ড. মাহবুব হাসান | বৃহস্পতিবার, ০৮ অক্টোবর ২০২০
আমি একটি নিউজ পড়লাম প্রথম আলোর অনলাইনে। মূল নিউজ রয়টারের। বাংলাদেশ থেকে মানব পাচারের প্রধান পথ নাকি এখন বলকানের চারটি দেশ। এ-নিয়ে আরো একটি নিউজ পড়েছি ইউরো নিউজে। এসোসিয়েটেড প্রেসও এই একই নিউজ করেছে। ইউনাটেড ন্যাশন জাতিসংঘ পরিচালিত সাতটি ক্যাম্পই খালি করছে তারা আসন্ন শীত মওসুমে। বসনিয়ার উত্তর-পশ্চিম সীমান্তবর্তী শহরের বাইরে এক জঙ্গলে অভিবাসী প্রত্যাশী মানুষদের জায়গা হয়েছে। তাদের মাথা-গোঁজার কোনো ঠাঁই নেই। পরিথিনের তাবু করে তারা থাকছেন। হিমঠান্ডা নদীর বা খালের পানিতে গা ধুইছেন বা গোসল করছেন। এই দৃশ্যই দেখলাম একটি নিউজ ভিডিওতে।অনেকেই লুঙ্গি পওে আছেন দেখে মনে হলো এরা বাংলাদেশি। খাবার ঠিক মতো জুটছে না তাদের। এমন কি তাদের জন্য চিকিৎসার কোনো রকম সুযোগও করতে পারেনি স্থানীয় ক্রাজিনা কর্তৃপক্ষ। এমন কি মাঝে মাঝে তাদের কপালে কোনো রকম খাবারও জোটে না। ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন এর মধ্যেই ৬০ মিলিয়ন ইউরো সাহায্য দিয়েছে ইউএন পরিচালিত সাতটি সেন্টারে থাকা এ-সব অভিবাসী প্রত্যাশী মানুষদের জন্য। কিন্তু কেন এই শীতের প্রাক্কালে হেমন্তে, অভিবাসীদের উৎখাত করা হলো ক্যাম্প থেকে?
আমি জানি না, বসনিয়া-হার্জেগোভিনার অর্থনৈতিক অবস্থা কেমন। ইউরোপীয় দেশগুলোর মতো শক্তিশালী নয় যে সেটা ভালোভাবেই জানা। তারা চেষ্টা করছে ওই সব মানুষদের নানাভাবে সাহায্য করতে। কিন্তু অভিবাসীরা সেই সাহায্য পাচ্ছে বলে তো মনে হচ্ছে না।
রয়টারের নিউজে বলা হয়েছে মানব পাচারের নতুন রুটস হয়েছে বলকানের চারটি দেশ, বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, সার্বিয়া, ক্রোয়েশিয়া এবং শ্লোভানিয়া। বাংলাদেশের মানব পাচারকারীরা এখন নাকি বলকানের এই দেশগুলোকে বেশি পছন্দ করছে তাদের ‘পাচারপণ্য’ তরুণ মানব সন্তানদের মূল লক্ষ্য ‘ইতালিয়াতে, মানে ইতালিতে পাচার করতে। কোভিড-১৯ পরবর্তী পরিস্থিতিতে নাকি ইতালিতে অভিবাসনের সুযোগ কঠিন হয়ে যাবে, এই অপপ্রচারণাই ইউরোপের সুখের পাখি ধরতে ওই সব মানুষেরা পাড়ি জমিয়েছে। গত জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কয়েক হাজার বাংলাদেশিকে ওই দেশগুলোতে পাচার করেছে তারা।
২.
রবীন্দ্রনাথের একটি গান আছে ‘যাও, সুখের সন্ধানে যাও’। মনে হয় বাংলাদেশি তরুনেরা সুখেরই সন্ধানে অজানা, অচেনা, অনিশ্চিত জীবনের পথে পা বাড়িয়েছে। পাচারকারীরা তাদের ‘আশাকেই’ পুঁজি করেছে। সেই পুঁজি, আজ দারুণ মানবিক সমস্যায় জর্জরিত। তারা যেতে চেয়েছিলো ইতালিতে, জীবন গড়তে। কিন্তু সেই কপালে বসনিয়ার জঙ্গলে এসে আটকে গেছে। তারা আর বেরুতে পারছে না তাদের ভুল থেকে। আমি শুনেছি লাখ লাখ টাকা তারা পাচারকারীদের হাতে তুলে দিয়ে তারা এ-দেশে এসেছে। পাচারকারীরা এ-ক্ষেত্রে সফল। তারা এই সব তরুনদের মনে মিথ্যাকে বুনে দিতে সমর্থ হয়েছে। কিন্তু আমাদের রাষ্ট্র কি এটা জানে না যে পাচারকারী চক্র অপরাধ করতে যাচ্ছে। সরকার কি খোঁজ রাখে না কারা এ-সব করে? পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমিন স্বীকার করেছেন যে অনেক তরুণ পাচারকারী চক্রের মাধ্যমে সুখের দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। কিন্তু তিনি এর কারণ কী তা বলেননি। কেন দেশে তারা ওই টাকা বিনিয়োগ না করে পাচারকারী চক্রের হাতে তুলে দিয়ে এমন মরণপথ বেছে নিয়েছে? এর রাজনৈতিক ও সামাজিক কারণ কী? সে ব্যাপারে কি সরকার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে গবেষণা করেছেন? নাকি তারা বগল বাজিয়ে কেবল বলবেন আমাদের তরুণেরা বিশ্ব পরিবারের মানুষ হয়ে যাচ্ছে। তারা অবদান রাখছে দেশের অর্থনীতিতে। রেমিটেন্সের বন্যায় ভেসে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ৩৯ বিলিয়ন ডলারের বিশাল অংকের বৈদেশিক মুদ্রা আমাদের তহবিলে। সরকার মনে করে, তারা যে সব এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশে জনশক্তি রফতানি করে, তারাই কেবল অবদান রাখছে। তারা এটা বিশ্বস করবেন না যে পাচার হয়ে যাওয়া লাখ লাখ বাংলাদেশি তাদের জীবন-ব্যয় করা আয় দেশে পাঠায় এবং সেই টাকায় সরকারের সিনা ফুলে ওঠে সিংহের মতো। তাদের ক্ষমতার গর্জনটাও তেমন হয়। কিন্তু ওই যে ৭৬০ জন বাংলাদেশি তরুনের জীবনের অমানবিক ও মানবেতন অভিবাসী অনিশ্চিত জীবনের ধকল সইছে, একদিন হয়তো তারা মৃত্যবরণ করবে অবহেলায় কিংবা পৌছে যাবে তাদের লক্ষ্যে।
আমি জানি সরকার বলবেন, আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করছি লোক পাঠাতে। তাদের উচিত ছিলো ধৈর্য ধারণ করে অপেক্ষা করা। কিন্তু তারা যে ধৈর্য হারিয়ে ফেলেছে। কারণ সন্তান সংসারের জন্য কিছুই করতে পারছে না। ধৈর্য ধারণ করতে করতে তাদের চুলে পাক ধরে যাবে। তারপরও সরকারি অফিসের বদ ও বজ্জাতদের নাগালে যেতে পারবে না তারা। ঘুষ ছাড়া একটি পদও আগানো যায় না। সেই ঘুষ ও দুর্নীতিকে উৎখাত করার কোনো উৎসাহ গত ৪৮ বছরেও দেখা যায়নি। মুখে তারা এমন বহু জাবর কেটেছেন উন্নয়ন, উন্নতি আর জনশক্তি রফতানির। টেকনিক্যাল শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার জন্য বহু ইন্সটিটিউশন গড়ে তুলেছেন। বেসরকারি খাতেও দক্ষ জনশক্তি তৈরির পথও খুলেছেন। কিন্তু সেগুলোতে কি কাজ হচ্ছে, কতোটা শিখছে, কতোটা কেবল সার্টিফিকেট বিতরণ হচ্ছে, প্রশিক্ষকদের দক্ষতা আছে কি নেই তার কোনো পরীক্ষা নেয়া হয়নি। কেন? কারণ যারা এ-সবের দায়িত্বে তারা গলাবাজিতে যতটা ওস্তাদ, কাজে কর্মে লবডঙ্কা। তারা গলাবাজ হলেই ক্ষমতার মসনদে বসা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মনে করেন, তারা কি সোনার ছেলে। কি চমৎকার শ্লোগান দেয়, নাম কেত্তন করে, এর প্রতিভা নিশ্চয় আকাশ সমান। তিনি বা তারা এমনটাই ভাবেন, কারণ তাদের ভাবনার স্ট্যান্ডার্ডও ওই গলাবাজদেরই স্তরের।
৩.
আমি অনেক ভিডিও রিপোর্ট দেখি ইউ টিউবে। জানি এরা দেশের প্রচলিত অর্থে সংাদপত্রের ও ইরেকট্রনিক্স মিডিয়ার কোনো সাংবাদিক নন। তারা মনের আনন্দেই এ-সব ভিডিও রিপোর্টি করে থাকেন বা এখনো করছেন। আপনি যদি চান পদ্মা সেতুর সপ্তাহখানেক আগের স্পট রিপোর্ট পাবেন ভিডিওসহ। ঠিক এ-রকমই আরো কিছু ভিডিও পাবেন আপনি যা উন্নয়নকেন্দ্রিক। সেই সব উন্নয়নমূলক ভিডিওগুলো এনিমেটেড করা ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টেও কাল্পনিক ডিজাইনের সাথে বাংলায় বর্ণনা দিয়ে বলা হচ্ছে এই সব প্রজেক্ট গৃহীত হয়েছে অথবা হওয়ার পথে। অমুক সন থেকে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে বা হবে এবং দেশ বিশ্বের উন্নত দেশের তালিকায় চলে যাবে। কল্পনাকে বাস্তবের প্রতিরুপ করে তোলা হয়েছে সে সব এমিনেটেড ভিডিওতে।
প্রথম দিকে দেখেছি অদ্ভূত সব ডিজাইনের গণপরিবহণের ডিজাইনের সচল যাত্রা হচ্ছে ঢাকা শহরে। এনিমেশন করা সে সব দেখে আমি চমকে উঠেছিলাম। কারণ এমন বিচিত্র ও শোভন পরিকল্পিক গণপরিবহণ উন্নত দেশেও নেই। আজো তারা ওই রকম গণপরিবহন যানের কল্পনাও করেনি। এই নিউ ইয়র্ক মহানগরে পাতাল রেলের সূচনা হয় ১৯০৫ সালে, তখন এখানে দশ লাখও মানুষ বাস করতো না। আজকে ৮৬ লাখ মানুষের বসবাস। তারপরও এখনো চীন বা জাপানের মতো বুলেট ট্রেন চালু করেনি। করেছে, তবে তা নিউ ইয়র্কে নয়, কোনো এক রাজ্যে, ক্যালিফোরনিয়ায়, হয়তো। তার গতি ২১০ মাইলের বেশি নয়।
এখন যে সব ভিডিও দেখছি বাংলাদেশি এমিনেশন নির্মাতাদের, তাতে অবাক হবারই করা। আমাদের রেল রোড ট্রান্স এশিয়ান রেলহাইওয়ের সাথে মিলিত হবে, যা পরিকল্পিত হয়েছে। সে-কারণে ঢাকা টু চট্টগ্রাম এবং এক্সটেনশন করে কক্সবাজার পর্যন্ত নেবার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এবং এর একটি শাখা মিয়ানমারের ধুমঘুম পর্যন্ত যাবে। এর নির্মাণ কাজ ২০২৫ সালের মধ্যেই শেষ হবে। ব্যয় ধরা হয়েছে মাত্র ১২ হাজার কোটি টাকা। এলিভেটেড একপ্রেস হাইওয়ের মতো আলাদা ট্র্যাকে রেলপথটি নির্মিত হবে। এর জন্য এর মধ্যেই চীনের কাছে ৫৬ জোড়া বুলেট ট্রেনের অর্ডার দেয়া হয়েছে। এরই পাশাপাশি আমরা দেখতে পাচ্ছি ঢাকা মহানগরে এলিভেটেড এক্সপ্রেস রেলওয়ে নির্মাণ হচ্ছে। ২০১৪ সালে এর ব্যয় বরাদ্দ হলেও ২০১৬ সালের আগে এর নির্মাণ শুরু হযনি। আর গত ৫ বছরের যে পরিমান কাজ হয়েছে তাকে বলা যায় ৬টি ফেজের মধ্যে মাত্র একটি ফেজের ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। সেটি ৫/৬ নম্বর ফেজ। দিয়াবাড়ি থেকে এর সূচনা হয়েছে, যদিও সেখানে রেলেও অনেক কাজ এখনো বাকি। সেটা এসে থামবে কাজিপাড়া। সেখান থেকে আরেকটা ফেজ শুরু হয়েছে যা ইউনির্ভাসিটি হয়ে মতিঝিল ও কমলাপুর পর্যন্ত যাবে। এ-ফেজের কাজ ৩০/৪০ পার্সেন্ট শেষ হয়েছে। ২০১৯এর ডিসেম্বওে এর কাজ শেষ হবার কথা ছিলো। কিন্তু তা হয়নি। পরে এর নির্মাণ ২০২০এর ডিসেম্বও পর্যন্ত বাড়ানো হয়। কুড়িকুড়ি তো যাচ্ছে প্যান্ডামিক করোনা ভাইরাস মোকাবিলায়ই। এখন এই একটা ফেস সম্পন্ন করতেই আরো একবছর সময় বাড়ানো হয়েছে। ২০২২-এর ডিসেম্বর কাজ শেষ হবে।
আমরা তো সব সময়ই আশা করি সরকারের নেয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে নির্ধারিত সময়ে। কি গত ৪৮ বছরে সরকারি কোনো উন্নয়ন প্রকল্পই নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন হয়নি। এ-নিয়ে প্রশ্ন তুললেই বলবে আমাদের অর্থেও সংকট বা লজিস্টিক সাপোর্টের অভাবই এর জন্য দায়ী। কিন্তু বিদেশি নির্মাতাদের হাতে যে সব প্রকল্প সম্পন্ন করার চুক্তি করা হয়েছে, সেগুলোতে তো লজিস্টিক সাপোর্টের অভাব হওয়া বা থাকার কথা নয়, সেগুলোতে এমনটা হচ্ছে কেন? এ-প্রশ্নের জবাব রেডি আছে সরকারের মুখে। কারণ তারা পরিকল্পনাই করে যাতে ওই সব প্রজেক্ট প্রতিবার সময় বাড়াবে এবং সাথে ব্যয় বরাদ্দও বাড়াবে। লক্ষ্য একটাই সেখান থেকে লুটের আয়োজন। এখন চলমান যত উন্নয়ন প্রজেক্ট আছে তার মধ্যে ঢাকা মহানগরের এলিভেটেড এক্সপ্রেস হাইওয়ের অবস্থা সব থেকে খারাপ। এই প্রজেক্টের ৩০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি গত ৮ বছরে। ২২০ কোটি টকটর এই প্রজেক্ট এখন কয় হাজার কোটিতে গিয়ে ঠেকেছে, তা আমার জানা নেই। যে কোম্পানিটি এই প্রজেক্টেরর দায়িত্ব পেয়েছিলো তাদের কোনো লজিস্টিক নেই। নেই তাদের এ-কাজের কোনো কারিগরি যোগ্যতাও। ঘুষের বিনিময়েই যে তাদের কাজ দেয়া হয়েছে, সেটা দিনের আলোর মতোই পরিস্কার। এ-সব ছাড়াও ডেভেলপমেন্টের আরো বহু প্রজেক্ট নেয়া হয়েছে। তার মধ্যে ডিজিটাল মার্কা প্রজেক্টে লাখ লাখ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে বা হচ্ছে। সেগুলো নির্মাণ শেষ হলে দেশ অবশ্যই সুপার উন্নয়নের হাইওয়েতে প্রবেশ করবে। তখন আর উন্নয়ন সোনার পাখি হয়ে থাকবে না। আমরা ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত দেশগুলোর ক্লাবের সদস্য হবো।
ভাবলে, এরচেয়ে সুখকর স্বপ্ন আর কি হতে পারে? স্বপ্ন আর বাস্তবের মধ্যে যে কতো ফারাক, তা বোঝে যারা তারাই মানব পাচারকারীদের হাতে ধরা খায়। ধরা খেয়ে বসনিয়ার জঙ্গলে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।
৪.
ডিজিটাল প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হয়েছে বলে প্রচারণা যদি সত্য হতো তাহলে তো কয়েক লাখ তরুণের কর্মসংস্থান আয়োজন হয়ে গেছে। কিন্তু সরকার কি বলতে পারবেন, প্রয়োজনীয় লোকবল তাদের যুবসমাজে আছে কি না। দক্ষ কমপিউটার ম্যানপাওয়ার কি আমরা প্রস্তু করেছি? তারা কি সে সব জায়গায় জব পেয়েছে? ডিজিটাল সম্পর্কিত সব প্রজেক্টে, পাতাল রেল রোড, হাইটেক পার্ক, উপকূলের দ্বীপগুলোতে ট্যুরিজমের জন্য নির্মিতব্য ইকোপার্কসহ নানা প্রকল্পের এমন কর্মযজ্ঞ দেশে চলছে, অথচ সেই দেশের শত শত যুবক কাজের সন্ধানে/ সুখের সন্ধানে যাচ্ছে ইতালিতে, বা ইতালির উদ্দেশে পাচারকারীদের হাতে তুলে দিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। জীবন বিপন্ন করে তারা পাড়ি জমাচ্ছেন কেন? যখন সরকার এতো এতো কর্মের সংস্থান করছেন? বর্তমানে সরকার ঘোষিত ৩৬ হাজার ভারতীয় কাজ করছে দেশের বিভিন্ন উচ্চপদে। কিন্তু আমাদের ছেলেদের, তারা যোগ্য হলেও, কর্মদক্ষ হলেও কেন চাকরি পাচ্ছে না? তাদের জব না দিয়ে ভারত থেকে ম্যানপাওয়ার হায়ার করার মূল চেতনাটা কি? ভারতকে খুশি রাখা? নাকি দেশটাকে করদশ্রেণিতে নামিয়ে আনার পরিকল্পনারই অংশ এটা। আমরা চাই আমাদের ম্যানপাওয়ার আমাদের ডেভেলপমেন্টওয়ার্কে জড়িত থাক। দক্ষ ও অদক্ষ –উভয় শ্রেণির মানব সম্পদ দেশের কাজে লাগুক। তাতে বৈদেশিক মুদ্রা বাঁচবে। দেশ গড়াও হবে আমাদেরই শ্রমে-ঘামে। এর চেয়ে তৃপ্তি আর কি হতে পারে?
Posted ১১:২২ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৮ অক্টোবর ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh