তমানেও আপনি নিজে যদি একজন জুয়া খোর, নেশাখোর, ঘুষখোর-সুদখোর, চোর কিংবা মামলাবাজ,মিথ্যুক, এমনকি এরকম ভাবে সকল ক্ষেত্রে ই সকলের চোখেই আপনি চরম অ’শান্তিপুর্ন একজন লোক হয়েও অন্য রকম ভাল একজন মানুষকেও যদি আপনার কাতারে নিয়ে আসতে চান – এবং এই মর্মে তাকে যদি আপনি নানাহ কথোপকথনে বিরক্ত করেন, তথা ধৈর্যহীন করে ক্রেজি বানিয়ে ফেলেন – তখন সমাজ তথা আপনার নিজের জন্যও – সেটার ভয়ংকর পরিনতি কি হতে পারে সেটা কি আপনি জানেন বা গভীর ভাবে ভেবে দেখেছেন কখনো? এটাও মনে রাখবেন “আপনি যতই অর্থশালী কিংবা ক্ষমতাশালী” হউন না কেন – “মিথ্যাকে কিন্তু কখনো’ই প্রতিস্থাপন করা যায়নি কোনদিনই।”
এটা কিন্তু শুধুই ধর্মের কথা নয়, বরং বিজ্ঞান মতেও – এটা কেউ করতে চাইলে “অতি সংগোপনে লুকিয়ে রাখা তার নিজের কঠিন সত্যিটাই কিন্তু বেরিয়ে আসার ভয় থাকে অনেক অনেক বেশি”। এবং যুগে যুগে এটা প্রমানিতও হয়েছে।। আর এটা না জেনে থাকলে সেটা জেনে নিয়ে ভদ্র ও শান্তি প্রিয় এই সমাজ টাকে নিষ্কৃতি দিন জনাব, প্লিজ। … নইলে কিন্তু আজ না-হয় আগামীকাল – এর চরম পরিনতির জন্য “আপনি এবং আপনার সঙ্গী, অর্থাৎ আপনার দুষ্কর্ম্মে-দুষ্ট পুরো সভাসদ গন সকলেই দ্বায়ী হবেন চরমভাবে এবং সমান ভাবে”। সুতরাং; ‘কান্ডারী হুঁশিয়ার’!