মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪ | ৫ চৈত্র ১৪৩০

Weekly Bangladesh নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত

রবি ভাইয়ের সাথেও শেষ দেখা হলো না

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু   |   বৃহস্পতিবার, ০৭ অক্টোবর ২০২১

রবি ভাইয়ের সাথেও শেষ দেখা হলো না

আমার প্রিয় মানুষ ছিলেন হামিদুজ্জামান রবি ভাই। সহকর্মী হিসেবে ছিলাম আট বছর। তিন দশকের বেশি ধরে ঘনিষ্টতা ছিল। বয়সে আমার চেয়ে প্রায় আট বছরের বড়। তার মুখভাবে সবসময় গাম্ভীর্য বজায় থাকতো বলে প্রথম দিকে এড়িয়ে চলেছি। পরিচয় হওয়ার পর টের পাই তিনি সুরসিক, কথা বলতে পছন্দ করেন। বয়স ও পেশায় তাঁর জুনিয়র ছিলাম বলে আদর করতেন। যখন তাঁর সহকর্মী হই তখন আমার বয়স পঞ্চাশ ছুঁয়েছে। তবুও এমনভাবে কথা বলতেন, কাঁধে হাত রাখতেন, যেন আমি একটা বাচ্চা। সেই রবি ভাই আর নেই। গত ২৭ সেপ্টেম্বর তিনি ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। গত এগারো বছর যাবত দেশ থেকে চলে আসার পর অনেক সহকর্মীকে হারিয়েছি। বেশি সংখ্যক সহকর্মী হারিয়েছি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস)। জগলুল আহমেদ চৌধুরী, আমানুল্লাহ কবীর, শাহরিয়ার শহীদ, দেলোয়ার হোসেন, এরশাদুল হক, সৈয়দ আবুল মকসুদ, নূরুল হুদা এবং সবশেষে রবি ভাই — বাসসে তারা আমার সহকর্মী ছিলেন এবং আমার জীবনকালে পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন। আল্লাহ সকলের জান্নাত নসীব করুন।

২০০১ সালের মে মাসে দৈনিক বাংলার বাণী বন্ধ হয়ে গেলে আমি সাময়িক বেকার হয়ে পড়ি। বাংলার বাণীতে আমি বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলাম। কেউ ধারণা করতে পারেনি যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে বাংলার বাণী বন্ধ হতে পারে। কর্তৃপক্ষ কেন দেশের অন্যতম পুরোনো দৈনিকটি বন্ধ করে দিয়েছিল তা এখনো অনেকের কাছে রহস্যের মত। আমার সম্পাদনায় মাসিক ম্যাগাজিন নতুন ঢাকা ডাইজেস্ট বন্ধ ছিল। একই ধরনের একটি ম্যাগাজিন প্রকাশের আগ্রহ দেখান জনাব বেলায়েত হোসেন, যিনি পরে একটি দৈনিক পত্রিকাও বের করেছিলেন। ইতোমধ্যে ২০০১ সালের অক্টোবরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং বিএনপি সরকার গঠন করে। আমার বেশ কিছু শুভাকাংখী আমাকে বাসস এর বার্তা সম্পাদক পদে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করতে বলেন।


বাসস এর প্রধান সম্পাদক হিসেবে সরকার নিয়োগ দিয়েছিল সাংবাদিক নেতা আমানুল্লাহ কবীরকে। সাংবাদিক ইউনিয়নে একই ফোরামের সদস্য হওয়ার ছাড়া কবীর ভাইয়ের সঙ্গে বিশেষ কোনো সম্পর্ক ছিল না। কারণ ইউনিয়নের সাংবাৎরিক নির্বাচনে ভোট দেওয়া ছাড়া আমি ইউনিয়নে কখনও সক্রিয় ছিলাম না। অতএব, একজন লোক মারফরত দরখাস্ত পাঠিয়ে দেওয়া ছাড়া চাকুরির জন্য কবীর ভাইয়ের কাছে ধর্না দিতে যাইনি। কিন্তু আমার একজন জুনিয়র সহকর্মী, যিনি তথ্যমন্ত্রী তরিকুল ইসলামের অতি ঘনিষ্ট ছিল, সে আমার অজান্তে মন্ত্রীর কাছে আমার জন্য নিয়মিত তদবির করতো। তরিকুল ইসলাম যখন বিরোধী দলে ছিলেন, তখন সেই জুনিয়র সহকর্মী আমাকে একদিন তার বাসায় নিয়ে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল। এরপর দু’চারবার তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। এ পর্যন্তই। তিনি মন্ত্রী হওয়ার পর ছেলেটি আমাকে বলতো একবার মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বাসস এ নিয়োগ কনফার্ম করতে। আমি যাইনি।

এসময় বাংলাদেশ প্রতিদিন এর সম্পাদক নঈম নিজাম (Naem Nizam) যিনি তখন বেসরকারি টিভি চ্যানেল এটিএন বাংলার বার্তা বিভাগের মূল দায়িত্ব পালন করছিলেন, আমাকে ফোন করে এটিএন বাংলায় জয়েন করতে বলেন। যথারীতি নঈম নিজাম, উপদেষ্টা মরহুম সাইফুল বারীসহ এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি এবং আলাপ আলোচনার পর সম্ভবত ২০০২ সালের ১৫ জুলাই যোগ দেওয়ার দিন স্থির হয়।


এরই মধ্যে বাসস এ নিয়োগ লাভের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়। কবীর ভাই আওয়ামী লীগের ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে বাসসে চাকরি পাওয়া ৩৬ জন লোককে ছাঁটাই করে নিজের পছন্দের লোকজনকে নিয়োগ দিতে শুরু করলে বিএনপির সাংবাদিক মহলে প্রচণ্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তথ্যমন্ত্রীসহ বিএনপি উচ্চমহলে কবীর ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে। মন্ত্রণালয় আটজন সাংবাদিকের একটি তালিকা পাঠায় অবিলম্বে নিয়োগ দেওয়ার জন্য। তথ্য অধিদফতরে তখন প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি খোন্দকার মনিরুল আলম। তিনি আমাকে ফোন করে বলেন, তালিকায় আমার নামও রয়েছে। মনে মনে আনন্দিত হই। আমি এটিএন বাংলায় যোগ না দেওয়ায় একদিন সাইফুল বারী ফোন করেন। আমি তাঁকে বাসস এ নিয়োগের সম্ভাবনার কথা জানাই। তিনি একজন সাবেক আমলা। সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরির সুযোগ সুবিধা ও স্থায়িত্ব সম্পর্কে ভালো জানেন। তিনি আগাম অভিনন্দন জানিয়ে বললেন, “তাহলে আর এটিএন বাংলায় আসার প্রয়োজন নেই, আমি চেয়ারম্যানকে জানিয়ে দেব।”

অল্প ক’দিন পরই বাসস থেকে ডাক এলো। কবীর ভাইয়ের রুমে যাওয়ার পর প্রশাসনের একজন অফিসারকে ইন্টারকমে ডাকলেন, তিনি এসে নিয়োগপত্র তুলে দিলেন। একই দিনে আরও কয়েকজন নিয়োগ পেয়েছিল। বাসস এর সব সাংবাদিক পরিচিত, কেউ কেউ ঘনিষ্ট। যারা শুধু পরিচিত তাদের অনেকের ‘এরা আবার কোথা থেকে এলো’ ভাব দৃষ্টি এড়ানোর মত ছিল না। তবে তখনকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মোফাখখারুল আনাম, বিশেষ সংবাদদাত হামিদুজ্জামান রবি ভাই, নূরুল হুদা ভাই, আবুল কালাম মানিক, আনোয়ার উদ্দিন, কামরুল ইসলাম চৌধুরী অভিনন্দন জানান। কোথায় বসবো দেখিয়ে দেন। প্রথমদিকে কাজও করার পদ্ধতিও বুঝিয়ে দেন তারা, যেহেতু নিউজ এজেন্সির কাজের সঙ্গে সংবাদপত্রের কাজে বেশ পার্থক্য রয়েছে।


রবি ভাই কিছু টিপস দেন। কে কেমন. কার মনোভাব সহযোগিতামূলক সেসব বলে দেওয়ার কারণে সম্পর্কোন্নয়নের ব্যাপারে তা খুব কাজে লেগেছে। রবি ভাই যখন বাসস এর পক্ষে বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্টের দফতরে এটাচড ছিলেন, তখন থেকেই তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্টতার সূচনা হয়েছিল। তাঁর কাছে বঙ্গভবন বা প্রেসিডেন্টের খবরের বাইরের কিছু খবরও পেতাম। আমি যখন সংবাদপত্রের রিপোর্টার হিসেবে কাজ করতাম, আমার বিটে বিমানও ছিল। বঙ্গভবনের পর রবি ভাই প্রেষণে বাংলাদেশ বিমানের জনসংযোগ বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে যোগ দেন। তাঁর আগে এই দায়িত্বে ছিলেন খ্যাতিমান টেলিভিশন সংবাদ পাঠক তাজুল ইসলাম।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমানের তথ্য অফিসার আবদুল মালেক ভাইও তখন বিমানের জনসংযোগ বিভাগে ছিলেন। নতুন ঢাকা ডাইজেস্ট তখন পরিচিত ও জনপ্রিয় ম্যাগাজিন হয়ে ওঠেছে। রবি ভাই প্রতি মাসে আমার ম্যাগাজিনে কভার পেজে বিজ্ঞাপন দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। তিনি বলেন, বিমান যেসব দেশে যায়, ওই দেশগুলো সংবাদপত্রে মাঝে মাঝে বিজ্ঞাপন দিতে হয় এবং পেমেন্ট হয় ডলারে। বিদেশে একটি বিজ্ঞাপনের জন্য যে খরচ দেশে সব ম্যাগাজিনে বছর জুড়ে বিজ্ঞাপন দিলেও সেই খরচের চেয়ে অনেক কম। তার এই সহযোগিতা অনেক কাজে লেগেছে।

১৯৮৮ সালে আমি বাংলাদেশে রয়টার্স ফাউন্ডেশনের ফেলোশিপ লাভ করি। আমাকে এক বছরের জন্য পড়াশোনা করতে হবে বিশ্বের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় স্ট্যান্ডফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ক্লাস শুরু হবে। দেশে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা চলছে। সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ। আমার টিকেট ছিল সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের। ঢাকা এয়ারপোর্টে পানি। রানওয়ের এক চিলতে জায়গা ভেসে আছে। জরুরী যাত্রীদের ছোট্ট ফকার ফ্রেন্ডশিপ এয়ারক্রাফটে কলকাতা পর্যন্ত পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেছে বিমান। আমি নৌকাযোগে মতিঝিলে বিমান অফিসে রবি ভাইয়ের কাছে গেলাম। বেলা ১১টা থেকে বিকেল চারটার পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় ফোন করে আমার টিকেট কনফার্ম করলেন।

ঢাকা-কলকাতা-ব্যাঙ্কক-সিঙ্গাপুর-হংকং-স্যানফ্রান্সিসকো। কলকাতা ও সিঙ্গাপুর এয়ারপোর্টে দুটি দীর্ঘ বিরতিসহ ঢাকা থেকে স্যানফ্রান্সিসকো পৌঁছতে আমার ৪৮ ঘন্টা লেগেছিল। আমার ক্লাস শুরু হওয়ার একদিন আগেই আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌছতে পেরেছিলাম।

আমি বাসস এ যোগ দেওয়ার কিছুদিন পর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মোফাখখারুল আনাম ভাই অবসর গ্রহণ করেন। এই পদটি বাসস এর সিনিয়র কোনো সাংবাদিকই অলঙ্কৃত করেন। যে দল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকে, তাদের প্রতি আনুগত্য থাকলেই হলো। আনাম ভাইয়ের পর পদটিতে যাওয়ার মত সিনিয়র ছিলেন জগলুল আহমেদ চৌধুরী ও হামিদুজ্জামান রবি। কিন্তু কবীর ভাই পদটি শূন্য রাখেন। আমি যতদূর জানি, রবি ভাই তথ্যমন্ত্রী তরিকুল ইসলামের ঘনিষ্ট। তাঁর ব্যাপারে মন্ত্রীর তেমন আপত্তি ছিল না। তারা একই সময়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন। কবীর ভাই তাকে ব্যবস্থাপনা সম্পাদক করেননি। জগলু ভাইকে কবীর ভাই ‘স্যার,’ স্যার’ সম্বোধন করতেন, কিন্তু তাকেও সেই দায়িত্বে ন্যস্ত করেননি। তার পুরো মেয়াদে ব্যবস্থাপনা সম্পাদকের রুমটি শূন্য ছিল।

কবীর ভাই আশা করেছিলেন সরকার তার চুক্তি নবায়ন করবে। কিন্তু তা না করে গাজীউল হাসান খানকে প্রধান সম্পাদক পদে নিয়োগ দেন। গাজীউল হাসান খান দায়িত্ব গ্রহণের কিছুদিন পর হামিদুজ্জামান রবি ভাইকে ব্যবস্থাপনা সম্পাদক পদে নিয়োগ দেন। তাঁর নিয়োগে আমি আনন্দিত হই। গাজী ভাই আমাকে বার্তা সম্পাদক পদ থেকে এক ধাপ পদোন্নতি দিয়ে উপ-প্রধান বার্তা সম্পাদক করেন এবং চিফ রিপোর্টারের বাড়তি দায়িত্ব দেন। চিফ রিপোর্টার হিসেবে আমাকে ইংরেজি ও বাংলা বিভাগের প্রায় ৪০ জন রিপোর্টারের ‘এসিআর’ বা বার্ষিক কনফিডেন্সিয়াল রিপোর্ট মূল্যায়ন করতে হতো। এ ধরনের দায়িত্ব অনেকে উপভোগ করেন। কিন্তু আমি দু’চারটি এসিআর লিখে দেওয়ার পর দেখা গেল প্রশাসনে যাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট রিপোর্টার তো বটেই অন্যেরাও জেনে যায় আমি কি লিখেছি। কেউ আমাকে ধন্যবাদ দিতে আসে, কেউ রিপোর্টটা ভালো লিখতে বলে।

আমি বিব্রত হয়ে রবি ভাইকে জানাই এবং বলি প্রশাসন যদি রিপোর্ট গোপন রাখতে না পারে, তাহলে আমি আর এসিআর দেখবো না। আমার কাছে পাঠানো ফাইলগুলো তাকে দিয়ে দেই। রবি ভাই গোপনীয়তা রক্ষার ব্যবস্থা করার পর আমি পুনরায় এসিআর লিখতে শুরু করি।

গাজীউল হাসান খানের মেয়াদ শেষ হয়। কেয়ারটেকার সরকার গঠনের আগের অস্থিতিশীল কয়েকটি মাস ধরে বাসস –এও অস্থিরতা ছিল। ১/১১ এ সেনা সমর্থিত কেয়ারটেকার সরকার আসার পর বাসস এর প্রধান সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন জগলুল আহমেদ চৌধুরী। একটু গুছিয়ে নিয়েই তিনি ব্যবস্থাপনা সম্পাদক পদ থেকে রবি ভাইকে অপসারণ করে তাঁর ঘনিষ্ট বন্ধু প্রধান বার্তা সম্পাদক জহুরুল হককে ব্যবস্থাপনা সম্পাদক পদে নিয়োগ দেন। এটাই হওয়ার ছিল। তাঁকে বাদ দিয়ে রবি ভাইকে ব্যবস্থাপনা সম্পাদক করা তিনি মেনে নিতে পারেননি। রবি ভাই মনে মনে নিশ্চয়ই কষ্ট পেয়েছেন। কিন্তু কারও কাছে কখনও ক্ষোভ প্রকাশ করেননি। এর এক বছর পর ২০০৮ সালে তিনি বাসস থেকে অবসর নেন। তিনি ১৯৭২ সালে বাসসে যোগ দিয়ে বিমানে প্রেষণে চার বছর কাটানো ছাড়া টানা ৩৬ বছর এক প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন পদমর্যাদায় দায়িত্ব পালন করেছেন।

অবসর গ্রহণের পর তিনি তাঁর ছোট ভাই মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এএন্এম মনিরুজ্জামান প্রতিষ্ঠিত থিঙ্কট্যাংক বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ পিস এণ্ড স্ট্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইপিএসএস) এর সঙ্গে কাজ করতেন।

মাঝে মাঝে তিনি এই প্রতিষ্ঠানের সেমিনারে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানাতেন। কখনও গেছি, কখনও যেতে পারিনি। কর্মজীবনে তিনি সদচারী, মিশুক ছিলেন। একদিন রাত বারোটার দিকে অফিসের মাইক্রোবাসে বাসায় ফেরার সময় রবি ভাই বললেন, আমরা সবাই মঞ্জুর বাসায় চা খাবো। উনি থাকেন ধানমণ্ডিতে, আমি বনানী ডিওএইচএস এ, আমাকে নামিয়ে গাড়ি আনিসকে পৌঁছে দেবে উত্তরায়। আমরা তাকে আগে পৌছে দিতে পীড়াপীড়ি করলেও তিনি রাজি হননি। আমার বাসায় গভীর রাতে চা খেয়ে গেছেন। আমার একটি পারিবারিক উপলক্ষ ছিল, আমি ভাবীসহ রবিভাইকে দাওয়াত করেছি। তারা দু’জনই এসেছিলেন। টুকরো টুকরো এমন অনেক স্মৃতি মনে ভিড় করছে। দূরে চলে আসার পরও আমি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। ঈদ, নববর্ষ উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানাতে কখনও ভুলতেন না। অনেক সময় সকালে ঘুম থেকে উঠে ম্যাসেঞ্জারে তাঁর শুভেচ্ছা পেতাম। আল্লাহ পরকালে তাঁকে শান্তি রাখুন।

advertisement

Posted ২:২৬ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৭ অক্টোবর ২০২১

Weekly Bangladesh |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আমরা মরি কেন?
আমরা মরি কেন?

(631 বার পঠিত)

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  
Dr. Mohammed Wazed A Khan, President & Editor
Anwar Hossain Manju, Advisor, Editorial Board
Corporate Office

85-59 168 Street, Jamaica, NY 11432

Tel: 718-523-6299 Fax: 718-206-2579

E-mail: [email protected]

Web: weeklybangladeshusa.com

Facebook: fb/weeklybangladeshusa.com

Mohammed Dinaj Khan,
Vice President
Florida Office

1610 NW 3rd Street
Deerfield Beach, FL 33442

Jackson Heights Office

37-55, 72 Street, Jackson Heights, NY 11372, Tel: 718-255-1158

Published by News Bangladesh Inc.