শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

Weekly Bangladesh নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত

সাবেক শিক্ষা সচিব শহীদুল আলমের নীরব বিদায়

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু   |   বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২০

সাবেক শিক্ষা সচিব শহীদুল আলমের নীরব বিদায়

“আজব সাল হ্যায়. না এক এক পল পুরস্কুঁ,
লিখ লিখ কর থক গ্যায়ে ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
কিসি নে সাচ কাহা হ্যায় কে মউত সে কিস কি ইয়ারি হ্যায়,
আজ মেরি বারি তো কাল তেরি বারি হ্যায়।”
(কী অদ্ভুত একটি বছর, এক মুহূর্তও পারিনি কাটাতে শান্তিতে
ক্লান্ত হয়ে গেছি ইন্না লিল্লাহি — রাজিউন লিখতে লিখতে।
কে একজন সত্য কথাই বলেছে,মৃত্যুর সাথে কিসের বন্ধুত্ব,
আজ আমার পালা এসেছে, কাল তোমার পালা আসবে)।

সাড়ে আট মাস আগে গত ৩০ মার্চ করোনা ভাইরাসের ছোবলে আমার সাবেক সহকর্মী, ফটো-সাংবাদিক আবদুল হাই স্বপনের মৃত্যুর পর থেকে সেই যে ‘ইন্না লিল্লাহ’ পড়তে শুরু করেছি, তা প্রায় প্রতিদিন কোনো না কোনো আত্মীয়, সাবেক সহকর্মী, বন্ধু ও বন্ধুদের পরিবারের সদস্য অথবা পরিচিত ও বিশিষ্ট ব্যক্তির পৃথিবী থেকে বিদায়ের খবরে জপতে জপতে গত ১১ ডিসেম্বর শুক্রবার সাবেক শিক্ষা সচিব মোহাম্মদ শহীদুল আলমের মৃত্যুর খবর জানার পর ‘ইন্না লিল্লাহ’ উচ্চারণের মধ্য দিয়ে আপাতত শেষ হয়েছে। কাল কার জন্য ‘ইন্না লিল্লাহ’ পড়তে হবো বা আমার জন্য পড়বে তা আমি বা অন্য কেউ জানে না। শহীদুল আলমের সঙ্গে আমার দীর্ঘ দিনের পরিচয় ও সখ্যতা। আশির দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে। বগুড়ার ডেপুটি কমিশনার হিসেবে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ‘হ্যান্ড পিকড’ বলে তার খ্যাতি ও অখ্যাতি দুই-ই ছিল। ১৯৭০ সালে সিএসপি অফিসার হিসেবে প্রশাসনে যোগ দেয়ার আগে অল্প কিছুদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে লেকচারার হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। আমার সঙ্গে পরিচয় ঘটে তিনি যখন দুর্নীত দমন ব্যুরোর পরিচালক (অপারেশন) হিসেবে যোগ দেন। তখন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন শাহ আবদুল হান্নান। তাঁর সাথেও আমার নিবিড় সম্পর্ক ছিল।


আমি একটি মাসিক ম্যাগাজিন প্রকাশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তখন কোনো পত্র-পত্রিকার ডিক্লারেশন পাওয়ার পদ্ধতি বেশ জটিল ও কঠিন ছিল। ডিক্লারেশনের জন্য আবেদন করা ও চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার মধ্যবর্তী জায়গাগুলো ছিল পত্রিকার নামের ক্লিয়ারেন্স দেয়ার জন্য ডিএফপি (ডিপার্টমেন্ট অফ ফিল্মস এন্ড পাবলিকেশন্স), তথ্য অধিদফতর, পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য এসবি’র (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) দুটি অফিস, এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স) এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখা। এই দফতরগুলো থেকে প্রশাসনিক ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার পর ডেপুটি কমিশনারের অফিসে ফাইল পাঠানোর জন্য রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হতো। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখায় ফাইল আটকে রেখেছিল এক চ্যাংড়া সেকশন অফিসার। তিনি ফাইল তার বিভাগীয় প্রধান যুগ্ম সচিবের কাছে পাঠালেই হয়ে যায়। আমি সেকশন অফিসারটির সাথে দেখা করার পরও তিনি ফাইল ছাড়ছিলেন না। শহীদুল আলমকে বলার পর তিনি যুগ্ম সচিবকে ফোন করলে তিনি ফোন ধরে রেখেই ফাইল আনিয়ে তার স্বাক্ষর দিয়ে দেন। তবুও আটকে ছিল রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের জন্য। আনোয়ার জাহিদ তখন তথ্য প্রতিমন্ত্রী। তার দেখা করি। আনোয়ার এবং তিনি ফাইলটি ডেপুটি কমিশনারের অফিসে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।

দুর্নীতি দমন ব্যুরোতে থাকাকালে পরিচালক-অপারেশন হিসেবে শহীদুল আলম অসীম ক্ষমতার অধিকারী। কোনো পদক্ষেপ নিতে তাঁকে কারও অনুমতি গ্রহণ করতে হতো না। দুর্নীতি দমন ব্যুরোতে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে তাদের প্রায় সবাই খ্যাতিমান ব্যক্তি। কোনো না কোনো সময় তারা সরকার, প্রশাসন, অর্থনীতির কলকাঠি নেড়েছেন এবং প্রায় ক্ষেত্রেই এবং প্রায় সময়ই তাদের “তুই আমার কী ছিঁড়বি” হাবভাব। আসলেও কেউ তাদের কিছু ছিঁড়তে পারে না। শহীদুল আলম এমন ব্যক্তিদের গ্রেফতারের আদেশ দিতে শুরু করলেন, যারা সকল সরকারের আমলে ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল। তিনি আমাকে ফোন করেন, আজ আসুন, ভালো খবর দেব। আমি যাই। কাকে গ্রেফতার করার আদেশ দিয়েছেন বলেন। আমি বলি, উনাদের তো আটকে রাখতে পারবেন না। বরং তাদের শত্রু হবেন। তিনি পরোয়া করেন না। তার বক্তব্য, আমি জানি, একদিনের বেশি আটকে রাখতে পারবো না। আমার উদ্দেশ্য, তাদেরকে সামাজিকভাবে পরিচিত করা যে, এরা দুর্নীতিবাজ। সেজন্য তাদের একদিন থানা হাজতে রাখতে পারাই যথেষ্ট। আমার রিপোর্ট সংগ্রামে প্রকাশিত হয়। লোকজন আমাকে প্রশংসা করে। ব্যুরোর মহাপরিচালক আমাকে ফোন করে বলেন, ‘শহীদ কোনো ইনফরমেশন দিলে আমার সাথে কথা বলে নিয়ো।’ শাহ হান্নান অত্যন্ত নরম প্রকৃতির মানুষ। সকল পক্ষকে খুশি রেখে কাজ করেন। আমি জানি, তাঁর সাথে কথা বললে আমার রিপোর্ট প্রকাশিত হবে না। অতএব আমি তাঁর সাথে কথা বলি না।


শহীদুল আলমের সাথে আমার ঘনিষ্টতার কথা জানাজানি হলে দুনীতি দমন ব্যুরোতে অভিযোগ আছে, এমন বেশ কিছু লোক আমার কাছে আসতে শুরু করেন। তদবির করতে বলেন। আমি তদবির করি না। তবে হ্যাঁ, একটি তদবির করেছিলাম। সাবেক ডেপুটি স্পিকার ব্যারিষ্টার সুলতান আহমেদ চৌধুরী তার নামে প্রতিষ্ঠিত কলেজের প্রিন্সিপাল (সম্ভবত তাঁর নাম আমিরুজ্জামান) পদত্যাগ করে বিএনপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। প্রতিশোধ নিতে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন ব্যুরোতে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগ নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি আর কোথাও চাকুরিতে যোগ দিতে পারছিলেন না। আমি শহীদুল আলমের সাথে প্রিন্সিপাল সাহেবের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করি এবং তিনি অবিলম্বে অভিযোগ তদন্ত করার ব্যবস্থা করে তাকে অভিযোগ থেকে নিস্কৃতির ব্যবস্থা করেন। কিন্তু অভিযুক্তদের চাপে শহীদুল আলম বেশিদিন দুর্নীতি দমন ব্যুরোতে থাকতে পারেননি।

তাঁকে বদলি করা হয় মতিঝিলে সমবায় সদন ভবনে সমবায়ে রেজিষ্টার হিসেবে। বলা যায়, শাস্তিমূলক বদলি। সেখানেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তিনি জিহাদ ঘোষণা করেন। তাঁকে পাঠানো হয় হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশনে, ভূমি সংস্কার বোর্ডে। সবই শাস্তিমূলক বদলি। এক সময় তিনি বললেন, ‘আমার অনেক সহকর্মীই চান না যে আমি ভালো কোনো দায়িত্ব লাভ করি।’ এরই এক পর্যায়ে তাকে এনজিও অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর মহাপরিচালক করা হয়। সেখানেও তিনি বিপ্লব করতে চেষ্টা করেন। বিদেশি এনজিওগুলোর বিরুদ্ধে দরিদ্র মানুষকে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ পুরোনো। দায়িত্ব লাভের পর শহীদুল আলম তদন্ত কমিটি গঠন করেন এবং কমিটি যথাসম্ভব দ্রুততার সাথে একটি রিপোর্ট তৈরি করে। বড় বড় এনজিওগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর দূতাবাসের মাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশ বন্ধ করার জন্য তার ওপর এবং সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে এবং সে চাপ এমন ছিল যে তাকে এনজিও ব্যুরোর মহাপরিচালকের দায়িত্ব থেকে অবিলম্বে বদলি করা হয়, প্রশাসনিক ভাষায় যাকে বলা হয় ‘ষ্ট্যাণ্ড রিলিজ’। দেখা করে তার কাছে রিপোর্টের একটি কপি চাইলাম। উনি বললেন যে তাঁকে রিলিজ অর্ডার দেয়ার পর তিনি তাঁর ব্যক্তিগত জিনিসপত্র আনতেও আর এনজিও ব্যুরোতে যেতে পারেননি।


তবে তিনি দমে থাকার মত লোক ছিলেন না। সাবেক সচিব আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীর সাথে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ এডমিনিষ্ট্রেশন এন্ড ম্যানেজমেন্ট (বিয়াম) গড়ে তুলতে আগে থেকেই ব্যস্ত ছিলেন, এরপর সেখানে জানপ্রাণ দিয়ে খাটতে থাকেন। সেখানেই পুরো সময় কাটাচ্ছিলেন। তাঁকে ইআরডিতে পাঠানো হয় অতিরিক্ত সচিব হিসেবে। তখন আওয়ামী লীগ সরকার। ইআরডিতে থাকতেই সচিব হিসেবে তাঁর পদোন্নতি হয়। তাঁকে অভিনন্দন জানাতে এক সন্ধ্যায় বিয়ামে যাই। তিনি হাসতে হাসতে বলেন, ‘আমার যে ট্র্যাক রেকর্ড তাতে এই সরকারের আমলে আমাকে যে সচিব করা হবে না তা মেনেই নিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কী কারণে আমার ওপর এতটা দয়া করলেন তা আল্লাহই ভালো জানেন।’
২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসে। শহীদুল আলমকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ন্যস্ত করা হয়। আমি তখন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থায় (বাসস)। আমার অফিস ও সচিবালয়ের মাঝখানে ব্যবধান শুধু একটি রাস্তা। ফোনে তাঁর সাথে কথা হয়। অফিসে যেতে বললেও আমি এড়িয়ে চলি। ঘনিষ্টতা জানাজানি হলে তদবিরের অনুরোধের যন্ত্রণায় অতীষ্ঠ হতে হবে। বাংলার বাণীতে থাকাকালে শেখ সেলিম যখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হলেন, আমার এলাকার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার, নার্স, পরিচিতজনের আত্মীয়স্বজন যারা সরকারি ডাক্তার, নার্স তারা প্রায় সার বেঁধে আসেন বদলির তদরিরের অনুরোধ নিয়ে। যত বলি, সেলিম ভাই মোটামুটি ঘোষণা দিয়েছেন কেউ যাতে তদবির নিয়ে না যায়। কিন্তু তাদের বিশ্বাস হয় না। তাদের ধারণা, আমি বললেই কাজটা হয়ে যায়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতা আরও বেশি। অতএব নিজেকে গুটিয়ে রাখি, যাতে কেউ তদবিরের অনুরোধ না নিয়ে আসে। তবুও আমার মামাতো বোন, সরকারি কলেজের শিক্ষক ডলির জন্য সম্ভবত দু’বার তার কাছে যেতে হয়েছিল। যা করণীয় তিনি করে দিয়েছিলেন। আপন মানুষের জন্য বোধহয় এটুকু করা প্রয়োজন। এর আগেও সম্ভবত ১৯৯৯ সালে আমি বাংলাবাজার পত্রিকায় থাকার সময় একদিন ডলি একটি দরখাস্ত নিয়ে আসে। সরকারি বাসা বরাদ্দের দরখাস্ত। আওয়ামী লীগের অনেক মন্ত্রীই আমাদের রিপোর্টারদের “ভাই”। শাহনেওয়াজ দুলালকে ডেকে দরখাস্তটি দেই। শাহনেওয়াজ দুলাল সিরাজগঞ্জের ছেলে, করিৎকর্মা। সে বললো, ‘ক’দিন আগে হলে ভালো হতো। নাসিম ভাই গণপূর্ত মন্ত্রী ছিলেন, হাতে হাতে কাজ করিয়ে নিতাম। সমস্যা নেই, তাও করা যাবে।’ মোহাম্মদ নাসিম ক’দিন আগেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন। দুলাল পেছনের তারিখে মন্ত্রীর স্বাক্ষর নিয়ে আসে। ডলি বাসার বরাদ্দ পায়। ডলি বললে কিছুই মানা করতে পারি না। কাজিন সম্পর্কের সব বোনের মধ্যে শেফালি বু আদর্শের মত, ডলি অনেক প্রিয়। এটুকু কাজ করতে আমাকে বাড়তি পরিশ্রম করতে হয় না। কিন্তু গণহারে তদবিরের কাজ করা আমার জন্য অস্বস্থিকর।

শহীদুল আলমের সঙ্গে আমার শেষ দেখা হয় বিয়ামে। আমার সাথে ছিল নয়াদিগন্তের হারুন জামিল। হারুন ওর ছেলে জাহিনকে বিয়াম স্কুলে ভর্তি করাতে চায়। বিয়াম স্কুল অল্পদিনের মধ্যে বেশ সুনাম অর্জন করেছিল এবং সেখানে ভর্তি প্রতিযোগিতামূলক হয়ে ওঠেছিল, সেজন্য শহীদুল আলমের কাছে যেতে হয়েছিল জাহিনের ভর্তির জন্য বলতে।

অবসর গ্রহণের পর শহীদুল আলম বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আমি যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসার পর তার সাথে আর যোগাযোগ ছিল না। যেহেতু তিনি উদ্যমী ছিলেন, অতএব মালয়েশিয়ার কোনো বিষয়ে পিএইচডি করার চেষ্টা করছিলেন। আমার বন্ধুবান্ধব ও ঘনিষ্ট আমলা, যারা মাঠ পর্যায়ে, বিভিন্ন সরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে এবং পরবর্তীতে অতিরিক্ত সচিব, সচিব হিসেবে প্রশাসনে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের মধ্যে মোহাম্মদ শহীদুল আলমকে সবচেয়ে সাহসী হিসেবে পেয়েছি। আল্লাহ তাঁর বেহেশত নসীব করুন।

advertisement

Posted ১১:৪২ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২০

Weekly Bangladesh |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আমরা মরি কেন?
আমরা মরি কেন?

(643 বার পঠিত)

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
Dr. Mohammed Wazed A Khan, President & Editor
Anwar Hossain Manju, Advisor, Editorial Board
Corporate Office

85-59 168 Street, Jamaica, NY 11432

Tel: 718-523-6299 Fax: 718-206-2579

E-mail: [email protected]

Web: weeklybangladeshusa.com

Facebook: fb/weeklybangladeshusa.com

Mohammed Dinaj Khan,
Vice President
Florida Office

1610 NW 3rd Street
Deerfield Beach, FL 33442

Jackson Heights Office

37-55, 72 Street, Jackson Heights, NY 11372, Tel: 718-255-1158

Published by News Bangladesh Inc.